হোটেলে কিশোরির মৃত্যুর ঘটনায় ভগ্নিপতি রিমান্ডে
রাজধানীর মগবাজারে আবাসিক হোটেল থেকে বৃষ্টি নামে এক কিশোরির লাশ উদ্ধারের মামলায় নিহতের বোনের স্বামী সুমনের (২৬) পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত। বুধবার ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রমনা থানার সাব-ইন্সপেক্টর মো. মিজানুর রহমান সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। রিমান্ড শুনানিকালে আসামি পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিল না। এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজধানীর মিরপুরের পাইকপাড়া থেকে আসামি সুমনকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
ওইদিনই সকাল আটটার দিকে বৃষ্টি ও সুমন নিজেদের পরিচয় লুকিয়ে প্রিয়া ও রিয়াজ নামে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে বৈকালী নামের একটি হোটেল ওঠেন। কিছুক্ষণ পর রিয়াজ নাশতা আনার কথা বলে বের হয়ে ঘণ্টা খানেক পর ফিরে আসেন। এর কিছুক্ষণ পর তিনি হোটেলের লোকজনকে বলেন, প্রিয়া গলায় ফাঁস দিয়েছে। হোটেলের লোকজন এলে তিনি নিজেই ঝুলন্ত অবস্থায় কিশোরিকে নামিয়ে মাথায় পানি দিতে থাকেন। এক পর্যায়ে কৌশলে পালিয়ে যান। সুমন একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের গাড়িচালক। বৃষ্টি তেজগাঁও এলাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করত।
ওই ঘটনায় বৃষ্টির বাবা আনোয়ার হোসেন মঙ্গলবার রমনা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় তিনি অভিযোগ করেন, বৃষ্টিকে ফুঁসলিয়ে ও প্রলোভন দেখিয়ে তার সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে সুমন। এ বিষয়ে কয়েকবার পারিবারিকভাবে সুমনকে সতর্ক করা হয়। গত ১৬ জুলাই সকাল ৮টার দিকে বৃষ্টি বাসা থেকে তার কর্মস্থলের উদ্দেশ্যে বের হয়। সাড়ে ৯টার দিকে সুমন ফোন দিয়ে জানায় বৈকালী হোটেলে বৃষ্টি মারা গেছে। সুমনসহ অজ্ঞাতনামা আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে পরষ্পর যোগ সাজসে মগবাজার বৈকালী হোটেলে এনে হত্যা করে বলে অভিযোগ করেন আনোয়ার হোসেন।
ঢাকাটাইমস/১৮জুলাই/আরজেড/ডিএম