গ্রাহক ও আয় দুটোই বেড়েছে গ্রামীণফোনের

প্রকাশ | ১৬ জুলাই ২০১৮, ১৪:২০

বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

২০১৮ সালের প্রথম প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এই প্রান্তিকে গ্রাহক ও আয় দুটোই বেড়েছে টেলিকম অপারেটরটির। বর্তমানে অপারেটরটির গ্রাহক সংখ্যা ৬ কোটি ৯২ লাখ। এই প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি ছিল গত বছরের তুলনায় ৫.৯% বেশি। ডাটা গ্রাহক বা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাড়িয়েছে ৩ কোটি ৪৫ লক্ষ যা মোট গ্রাহকের ৪৯.৯% । 

২০১৮ এর প্রথমার্ধে গ্রামীণফোনের রাজস্ব আয় হয়েছে ৬৩৮০ কোটি টাকা। যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১.২% বেশি।

ডাটা থেক অর্জিত রাজস্বের প্রবৃদ্ধি ছিল ২১,১% আর ভয়েস থেকে অর্জিত রাজস্বের প্রবৃদ্ধি হয় ২.৪%। গত প্রান্তিক থেকে অনুসৃত নতুন অ্যাকাউন্টিং নিয়মাবলীকে আমলে নিয়ে গত বছরের তুলনায় আমাদের মোট রাজস্ব প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪.৬%। 

গ্রামীণফোনের সিইও মাইকেল ফোলি বলেন, ‘তীব্র প্রতিযোগিতার কারণে ২০১৮ এর প্রথমার্ধ ছিল খুবই কঠিন। তবুও আমরা   স্বাস্থ্যকর প্রবৃদ্ধি এবং মার্জিন বজায় রাখতে পেরেছি ‘

তিনি আরো বলেন,"আমরা ২০ লাখ ৪জি গ্রাহকের মাইলফলক অতিক্রম করেছি এবং গ্রাহকদের সেরা অভিজ্ঞতা দিতে  আমাদের নেটওয়াক বিস্তার ও আধুনিকায়নের কাজ পরিকল্পনামাফিক এগিয়ে চলছে। আমাদের সুসংহত ভয়েস ও প্রতিযোগিতামূলক ডাটা অফার গ্রাহকদের কাছে আকর্ষণীয় হয়েছে।’

বছরের প্রথমার্ধে গ্রামীণফোনের কর পরবর্তী নেট মুনাফা হয়েছে ২৬ % মার্জিন সহ ১৭২০ কোটি টাকা। এই সময় শেয়ার প্রতি আয় অর্থাৎ ইপিএস ১২.৭৪ টাকা হয়েছে। 

গ্রামীণফোনের সিএফও কার্ল এরিক ব্রোতেন বলেন, ‘বছরের প্রথমার্ধে গ্রামীণফোনের ইবিআইটিডিএ এবং মার্জন দুটোই বেড়েছে। বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্যেও আমরা ইতিবাচকভাবে ২০১৮ এর প্রথমার্ধ শেষ করতে পেরেছি।

গ্রামীণফোন লিমিটেড ৪জি লাইসেন্স, স্পেকট্রাম, প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা ফি এবং নেটওয়ার্ক কাভারেজ ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বছরের প্রথমার্ধে বিনিয়োগ করেছে ২৫৪০ কোটি টাকা। এই সময়ে কোম্পানি কর, ভ্যাট, শুল্ক, স্পেকট্রাম বরাদ্দ, প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা ও লাইসেন্স ফে আকারে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অবদান ৪৭৯০ কোটি টাকা প্রদান করেছে যা মোট রাজস্বের ৭৪.৭%।

(ঢাকাটাইমস/১৬জুলাই/এজেড)