খালেদা ও গয়েশ্বরের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

প্রকাশ | ১১ জুলাই ২০১৮, ১৯:৩৭ | আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৮, ১৯:৪৯

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
ফাইল ছবি

মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের মানহানির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।

বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদ এই পরোয়ানা জারি করেন।

এর আগে এদিন সকালে বাদী বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী এ মামলায় পুলিশ প্রতিবেদন গ্রহণ করে পরোয়ানা জারির আবেদন করেন। পরে শুনানি শেষে বিচারক এই পরোয়ানা জারি করেন।

বাদীর পরোয়ানা জারির আবেদন এবং আদালতের পরোয়ানা ইস্যুর বিষয়টি বাদীর আইনজীবী রওশন আলা শিকদার নিশ্চিত করেছেন।

গত ৯ জুলাই মামলাটিতে খালেদা জিয়া ও গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের মুক্তিযুদ্ধে শহীদ ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের মানহানির অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে মর্মে শাহবাগ থানার ইন্সপেক্টর আবু জাফর পুলিশ প্রতিবেদন দাখিল করেন। 

২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী মানহানির অভিযোগে এই মামলাটি দায়ের করেন। 

মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বলেন, ‘তিনি তো (বঙ্গবন্ধু) বাংলাদেশের স্বাধীনতা চাননি, তিনি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন। শহীদ প্রেসিসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। আজকে বলা হয়, এতো শহীদ হয়েছে, এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে।’

অন্যদিকে গত ২৫ ডিসেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে রাজশাহী বিশ^বিদ্যালয় ও রিজভী আহমেদ’ শীর্ষক আলোচনা সভায় শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রসঙ্গে গয়েশ^র চন্দ্র বলেন, ‘একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত যারা পাকিস্তানের বেতন ভাতা খেয়েছেন, তারা নির্বোধের মতো মারা গেলেন। আমার আমাদের মতো নির্বোধরা শহীদ বুদ্ধিজীবী হিসেবে তাদের ফুল দেই, আবার না গেলে পাপ হয়। তারা (শহীদ বুদ্ধিজীবী) যদি বুদ্ধিমান হতেন তবে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিজ ঘরে থাকলেন কেন।’  

এসব বক্তব্য পরদিন বিভিন্ন জাতীয় পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। যেহেতু ওই বক্তব্য বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শহীদ ও শহীদ বৃদ্ধিজীবীদের নিয়ে কটাক্ষ করে, স্বাধীনতা যুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান এবং ভূমিকাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে, যা মানহানিকর।

(ঢাকাটাইমস/১১জুলাই/আরজেড/জেবি)