রাজশাহীতে উত্তেজনার পরদিনই সম্প্রীতি

রাজশাহী ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৮ জুলাই ২০১৮, ১৯:২৬ | প্রকাশিত : ১৮ জুলাই ২০১৮, ১৯:১৬

নির্বাচনী প্রচারে বোমা হামলার পর দুই পক্ষের মুখোমুখি অবস্থান আর উত্তেজনার পর দিনই রাজশাহীতে সম্প্রীতির ভাব। সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দুই প্রধান প্রার্থী আওয়ামী লীগের এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন ও বিএনপির মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের আলিঙ্গনে মুহূর্তেই উধাও সব উত্তেজনা।

আগামী ৩০ জুলাইয়ের ভোটকে সামনে রেখে রাজশাহীতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মুখোমুখি। একে অন্যের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগের মধ্যে মঙ্গলবার বিএপির এক পথসভায় বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। আর বিএনপি এ জন্য আওয়ামী লীগকে আর আওয়ামী লীগ দায়ী করে বিএনপিকে।

মুহূর্তেই রাজশাহীতে তৈরি হয় উত্তেজনা। ভোটের দুই সপ্তাহেরও কম সময় বাকি থাকতে এই ঘটনাটি কী প্রভাব ফেলে, পরিস্থিতি আরও সহিংস হয়ে উঠে কি না, এ নিয়ে তৈরি হয় উদ্বেগ।

কিন্তু পরদিনই এক আয়োজনে লিটন এগিয়ে গিয়ে বুলবুলকে কাছে টেনে নিলেন। আলিঙ্গনে মুহূর্তেই উধাও সব উত্তেজনা। আর উপস্থিত জনতা এবং অন্যান্যরাও প্রশংসা ভাসান লিটনকে। সামনের দিনগুলোতেও যেন এই সম্প্রীতি থাকে, সেটিই কামনা করেন তারা।

বুধবার রাজশাহী কর্মচারী কল্যাণ বোর্ড মিলনায়তনে প্রার্থীদের মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় নির্বাচন কমিশনার শাহাদত হোসেন চৌধুরী, নির্বাচন কমিশন সচিব, জেলা প্রশাসক ও মহানগর পুলিশ কমিশনারসহ নির্বাচনের সব মেয়র, কাউন্সিলর ও নারী কাউন্সিলর প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

সভার শেষের দিকে বুলবুল বক্তব্য দেন। এ সময় তিনি নানা অভিযোগ ও নির্বাচন কমিশানের কাছে তার প্রত্যাশাও তুলে ধরেন। এরপর মঞ্চে ওঠেন লিটন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ভোটাদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্বীপনার সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের শেষ দিন পর্যন্ত এমন পরিবেশ আমরা রাখতে চাই।’

বক্তব্য শেষ করে মঞ্চের সামনে প্রার্থীদের বসে থাকার নির্ধারিত স্থানে এসে সেখানে বসে থাকা বুলবুলের সাথে হাত মেলান লিটন। পরে বুকে জড়িয়ে ধরে কোলাকুলি করেন তিনি। এরপর বুলবুল ও নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলনের মাঝে শোফায় বসে যান লিটন।

এ সময় বুলবুলের পাশে বসে ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু।

দুই প্রার্থীর সম্প্রীতির দৃশ্য দেখে হাততালি দেন উপস্থিত অন্যান্য মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থীরা। পরে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দিতে গিয়ে সভার প্রধান অতিথি নির্বাচন কমিশনার শাহাদত হোসেন চৌধুরী, বিশেষ অতিথি নির্বাচন কমিশনারের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ও রাজশাহী পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তারও এর প্রশংসা করেন। তাঁরা সব প্রার্থীদের নির্বাচন চলাকালীন ও নির্বাচন পরবর্তী সময়েও এমন সৌর্হাদ্যপূর্ণ ও সম্প্রীতির সম্পর্ক রাখার আহ্বান জানান।

এর আগে গত ৬ জুলাই রাজশাহী কলেজ মাঠে এক বেসরকারি টেলিভিশনের নির্বাচনী টকশোতে অংশ নিয়েছিলেন বুলবুলের দিকে এগিয়ে গিয়ে তার সঙ্গে কোলাকুলি করেন লিটন। এ ঘটনায়ও প্রসংশিত হয়েছিলেন তিনি।

ঢাকাটাইমস/১৮জুলাই/আরআর/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

পৃথিবীতে কোনো দেশের গণতন্ত্র পারফেক্ট না: ওবায়দুল কাদের

সাকিবের বিএনএমে যোগ দেওয়ার বিষয়ে কিছু জানি না: ওবায়দুল কাদের

বিএনপির কেন্দ্রীয় তিন নেতার পদোন্নতি

দুর্নীতি ও ভোটাধিকার হরণ ছাড়া আ.লীগের আর কোনো অর্জন নেই : এবি পার্টি

‘দেশে ইসলামবিদ্বেষী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে’

ক্ষমতাসীনদের কেউ ভালো নেই: গয়েশ্বর

সিন্ডিকেটকে কোলে বসিয়ে বিরোধীদলের ওপর দায় চাপাচ্ছে সরকার: গণতন্ত্র মঞ্চ

ইফতার পার্টিতে আল্লাহ-রাসুলের নাম না নিয়ে আ.লীগের গিবত গায়: প্রধানমন্ত্রী

বাংলার মাটি থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার সাধ্য কারো নেই: ওবায়দুল কাদের

দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বন্ধু রাষ্ট্রের সহযোগিতা চাইলেন মঈন খান

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :