‘চলতি অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ শিগগির’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৫ জুলাই ২০১৮, ১৫:২৫ | প্রকাশিত : ১৫ জুলাই ২০১৮, ১৫:০৫

বিগত অর্থবছরে রপ্তানি বাণিজ্যের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা খুব দ্রুতই নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

২০১৪-১৫ অর্থবছরে পণ্য খাতে সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোকে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

রবিবার দুপুরে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো যৌথভাবে এ অনুষ্ঠানের অয়োজন করে।

মন্ত্রী বলেন, 'বর্তমানে ৭৭২টি পণ্য ১৯৬ দেশে রপ্তানি হচ্ছে। ২০২১ সালে রপ্তানি ৬০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। চামড়া, তথ্য প্রযুক্তি, ফার্মাসিটিক্যালস, প্লাস্টিক, ফার্নিচার খাতকে আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। প্রয়োজন অনুপাতে অর্থসহায়তাও দিচ্ছি।'

তৈরি পোশাক খাতের অগ্রগতি ঈর্ষণীয় উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, 'রপ্তানি আয়ে তৈরি পোশাক খাতে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। কারখানাগুলোকে গ্রিন ফ্যাক্টরিতে রূপ দিচ্ছি, যা বিশ্বের কাছে সম্মান অর্জন করেছে।'

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী এমপি।

এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব শুভাশীষ বসু, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান বিজয় ভট্টাচার্য।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, 'বর্তমানে বাংলাদেশে বিশ্বের ৩২তম অর্থনৈতিক শক্তি। এক সময় বৈদেশিক সাহায্যের ওপর নির্ভর করে আমরা বাজেট করতাম। এখন আমরা নিজেদের ওপর নির্ভর করেই বাজেট দিয়েছি।'

ব্যবসায়ীদের নানা সমস্যার দিক তুলে ধরে রপ্তানি আয় বাড়াতে তা সমাধানের দাবি জানান এফবিসিসিআই সভাপতি। এসময় তিনি বলেন, '৭.৫৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বিশ্বের অনেক দেশেই নাই। আমরা টেক্সটাইলের ওপর নির্ভর হয়ে পড়ছি। অন্য খাতগুলোতে আমরা কেন পারছি না? আগামী দিনে গ্যাস ও বিদ্যুতের দাম কী হবে? পোর্টে প্রতি ঘণ্টায় খরচ বাড়ে এসব দিকে তাকাতে হবে। তাহলে ২০২১ আমাদের লক্ষ্যমাত্রা, ১০০টি অর্থনৈতিক এলাকার আমরা লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি, তা পূরণ করতে পারবো। ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত দেশ গড়তে রপ্তানি বাড়াতে হবে।'

২০১৪-১৫ অর্থবছরে রপ্তানি ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখায় ২৮টি খাতে ৬২টি প্রতিষ্ঠান ও খাত নির্বিশেষে একটি প্রতিষ্ঠানসহ মোট ৬৩টি প্রতিষ্ঠানকে ট্রফি প্রদান করা হয়। এরমধ্যে ২৮টি স্বর্ণ, ২০টি রৌপ্য ও ১৪টি ব্রোঞ্জ ট্রফি প্রদান করা হয়। 'জাবের অ্যান্ড জোবায়ের ফেব্রিক লিমিটেড' প্রতিষ্ঠানকে সেরা রপ্তানিকারণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বিজয়ীদের হাতে ট্রফি তুলে দেন।

(ঢাকাটাইমস/১৫জুলাই/কারই/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

বয়কটের ডাকে অর্ধেকে নেমেছে তরমুজের দাম, তবুও ক্রেতা নেই

দুঃস্থ ও অসহায়দের মাঝে জনতা ব্যাংকের ইফতার সামগ্রী বিতরণ

ঈদ উৎসব মাতাতে ‘ঢেউ’য়ের ওয়েস্টার্ন সংগ্রহ

৮ হাজার কোটি টাকার ১১ প্রকল্প অনুমোদন একনেকে

সিটি ব্যাংকের ২০২৩ সালের মুনাফা ৬৩৮ কোটি টাকা, বেড়েছে ৩৩%

ঈদ অফারে বিনামূল্যে মিনিস্টারের রেফ্রিজারেটর পেলেন আসাদুজ্জামান সুমন

সোনালী ব্যাংকে ‘বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক নেতৃত্ব ও দেশের উন্নয়ন’ শীর্ষক আলোচনাসভা

সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৭টি নতুন উপশাখার উদ্বোধন

স্বাধীনতা দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের শ্রদ্ধা

মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে কর্মসংস্থান ব্যাংকের শ্রদ্ধা

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :