ব্যক্তিগত সম্পত্তির স্বীকৃতি দিচ্ছে কিউবা
এই প্রথম ব্যক্তিগত সম্পত্তির স্বীকৃতি দিতে যাচ্ছে কমিউনিস্ট শাসিত কিউবা। দেশটির নতুন একটি সংবিধানে এ স্বীকৃতি দেয়া হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে বিবিসি।
১৯৫৯ সালে ফিদেল ক্যাস্ত্রো ক্ষমতা গ্রহণের পর ব্যক্তিগত সম্পদ বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়। পরে ২০১১ সালে আইন পরিবর্তন করে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়া হয়।
কিউবার সোভিয়েত আমলের সংবিধানে শুধু রাষ্ট্রীয়, সমবায়, কৃষক, ব্যক্তিগত ও যৌথ উদ্যোগভুক্ত সম্পত্তির স্বীকৃতি আছে।
কমিউনিস্ট শাসিত দেশটির নতুন সংবিধান কেন্দ্রীয় পরিকল্পনা এবং রাষ্ট্রীয় ব্যবসাকে অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে নিশ্চিত করবে।
আগামী সপ্তাহে দেশটির জাতীয় সংসদে নতুন এই সংবিধান ভোটের মাধ্যমে পাস হওয়ার কথা রয়েছে।
খসড়া এই সংবিধানটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য একটি গণভোটের আয়োজন করা হবে।
নতুন এই সংবিধান পাস হলে ১৯৭৬ কমিউনিস্ট পার্টি অনুমোদিত সংবিধানের সঙ্গে প্রতিস্থাপিত হবে।
অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার লক্ষে ও কিউবার সমাজতন্ত্রকে আরও টেকসই করে তুলতে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট রাউল কাস্ত্রো অর্থনৈতিক সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। এরপর ২০১০ থেকে দেশটির কয়েক লাখ নাগরিক ব্যক্তিগত ব্যবসা শুরু করে স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা শুরু করেন। এভাবে দেশটিতে রেস্তোরাঁ থেকে শুরু করে বিউটি পার্লারসহ বিভিন্ন ব্যক্তিগত মালিকানাধীন ব্যবসার প্রসার হয়।
নতুন সংবিধানের খসড়ায় ২২৪টি আর্টিকেল আছে বলে জানিয়েছে গ্রানমা। আগের সংবিধানে ১৩৭টি আর্টিকেল ছিল বলে কিউবার গ্রানমা পত্রিকা জানায়।
নতুন সংবিধানে মুক্ত বাজার ও ব্যক্তিগত সম্পত্তি, উভয়ের স্বীকৃতি সন্নিবেশিত হয়েছে বলে জানিয়েছে গ্রানমা।
সংবিধান প্রণয়ন কমিশনের প্রধান হিসেবে আছেন ৮৭ বছর বয়সী নেতা রাউল কাস্ত্রো। তিনি দেশটির কমিউনিস্ট পার্টিরও প্রধান। কিউবার নতুন প্রেসিডেন্ট মিগেল দিয়াস-কানেলও সংবিধান প্রণয়ন কমিশনের সদস্য হিসেবে আছেন।
নতুন সংবিধানে প্রধানমন্ত্রী পদ সৃষ্টি করার পাশাপাশি রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধানের ভূমিকাও পৃথক করে দেয়া হবে। প্রেসিডেন্ট জাতীয় পরিষদ প্রধান হবেন এবং পাঁচ বছর মেয়াদে পর পর দুই বার প্রেসিডেন্ট পদে থাকতে পারবেন।
(ঢাকাটাইমস/১৫জুলাই/এসআই)