যশোরে অভিযুক্ত ধর্ষকের পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর অভিযোগ
যশোরে ধর্ষণের অভিযোগে আটক ইরাদ খান(৩০) নামে এক ব্যক্তি পুলিশি হেফাজতে মারা গেছেন বলে অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা।
তবে পুলিশ এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা বলছে সোমবার দুপুরে একই এলাকার মেহরন নেসা নামে (৭০) বছরের এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণের পর হত্যা করার অভিযোগে স্থানীয়দের গণপিটুনিতে ইরাদের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে সোমবার দিবাগত রাতে বসুন্দীয়া পুলিশ ক্যাম্পে৷
নিহত ইরাদ খান সদর উপজেলার বসুন্দীয়া ইউনিয়ানের জগনাথপুর গ্রামের হাবিব খানের ছেলে৷
নিহত ইরাদ খানের প্রতিবেশি আতিয়ার রহমান খান ও আকরাম খান ঢাকাটাইমসকে জানান, সোমবার দুপুরে জগনাথপুর গ্রামে মেহরন নেসা (৭০) নামে এক বৃদ্ধাকে ধর্ষণের পরে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় ইরাদকে এলাকার লোকজন মারধর করে সোমবার সন্ধ্যায় বসুন্দীয়া পুলিশ ক্যাম্পে দেয়। পুলিশ ইরাদকে আটক করে বসুন্দীয়া পুলিশ ক্যাম্পে নিয়ে যায়৷ সোমবার দিবাগত রাতে ইরাদ খান পুলিশ হেফাজতে মারা যায়৷
জানতে চাইলে বসুন্দীয়া ক্যাম্পের আইসি উপ-পরিদর্শক(এসআই) হায়াত মাহমুদ জানান, বৃদ্ধা মেহরন নেসাকে (৭০) ধর্ষণের পরে হত্যা করে রান্না ঘরে বস্তাবন্দী করে রেখেছিলেন ইরাদ৷ এলাকাবাসি ইরাদকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশের কাছে দেয়৷ প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তার অবস্থার অবনতি হলে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেয় পুলিশ।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তর্বরত চিকিৎসক আব্দুর রশীদ রাত সাড়ে বারোটার দিকে মৃত ঘোষণা করেন।
(ঢাকাটাইমস/১৭জুলাই/প্রতিনিধি/ওআর)