বাটি চালানেও বিএনপির খোঁজ মিলবে না: নাসিম
দশম সংসদ নির্বাচনের মতো আগামী জাতীয় নির্বাচন বর্জন করলে ‘বাটি চালান দিয়েও’ বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। বলেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
শনিবার বিকালে পাবনা শহরে পুলিশ লাইনস মাঠে আওয়ামী লীগের জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে এ কথা বলেন নাসিম।
আগামী ডিসেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে পাবনাবাসী দুই হাত ধরে নৌকা মার্কায় ভোট দেবে বলেও আগাম ঘোষণা দেন নাসিম। বলেন, শেখ হাসিনা এই নির্বাচনেও জিতবেন।
সংবিধানের বাইরে গিয়ে নির্বাচনের কোনো সুযোগ নেই বলেও বিএনপিকে জানিয়ে দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
নাসিম বলেন, ‘আগামী নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী শেখ হাসিনার অধীনে। অন্য কোনোভাবে নির্বাচন হবে না। বিএনপি জ্বালাও পোড়াও ২০১৪ সালে করেছিল, আর কোনো সুযোগ নেই।’
‘আমেরিকায় যেভাবে নির্বাচন জয়, ব্রিটেনে যেভাবে নির্বাচন হয়, মালয়েশিয়ায় যেভাবে নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেরও সেভাবেই নির্বাচন হবে।’
‘আর তত্ত্বাবধায়ক সরকার কবে গোরস্থানে চলে গেছে, আর কোনোদিন এই সরকার গোরস্থান থেকে ফিরে আসবে না।’
বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে ক্ষমতাসীন দলের নেতা বলেন, ‘শেখ হাসিনরার আহ্বানে সাড়া দিয়ে নির্বাচনে আসুন। যদি না আসেন তাহলে বিএনপিকে বাটি চালান দিলেও বাংলাদেশে খুঁজে পাওয়া যাবে না।’
গত দুই বারের মতো আগামী নির্বাচনেও আওয়ামী লীগের জয় দেখছেন নাসিম। বলেন, ‘বিশ্বকাপে মেসি গোল মিস করতে পারে, নেইমার পেনাল্টি মিস করতে পারে, কিন্তু নির্বাচনে শেখ হাসিনা পেনাল্টি মিস করবেন না, অবশ্যই তিনি গোল দেবেন। নির্বাচনে বিজয় হবে শেখ হাসিনার।’
দুপুরে পাবনার রূপপুরে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের কংক্রিট ঢালাইয়ের কাজ উদ্বোধন করতে জেলায় যান শেখ হাসিনা। এরপর বিকালে তিনি যোগ দেন জনসভায়।
এই প্রকল্পটি ছাড়াও পাবনায় মোট ৪৯টি প্রকল্প উদ্বোধন অথবা ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী। এর মধ্যে পাবনাবাসীর বহুদিনের স্বপ্ন ট্রেন লাইনেরও উদ্বোধন হয়।
এর উল্লেখ করে নাসিম বলেন, ‘আমার পিতা মনসুর আলী রেলমন্ত্রী ছিলেন। তিনি পাবনায় ট্রেন লাইন করার প্রকল্প নিয়েছিলেন। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর জিয়া এই প্রকল্প বাতিল করে, এরশাদও এই প্রকল্প এগিয়ে নেয়নি। আজকে মনসুর আলীর প্রতিশ্রুত রেললাইন আপনি (প্রধানমন্ত্রী) উদ্বোধন করেছেন।’
পাবনার উন্নয়নে আওয়ামী লীগের নানা উদ্যোগ তুলে ধরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে আপনি পাবনায় গ্যাস দিয়েছিলেন। তারপরে এসে পাবনায় রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, বিদ্যুৎ দিয়েছেন।’
‘পাবনায় এমন কোনো গ্রাম নেই, এমন কোনো ঘর নেই যেখানে বিদ্যুৎ নেই। রূপপুরে পারিমাণবিক চুল্লির ব্যবস্থা করেছেন।’
‘২০০৯ সালে পাবনায় মেডিকেল কলেজ হয়েছিল। কিন্তু কোনো হাসপাতাল হয়নি। আমি কথা দিয়েছিলাম, ৫০০ বেডের হাসপাতাল হবে। আজকে আপনি সে কাজ শুরু করলেন।’
‘আপনি যা দিয়েছেন পাবনার মানুষ কৃতজ্ঞ। এখানে আর চাওয়ার কিছু নাই। … আজ পাবনার মানুষকে দেয়ার পালা আপনাকে। পাবনার মানুষ দুই হাত ভরে নৌকায় ভোট দেবে।’
ঢাকাটাইমস/১৪জুলাই/টিএ/ডব্লিউবি