ইয়াবা দিয়ে ফাঁসাতে গিয়ে এসআই আটক

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৩ জুলাই ২০১৮, ২১:১৭ | প্রকাশিত : ১৩ জুলাই ২০১৮, ২১:১১

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার ছোট কালিয়াকৈর নতুন বাজার এলাকায় ইয়াবা দিয়ে এক দিনমজুরকে ফাঁসাতে গিয়ে এলাকাবাসীর হাতে পুলিশের উপপরিদর্শকসহ (এসআই) দুই সদস্যের আটক হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

পরে সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার ঈমাম হোসেন ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করেন।

এর আগে ওই দুই পুলিশ সদস্য দুই ঘণ্টা আটক ছিলেন এলাকাবাসীর হাতে।

দিনমজুর হাশেম আলী জানান, তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাজার থেকে ওষুধ কিনে বাড়ি ফেরার পথে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করছিলেন। এ সময় সাদা পোশাকে দুই লোক এসে তার লুঙ্গি ও শার্ট ধরে টানাটানি করতে থাকেন। এরপর তার পকেটে জোর করে কী যেন ঢুকিয়ে দিয়ে হাতকড়া পরায়।

হাশেম বলেন, এ সময় তিনি চিৎকার করতে থাকলে এলাকার লোকজন এসে তাকে পুলিশের হাত থেকে রক্ষা করে। পরে এলাকাবাসীর সন্দেহ হলে তারা দুই পুলিশ সদস্যকে ঘেরা করে রাখেন।

স্থানীয় লোকজনের সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সন্ধায় সিঙ্গাইর থানার এসআই মানিক ও কনস্টেবল জাহিদ একটি মোটরসাইকেল নিয়ে বলধরা ইউনিয়নের ছোট কালিয়াকৈর নতুন বাজার এলাকায় যান। বাজারের কহিনুর ইসলামের প্রসাধনীর দোকানের সামনে থেকে দিনমজুর হাশেম আলীকে ধরে নিযে যেতে থাকলে তার চিৎকারে এগিয়ে যান তারা। ইয়াবার অভিযোগে তাকে থানায় নিয়ে যেতে চাইলে তাদের সন্দেহ হয়। তারা এর প্রতিবাদ করে দুই পুলিশ সদস্যকে ঘেরাও করেন।

খবর পয়ে সিঙ্গাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা খন্দকার ইমাম হোসেন দ্রুত ঘটনাস্থলে যান। এলাকাবাসীর সঙ্গে দুই ঘণ্টা আলোচনার পর তিনি দুই পুলিশ সদস্যকে মুক্ত করে থানায় নিয়ে যান।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, এলাকার পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচিত ফরহাদ কতিপয় পুলিশের সঙ্গে যোগসাজশ করে নিরীহ লোকদের মাদকের মামলায় আটক করে পরে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে ছাড় করান।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দুই পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে গিয়ে হাশেম আলীকে আটক করেন দাবি করে ওসি খন্দকার ঈমাম হোসেন বলেন, কিন্তু খোঁজ নিয়ে জানা যায়, হাশেম আলী একজন ভালো ছেলে। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তথ্যদাতা পুলিশকে হাশেম আলী সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দেওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয় বলে দাবি করেন তিনি।

ইয়াবা দিয়ে দিনমুজুর হাশেম আলীকে ফাঁসানোর বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি বলেন, এ ব্যাপারে তার কিছু জানা নেই।

মানিকগঞ্জ পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামিম বলেন, ইয়াবা সেবন বা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত না থাকায় হাশেম আলীকে ঘটনাস্থল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তিনি আরো বলেন, বিষয়টি এখনো তদন্তাধীন। এ ঘটনায় পুলিশ বা সোর্স যেই জড়িত থাকুক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৩জুলাই/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :