পোস্টার সাঁটানোর ‘জায়গা না পেয়ে’ রিজভীর প্রতিবাদ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৩ জুলাই ২০১৮, ১৫:৫৩ | প্রকাশিত : ১৩ জুলাই ২০১৮, ১৫:০৯

রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রচারে বাধার অভিযোগ করেছে বিএনপি। দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের পোস্টারের কারণে তারা পোস্টার লাগাতে পারছেন না।

তিন মহানগরীতে প্রচার শুরুর চতুর্থ দিবসে সাপ্তাহিক ছুটির দিন জমজমাট প্রচারের মধ্যে শুক্রবার রাজধানীতে সংবাদ সম্মেলন করেন বিএনপির মুখপাত্র। এ সময় তিনি এসব অভিযোগ করেন।

রিজভী বলেন, ‘‘রাজশাহীতে সারা শহরজুড়ে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী এমনভাবে পোস্টার সেঁটেছে যে সেখানে অন্য কারও পোস্টার লাগানোর কোনো জায়গাই নেই।’

‘বরিশালে বিএনপির সমর্থকদের নির্বাচনী প্রচারণায় বাধা দেওয়া হচ্ছে। ধানের শীষের পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে, মাইক ভাঙচুর করছে, সমর্থকদের মারধর করছে।’

‘সিলেটে ধানের শীষের প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরীর প্রচার প্রচারণা বিরত রেখে থানার সামনে অনশন করতে হচ্ছে গ্রেপ্তারকৃত নেতা-কর্মীদের মুক্তির জন্য।’

আগামী ৩০ জুলাই তিন মহানগরে ভোট হচ্ছে। এর মধ্যে রাজশাহী ও সিলেটে বিএনপির সদ্য বিদায়ী মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, আরিফুল হক চৌধুরী এবং বরিশালে মজিবর রহমান সরোয়ারকে প্রার্থী করেছে বিএনপি।

গত ১০ জুলাই প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে শুরু হয়েছে আনুষ্ঠানিক প্রচার। আর জনসংযোগ, মাইকিং, উঠান বৈঠক, সভা, পোস্টার সাঁটানো, লিফলেট বিতরণ আর অনলাইন প্রচারণায় ভোট চাইছেন প্রার্থীরা।

রিজভীর অভিযোগ, তারা সব জায়গায় বাধার মুখোমুখি হচ্ছেন। পুলিশ তাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করছে। তিন মহানগরেই আইনশৃঙ্খলাবাহিনী সরকারি দলের প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করে যাচ্ছে অভিযোগ করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘মামলা হামলার হুমকির মুখে নেতাকর্মীরা সিটি করপোরেশন নিজ এলাকার বাহিরে অন্যত্র পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। আর গ্রেপ্তারের হিড়িক তো চলছেই।’

বরিশাল ও রাজশাহীতে সরকারি দলের পক্ষ থেকে কালো টাকার ছড়াছড়ি চলছে অভিযোগ করে রিজভী নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে উদাসিনতার অভিযোগ আনেন। বলেন, ‘অস্বাভাবিক টাকা খরচ দৃশ্যমান হলেও সেখানে নির্বাচনী কর্মকর্তারা মুখে কুলুপ এঁটে বসে আছেন।’

‘রাজশাহীতে ধানের শীষের প্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল নির্বাচনী অনাচারে লিপ্ত কাশিয়া ডাঙ্গা থানার ওসি ও গোয়েন্দা পুলিশের ওসির প্রত্যাহার চাইলেও নির্বাচন কমিশনের স্থানীয় কর্মকর্তারা অভিযোগে কান না দিয়ে আকাশের দিকে চেয়ে থাকেন।’

বিনা ওয়ারেন্টে কাউকে গ্রেপ্তার না করার নির্দেশনা থেকে নির্বাচন কমিশন সরে এসেছে-এ কথা জানিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, ‘এ সিদ্ধান্ত সরকারের হুমকির মুখে ইসির প্রতিরোধহীন আত্মসমর্পণ। আগামী নির্বাচন গুলোতে সরকার খুলনা-গাজীপুর মার্কা নতুন মডেলের ভোট সন্ত্রাসের নির্বাচন নির্বিঘ্ন করতেই ইসি তার আগের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছে।’

‘খুলনা ও গাজীপুরে অনুসৃত নীতি বাস্তবায়ন করছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার। এই ইসির অধীনে কখনওই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।’

‘খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা শেখ হাসিনার জন্য অসহ্যের কারণ’

দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্যেরও জবাব দেন রিজভী। বলেন, এই বক্তব্য সত্যের অপলাপ।

‘সরকার প্রধান যে প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে যে কারাগারে আটকে রাখবেন তার আরও প্রমাণ রয়েছে।’

‘যেমন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনুসহ মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের নেতারা বিগত কয়েক বছর ধরে বলে আসছেন, বেগম জিয়ার জন্য কারাগারের সেল প্রস্তত করা হয়েছে। সুতরাং রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই বেগম জিয়াকে মিথ্যা তথ্যের উপর ভিত্তি করে সাজানো মামলায় ক্যাঙ্গারু আদালত কর্তৃক সাজা দিয়ে বন্দী করে রাখা হয়েছে এটি বোঝার জন্য বেশি কষ্ট করতে হয় না।’

বিএনপি নেতা বলেন, ‘খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা শেখ হাসিনার জন্য অসহ্যের কারণ। অবৈধ ক্ষমতার মৌতাতে বুঁদ হওয়া নিষ্ঠুর একদলীয় চেতনার শেখ হাসিনা কখনই বেগম জিয়ার সাফল্য ও জনপ্রিয়তাকে একেবারেই মেনে নিতে পারেন না বলেই তাকে জনবিচ্ছিন্ন করতে কারাগারে বন্দী করে রেখেছেন।’

‘প্রধানমন্ত্রীর উদ্দশ্যে পরিষ্কার করে বলতে চাই, আপনি যতই ষড়যন্ত্রের জাল বুনতে থাকুন না কেন বেগম জিয়াকে ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না জনগণ হতে দেবে না।’

ঢাকাটাইমস/১৩জুলাই/এনআই/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :