শিবচরে যুবক হত্যা, নেত্রকোনা থেকে আসামি গ্রেপ্তার
মাদারীপুরের শিবচরে মোটরসাইকেল চালক আনোয়ার বেপারি হত্যা রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। আতশবাজি ও পটকা জাতীয় বোমা বিক্রির বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরেই খুন হন আনোয়ার। লাশের যাতে খোঁজ না মিলে এ জন্য ট্রলারের গ্রাফি দিয়ে কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে মৃতদেহ ফেলা দেয়া হয় পদ্মা নদীর মূল স্রোতে।
রবিবার রাতে নেত্রকোনার কমলকান্দা থেকে গ্রেপ্তারের পর এ মামলার অন্যতম আসামি মনির ফকির পুলিশের কাছে চাঞ্চল্যকর এসব বর্ণনা দেন।
এ হত্যায় ১০-১২ জন জড়িত বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। ঈদের পাঞ্জাবি দেয়ার কথা বলে কৌশলে আনোয়ারকে ডেকে আনা হয়েছিল বলে মনির জানান।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, শিবচর উপজেলার কাঠালবাড়ি ইউনিয়নের তোতা বেপারিকান্দি গ্রামের আনোয়ার বেপারি ওরফে আয়নালের সাথে আতশবাজি ও পটকা বিক্রি নিয়ে একই এলাকার মনির ফকিরের পক্ষের বিরোধ চলছিল। এরই জের ধরে প্রভাবশালী বংশের সন্তান আনোয়ার মনির পক্ষের লোকদের মারধর করে। এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে ১৩ জুন রাতে ঈদের পাঞ্জাবি দেয়ার কথা বলে আনোয়ারকে ডেকে আনে মনির, আতিকসহ ওই পক্ষের ১০-১২ জন। এরপর প্রথমে আনোয়ারের গলায় ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়। পরে ট্রলারে উঠিয়ে ধারালো গ্রাফি দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশ ট্রলার যোগে মাঝ পদ্মা নদীর স্রোতে নিয়ে হাত-পা বেঁধে ফেলে দেয়া হয়।
১৫ জুন লাশটি ভেসে উঠলে পদ্মা নদীর মুন্সিগঞ্জের লৌহজং এর চায়না প্রজেক্টের কাছ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। লাশ উদ্ধারের দিনই আতিক ফকির নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
শিবচর থানার এসআই আমির হোসেনের নেতৃত্বে রবিবার রাতে মনিরকে নেত্রকোণার কমলকান্দার নাজিরপুর বাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
নিহত আনোয়ার উপজেলার কাঠালবাড়ির আইয়ুব আলী বেপারির ছেলে।
মনির ফকির শিবচরের কাঠালবাড়ি ইউনিয়নের মাগুরখন্ড গ্রামের হাজী নুরুল ইসলাম ফকিরের ছেলে।
এসআই আমির হোসেন বলেন, পটকা ও আতশবাজি নিয়ে এ হত্যাকাণ্ডে ১২-১৫ জন জড়িত। জড়িতদের সব তথ্য আমাদের হাতে এসেছে।
শিবচর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাজাহান মিয়া বলেন, মনিরকে গ্রেপ্তারের মধ্যদিয়ে হত্যা রহস্যটি উন্মোচন হয়েছে। আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
(ঢাকাটাইমস/১৬জুলাই/প্রতিনিধি/এলএ)