তিন সিটি ভোট যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়: পুলিশকে সিইসি

প্রকাশ | ১২ জুলাই ২০১৮, ১৮:১৬ | আপডেট: ১২ জুলাই ২০১৮, ১৯:২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচন যেন কোনো প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সে বিষয় আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। তিনি বলেন, ‘আইশৃঙ্খলা বহিনী তারাও বলেছে যে জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এই নির্বাচন যেন কোন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়।’

৩০ জুলাই রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটকে সামনে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক শেষে এ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন সিইসি।

বৃহস্পতিবার আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে এই বৈঠকে পুলিশের মহাপরিদর্শক জাবেদ পাটোয়ারি, র‌্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ ছাড়াও গোয়েন্দা সংস্থা এনএসআই, ডিজিএফআই এর প্রধান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন সংস্থা ও বিভাগের শীর্ষ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।

সিইসি বলেন, ‘আইশৃঙ্খলাবহিনীর যারা এখানে ছিলেন তারা বলেছেন যে, জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এই নির্বাচন যেন কোনো প্রশ্নবিদ্ধ না হয়। সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন পরিচালনা করার জন্য তাদের যা যা করার প্রয়োজন সেটা তারা করবে এবং আমাদের নির্দেশনা তারা প্রতিপালন করবে।

‘সভায় আমরা তিন সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। সভায় আমরা নির্বাচনগুলো সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করারর দিকনির্দেশনা দিয়েছি, তাদের কথা শুনেছি। কীভাবে তাদের সমন্বয়ের মাধ্যমে নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করা যায় সে ব্যপারে আমরা পরামর্শ দিয়েছি। তারা সকলেই আশা করেন তিনটি সিটি নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।’

গাজীপুর ও খুলনা সিটি নির্বাচনের অভিজ্ঞতা থেকে তিন মহানগরে বাড়তি কী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে- এমন প্রশ্নে সিইসি বলেন, ‘বাড়তি ব্যবস্থার কোন প্রায়োজন পরে না। নির্বাচন বিধিমালা অনুযায়ী নির্বাচন পরিচালিত হয়, এখানেও সেটা হবে। নতুন কোন আইন তৈরি হয়নি। গত দুই সিটি নির্বাচন যে আইনে হয়েছে সে আইন এখনও বলবত আছে। আইন অনুযায়ী নির্বাচন হবে।’

আনশৃঙ্খলা বাহিনী কোন আশঙ্কার কথা বলেছে কি না-জানতে চাইলে জবাব আসে, ‘তারা বলেছেন সিটিগুলো নির্বাচনে পরিবেশ সঠিক আছে, এখন পর্যযন্ত ওই রকম ঝুঁকি বা আশঙ্কা নেই। ’

খুলনা ও গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পুলিশের বিরুদ্ধে বিএনপির পক্ষপাতের অভিযোগ নিয়ে এক প্রশ্নে সিইসি বলেন, ‘অভিযোগ যেন না আসে সে ব্যাপারে তারও বলেছে... আর অভিযোগ তো আসবেই অভিযোগ আসলে সেগুলো সঠিক কি না সেগুলো আবার তদন্ত সাপেক্ষে প্রমাণ করতে হবে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অভিযোগ আসেই সেটা কতখানি সত্য সেটা তদন্ত করতে হয়।’

এ সময় সিইসির পাশে থাকা নির্বাচন কমিশনার রকিবুল ইসলাম বলেন, ‘অন্য সকল নির্বাচনের মতো আমরা এই নির্বাচনকে দেখছি। কারণ, জাতীয় সংসদের আগে কোনো নির্বাচন হলে একরকম ও পরে নির্বাচন হলে এটাকে আমরা অরেক রকম দেখব সেটা কিন্তু ঠিক না।’

‘নির্বাচনকে নির্বাচন হিসেবেই দেখছি। সত্যিকার অর্থে একজন জনপ্রতিনিধি যাকে ভোট দিয়ে মানুষ নির্বাচিত করবে উনি যেন দেশটা পরিচালনা বা ওই অঞ্চলটি পরিচালনার দায়িত্ব পায়।’  

গাজীপুর সিটি নির্বাচনের কোন অনিয়ম হয়েছে কি না, তা তদন্তে একজন কমিশনারকে যে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল সেটার কোন রিপোর্ট পাওয়া গেছে কি না-জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘এখনও পাইনি’।

(ঢাকাটাইমস/১২জুলাই/জেআর/ডব্লিউবি)