গাজীপুর ও খুলনার মতো ভোট তিন সিটিতে নয়: ইসি

বরিশাল ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৬ জুলাই ২০১৮, ২১:৩৯ | প্রকাশিত : ১৬ জুলাই ২০১৮, ২০:৩৩

খুলনা এবং গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে যেসব অভিযোগ উঠেছিল, আসন্ন তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সেগুলো উঠবে না বলে নিশ্চয়তা দিয়েছেন একজন নির্বাচন কমিশনার। বলেছেন, রাজশাহী, বরিশাল ও সিলেটে যেন কোনো কেন্দ্রে ভোট বন্ধ রাখতে না হয়, সেটা নিশ্চিত করবেন তারা।

নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার জানিয়েছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে তারা বলেছেন, সিটি নির্বাচন কোনোভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না। তারা যেন সেভাবেই কাজ করে।

সোমবার বিকালে বরিশালের নগরীর শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ মিলনায়তনে সিটি নির্বাচনের মেয়র ও কাউন্সিরর প্রার্থীদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন নির্বাচন কমিশনার।

আগামী ৩০ জুলাই বরিশালের পাশাপাশি রাজশাহী ও সিলেটে ভোট হচ্ছে। এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে আনুষ্ঠানিক প্রচার।

গত ১৫ মে খুলনা এবং ২৬ জুন গাজীপুরের নির্বাচনের ভোটে বড় ব্যবধানে হেরেছে বিএনপি। তবে দলের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, তারা স্বাধীনভাবে প্রচার চালাতে পারেনি আর ভোটের দিন কেন্দ্র দখল করে সিল মারা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে অবশ্য এসব অভিযোগকে ঢালাও বলা হয়েছে। তারা খুলনায় তিনটি এবং গাজীপুরে নয়টি কেন্দ্রে ভোট বন্ধ করে দেয়ার কথা জানিয়ে বলছে, অন্য কেন্দ্রগুলোতে ভোট হয়েছে সুষ্ঠু।

তবে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিএনপি অভিযোগ জানিয়ে যাওয়ার প্রেক্ষিতে সেখানে কী হয়েছে, তা তদন্ত করতে একজন নির্বাচন কমিশনারকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। যদিও তিনি এখনও প্রতিবেদন জমা দেননি।

গত ১০ জুন তিন সিটি করপোরেশনের প্রচার শুরুর পর বিএনপির পক্ষ থেকে আবারও নানা অভিযোগ করা হচ্ছে। ভোটে নির্ধারিত মাত্রার চেয়ে বেশি খরচ, পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার অভিযান, দলের নেতা-কর্মীদেরকে প্রচারে বাধার অভিযোগ এনেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘গাজীপুর ও খুলনার নির্বাচন তিন সিটি নির্বাচনে হবে না। কোনো ভোট কেন্দ্রও বন্ধ করতে চাই না আমরা।’

‘নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য করতে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছি। প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে না এই নির্বাচন। ভোটাররা নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে যাবে। নিজের ইচ্ছায় ভোট দেবেন।’

দুই ‘এম পি’কে নির্বাচনে দেখতে চান না জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘এক এমপি হচ্ছে মাসেল পাওয়ার এবং অপরটা মানি পাওয়ার।’

‘নির্বাচন পরিচালনায় দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। যাতে তারা কারো চাপে নত স্বীকার না করে। সুষ্ঠু নির্বাচন করবেন এবং ভোট কেন্দ্রের পবিত্রতা রক্ষা করার কথা বলা হয়েছে। আর এটি যদি না পারে তাহলে এত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দরকার নেই।’

সভায় বরিশালের সাত মেয়র প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ছাড়া বাকি ছয় জনই ভোট নিয়ে শঙ্কার কথা বলেন। ক্ষমতাসীন দল বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের।

বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর প্রার্থীও নির্বাচন নানা অভিযোগ তুলে ধরেন।

বরিশাল জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমানের সঞ্চালনায় সভায় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ, প্রশাসন ও নির্বাচন কর্মকর্তারা।

ঢাকাটাইমস/১৬জুলাই/টিটি/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজশাহী ও সিলেট সিটি নির্বাচন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা