কোটা আন্দোলনের নেতা রাশেদ কারাগারে

প্রকাশ | ১৮ জুলাই ২০১৮, ১৭:৪০ | আপডেট: ১৮ জুলাই ২০১৮, ১৭:৪২

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মাদ রাশেদ খানকে দুই মামলায় ১৫ দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।

আজ বুধবার জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নুর কারাগারে পাঠানোর এই আদেশ দেন।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. ফজলুর রহমান আসামিকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন।

আসামি রাশেদের পক্ষে আইনজীবী জাহাঙ্গীর আলম, নুর উদ্দিন, জাইদুর রহমান প্রমুখ আইনজীবী তার জামিন চেয়ে শুনানি করেন। শুনানিতে তারা বলেন, রাশেদকে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন করা  হয়েছে। চিকিৎসার জন্য হলেও তার জামিন দেয়া দরকার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, জামিন দিলে পলাতক হবেন না।

গত ১ জুলাই রাশেদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর গত ২ জুলাই কোটা সংস্কার নিয়ে ফেসবুক লাইভে প্রধানমন্ত্রী সম্পর্কে মানহানিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় পুলিশের আবেদনে  ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে আদালত। ওই রিমান্ড শেষে গত ৮ জুলাই একই মামলায় আবার ৫ দিন এবং ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের ভিসির বাসায় ভাঙচুরের মামলায় আরও ৫ দিনের রিমান্ড দেয়া হয়।

এর আগে গত ১ জুলাই তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলাটি রাজধানীর শাহবাগ থানায় দায়ের করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক আল নাহিয়ান খান জয়।

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় অভিযোগ করা হয়, “গত ২৭ জুন আসামি রাশেদ তার নিজের ফেসবুক মুহাম্মাদ রাশেদ খাঁন থেকে ফেসবুক গ্রুপ ‘কোটা সংস্কার চাই (সকল ধরনের চাকরির জন্য)’ এ সন্ধ্যা ৮টা ৮ মিনিটে লাইভে এসে একটি বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, ‘মনে হচ্ছে, তার বাপের দেশ, সে একাই দেশের মালিক, ইচ্ছামতন যা ইচ্ছা তাই বলবে আর আমরা কোনো কথা বলতে পারব না।’ এই বক্তব্য ছাত্রসমাজের প্রতি উস্কানিমূলক। যার মাধ্যমে দেশের বিশ^বিদ্যালয়গুলোতে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে। এ আসামিকে রিমান্ড জিজ্ঞাসাবাদে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। সে অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অন্দোলনের জন্য ৭ লাখ টাকার বেশি সংগ্রহ করে।”

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’-এর ব্যানারে কয়েক মাস ধরে আন্দোলন করে আসছে একদল শিক্ষার্থী। তাদের আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী কোটা বাতিলের ‘ঘোষণা’ দিলেও সরকারি প্রজ্ঞাপন না আসা পর্যন্ত নানা কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। গত ৮ এপ্রিল কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় ঢাবি ভিসির বাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনিয়র সিকিউরিটি অফিসার এস এম কামরুল আহসান বাদী হয়ে মামলা মামলা করেন।

(ঢাকাটাইমস/১৮জুলাই/মোআ)