বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ

চাঁদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৫ জুলাই ২০১৮, ২২:১৬

চাঁদপুরে প্রেমে ও বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ১০ম শ্রেণির স্কুলছাত্রীকে হাত-পা-মুখ ও চক্ষু বেঁধে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পুলিশ রবিবার আটক রুবেলকে চাঁদপুর আদালতে হাজির করার পর জামিন চাওয়া হলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।

এ ঘটনায় শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় পুলিশ সুপারের নির্দেশে চাঁদপুর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক বিপ্লব অভিযুক্ত যুবক রুবেলকে তার বোনের জামাই হারুন ছৈয়ালের বাড়ি থেকে আটক করে।

ধর্ষণের পর জ্ঞান হারিয়ে ফেলা রক্তাক্ত আহত ছাত্রীকে শুক্রবার রাত ২টায় চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ঘটনাটি ঘটেছে, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে সদর উপজেলার দক্ষিণ বালিয়া ছৈয়াল বাড়ির পেছনে একটি জঙ্গলে।

স্কুলছাত্রীর অভিযোগ, এ ঘটনায় রুবেলকে সহযোগিতা করেছে তার ভগ্নিপতি হারুন-অর-রশিদ ছৈয়াল ওরফে হারুন।

ঘটনার বিবরণে জানা গেছে, চাঁদপুর সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ বালিয়া বাখরপুর গ্রামের ছৈয়াল বাড়ির ওলি উল্লাহ্র ছৈয়ালের ছেলে মো. রুবেল ছৈয়াল প্রতিবেশী বালিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণির ছাত্রীকে দীর্ঘ দিন যাবত প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হয়। এতে রুবেল ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে দেখে নেবে বলে হুমকি দিয়ে যাচ্ছিল। এক পর্যায়ে প্রেমে ব্যর্থ হয়ে রুবেল অভিভাবকের মাধ্যমে ১০ম শ্রেণির ছাত্রীকে কয়েকবার বিয়ের প্রস্তাব দেয়। মেয়েটির মা সেলিনা বেগম সরাসরি প্রস্তাব নাখোজ করে দেন। বলেন, তার মেয়ে এখনও নাবালিকা।

গত কয়েকদিন আগে রুবেল ঢাকা থেকে বাড়িতে এসে আবার স্কুলছাত্রীকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে কোন সাড়া পায়নি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে শুক্রবার রাত ১০টায় তার ভগ্নিপতি এলাকার হারুন-অর-রশিদ ছৈয়াল ওরফে হারুনকে সাথে নিয়ে স্কুলছাত্রীর মায়ের অনুপস্থিতিতে তাদের ঘরে ঢুকে একা পেয়ে প্রথমে চক্ষু ও মুখ বেঁধে ফেলে। পরে তার হাত-পা বেঁধে বাড়ির পাশের জঙ্গলে নিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করে বিয়েতে রাজি হওযার জন্য। স্কুলছাত্রী রাজি না হওয়ায় তাকে ধর্ষণ করা হয় বলে ওই ছাত্রী জানায়।

পরে সে জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে জঙ্গলে ফেলে রুবেল ও তার ভগ্নিপতি পালিয়ে যায়। স্কুলছাত্রীর মা তাকে না পেয়ে খুঁজতে খুঁজতে অজ্ঞান অবস্থায় জঙ্গল থেকে উদ্ধার করে।

পরে স্কুলছাত্রীর অভিভাবক তাকে শুক্রবার রাত ২টায় চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন।

স্কুলছাত্রীর ভাই মাসুদ জানায়, বাবা কয়েক বছর আগে মারা যাবার পরে সিএনজি চালিয়ে টাকা রোজগার করে একমাত্র আদরের ছোট বোনকে স্কুলে পড়ালেখা করাই। আমার পাশের বাড়ির ছেলে রুবেল আমার বোনকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করত।

এ ব্যাপারে গাইনি বিভাগের ডা. ফাতেমা বেগম জানান, মেডিকেল রিপোর্ট আসার পর ধর্ষণ হয়েছে কিনা তা বলা যাবে।

এ ঘটনায় স্কুলছাত্রীর মা সেলিনা বেগম চাঁদপুর মডেল থানায় একটি অভিযোগ করেন।

চাঁদপুর মডেল থানার ওসি ওলি উল্লাহ্ ওলি জানান, ধর্ষণের খবর শোনার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় চাঁদপুর মডেল থানায় ভিকটিমের পরিবার মামলা করেছে। অভিযোগের কারণে ধর্ষণকারী রুবেলকে আটক করা হয়েছে। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/১৫জুলাই/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :