বুড়িগঙ্গার তীরে নৈরাজ্য চলছেই
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে পড়েছে কামরাঙ্গীচর। এর শেষ প্রান্তে বুড়িগঙ্গা নদী। এলাকার ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডের মুন্সিহাটি, তুলাতলায় বুড়িগঙ্গার তীর। প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যও সেখানে অপরূপ। কিন্তু মানুষের অসচেতনতা আর নৈরাজ্যে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ঢাকার প্রাণ বুড়িগঙ্গা।
নদী দখল, তীরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান স্থাপন, নদীতে বর্জ্য ফেলা থেকে শুরু করে কত নৈরাজ্যই না হচ্ছে বুড়িগঙ্গার তীরে।
নদীর তীরে স্তূপ করা ইট আর বালু। তীরের মূল রাস্তার বেশ কিছুটা দখল করে গড়ে তোলা হয়েছে এসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয়দের দাবি, ব্যবসায়ীদের অনেকে নিজেদের প্রয়োজন মতো রাস্তা দখল করে ইট রাখছেন। আর এদের সঙ্গে রয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের যোগসাজশ।
স্থানীয় বাসিন্দা মুরাদ হাওলাদার ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘সব সময়ই তো ইট রাখে। কে বা কারা রাখে তা সবাই জানে। আমি বইলা আমার বিপদে পড়ার দরকার কী।’
শুধু ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নয়, দৈনন্দিনের সমস্ত ময়লা আবর্জনা ফেলা হয় এই নদীতে। নদী তীরে বসবাসকারী সিংহভাগ বাসিন্দা তাদের দৈনন্দিন আবর্জনা ফেলে বুড়িগঙ্গা নদীতে।
মুন্সিহাটি এলাকার চায়ের দোকানদার পারভেজ ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘এগুলা এগো জাতের অভ্যাস। ময়লা নেওয়ার গাড়ি আছে। তারপরো এরা ময়লা নদীতে ফালাইয়া যে কী মজা পায় তা হেরাই জানে। খালি নদী? এলাকার বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে তাকান, খালি প্লটগুলা দেখেন, সব ময়লা দিয়া ভরা।’
নদীতে ময়লা ফেলতে আসা কিশোরী নুসরাত বলেন, ‘মাছের ময়লা তো বাসায় রাখা যায় না, গন্ধ হয়। তাই ফালাইতে আসছি। নদীতে তো ময়লা ভাইসা যায়, সমস্যা কী?’
নদীর তীরে বিভিন্ন স্থানে ময়লার স্তূপ দেখা গেছে। ময়লা ফেলে তৈরি করা স্তূপে কিছুদিন পরপর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। এছাড়াও নদীর তীরে তৈরি করা হয়েছে অস্বাস্থ্যকর টয়লেট।
বিষয়টি সম্পর্কে অবগত স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূরে আলম ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমি জানি। আমি বারবার দখলগুলো উচ্ছেদ করেছি। পুলিশ প্রশাসনও করেছে। কিন্তু এরা আবার আসছে।’
ময়লা ফেলার বিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে বলে মনে করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এই ওয়ার্ড কাউন্সিলর। তিনি বলেন, ‘ময়লা নদী ফেলা ঠিক না। এখানে নদীর পাড়টা অরক্ষিত। আমি শুনেছি অনেকে নদীতে ময়লা ফেলে। এবিষয়ে জনসচেতনতা বাড়াতে হবে। আমি এবিষয়টা দেখবো।‘
(ঢাকাটাইমস/১৫জুলাই/কারই/জেবি)