নাটোরে ‘ঈদ আনন্দ মেলা’ বন্ধ করলেন এমপি

সাইফুল ইসলাম, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৬ জুলাই ২০১৮, ১২:২৭

নাটোরে একটি সমিতিকে ঈদ আনন্দমেলা আয়োজনে অনুমতি দেয়া হলেও নাটোর-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস তা বন্ধ করে দিয়েছেন। প্রশাসন এর অনুমতি দিলেও স্থানীয় জনতা এবং মুক্তিযোদ্ধারা মেলাটি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন। পরে তাদের দাবির মুখে নেতা-কর্মীদেরকে নিয়ে প্যান্ডেল ভেঙে দেন সংসদ সদস্য।

সংসদ সদস্য আব্দুল কুদ্দুস ঢাকাটাইমসকে বলেন, 'জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ব্যবহার করে যাত্রাপালা, হাউজি, লটারি করতে চেয়েছিল মেলার আয়োজকরা। এটা জানার পর সেখানে গিয়ে স্থানীয় জনগণকে সাথে নিয়ে মেলা ভেঙে দিয়েছি। মেলার নামে কোন প্রকার জুয়া, লটারি ও অশ্লীলতার আয়োজন করা হলে, তা প্রতিহত করা হবে।'

‘জেলা মুক্তিযোদ্ধা জনতা কল্যাণ সমিতি’ নামে সংগঠনটিকে প্রশাসনের অনুমতি দেয়া নিয়ে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে আপত্তি ছিল। তারা এই সংগঠনটিকে ভুইফোঁড় বলছেন। বলছেন, মুক্তিযোদ্ধাদের নাম ব্যবহার করে তারা অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করছিল।

মেলায় যাত্রা, সিট খেলা, খাম খেলা, বউখেলা, হাউজির পাশাপাশি র‌্যাফেল ড্রর আয়োজন করা হয়েছিল। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উপর প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শনের আয়োজনও রাখা হয়েছিল। উদ্দেশ্য হিসেবে সমিতির সদস্য ও অফিসের উন্নয়নকল্পে তহবিল গঠনের কথা জানানো হয়।

গত ৯ জুলাই সহকারী কমিশনার খন্দকার রবিউল ইসলাম নাটোর সদর ও বড়াইগ্রাম উপজেলার সংযোগস্থল আহম্মদপুরের কদিম সাতুরিয়া এলাকায় মাসব্যাপী মেলা আয়োজনের অনুমতি দেন।

রবিবার মেলা শুরুর দিন বিকেল সাড়ে চারটার পর নাটোর থেকে বড়াইগ্রাম যাওয়ার পথে আহম্মদপুর বাজারে মেলা প্যান্ডেলের ভেতর ঢুকেন সংসদ সদস্য কুদ্দুস। এ সময় স্থানীয় এলাকাবাসী মেলা ভেঙে দিতে অনুরোধ করেন। এরপর কুদ্দুসের দলীয় কর্মীরা প্যান্ডেল ভেঙে দেন।

জেলা প্রশাসনের অনুমতিপত্রে বলা হয়, নয়টি শর্তে মেলার অনুমতি দেয়া হয়। এগুলো ছিল: আদেশের অতিরিক্ত প্রদর্শনী নিষিদ্ধ, আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখা, পুরুষ-নারীর প্রবেশে আলাদা ব্যবস্থা রাখা, স্বেচ্ছাসেবক নিযুক্তি ও তার তালিকা থানায় সরবরাহ, যানজট সৃষ্টি না করা প্রভৃতি। নাটোর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেসমিন আক্তার বানু জানান, অনুমতিপত্রের অনুলিপি তিনি পাননি। তবে মেলার প্যান্ডেল ভেঙে দেয়া হয়েছে বলে তিনি জেনেছেন।

জেলা প্রশাসক শাহিনা খাতুন বলেন, 'জেলা প্রশাসন নয়, মেলায় বাধা না দিতে হাইকোর্টের আদেশ দিয়েছিল। আদেশের প্রতি সম্মান দেখিয়েই মেলা পরিচালনার অনুমতি প্রদান করা হয়েছিল।'

ঢাকাটাইমস/১৬জুলাই/প্রতিনিধি/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :