তিউনিশিয়া-মরক্কো-আলজেরিয়াকে নিরাপদ রাষ্ট্র' ঘোষণা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৯ জুলাই ২০১৮, ১৫:৫৫

জর্জিয়াসহ 'মাগরিব রাষ্ট্র' হিসেবে পরিচিত তিউনিশিয়া, মরক্কো এবং আলজেরিয়াকে নিরাপদ রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করেছে জার্মান মন্ত্রিসভা৷ তবে অনুমোদিত বিলটি জার্মানির সংসদের উচ্চকক্ষে চূড়ান্ত অনুমতি পেলে তবেই সেটি আইনে পরিণত হবে৷

জার্মানির মন্ত্রিসভা বুধবার এক বিল পাস করেছে, যেখানে তিউনিশিয়া, মরক্কো, আলজেরিয়া এবং জর্জিয়াকে নিরাপদ রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে৷ গতবছরও অবশ্য মন্ত্রিসভা এ ধরনের এক বিল পাস করে, যা জার্মান সংসদে বাতিল হয়ে যায়৷ এ বছর যদি জার্মান সংসদের উভয়কক্ষেই এটি অনুমোদন পায়, তাহলে এই দেশগুলোর মানুষের করা রাজনৈতিক আশ্রয়ের সাধারণ আবেদনগুলো সহজেই বাতিল হয়ে যাবে৷ তখন শুধুমাত্র বিশেষ কোনো কারণে এসব দেশের মানুষ জার্মানিতে আশ্রয়ের আবেদন করতে পারবেন৷

কোনো দেশকে নিরাপদ ঘোষণা করার অর্থ হচ্ছে সে-দেশের মানুষদের জার্মানিতে আশ্রয় গ্রহণের বিশেষ কোনো কারণ নেই৷ অর্থাৎ, নিরাপদ ঘোষিত দেশটিতে স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপনের ক্ষেত্রে কোনো বাধা নেই৷

প্রস্তাবিত বিলে জার্মান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্স্ট সেহোফার অবশ্য উল্লেখ করেছেন যে, এসব দেশ থেকে করা আবেদনের পাঁচ শতাংশেরও কম মঞ্জুর করা হয়৷ সেহোফার যে 'মাইগ্রেশন মাস্টার প্ল্যানের' কথা সাম্প্রতিক সময়ে বলেছেন, এই বিল সেই পরিকল্পনার অংশ৷

সংসদের উচ্চকক্ষে ভোটাভুটির অপেক্ষায় থাকা বিলটিতে এটাও উল্লেখ করা হয়েছে যে, বিলটি যদি অনুমোদন হয়, সেই অনুমোদনের দিন অবধি যেসব আশ্রয়প্রার্থী আশ্রয়ের আবেদন করেছেন এবং যারা ইতোমধ্যে সাময়িকভাবে দেশটিতে অবস্থানের অনুমতি পেয়েছেন, তারা যেসব কোর্স করছেন, সেগুলো চালিয়ে যেতে পারবেন৷ এমনকি যারা ইতোমধ্যে কাজ করতে শুরু করেছেন, তারাও সেটা চালিয়ে যেতে পারবেন৷

প্রসঙ্গত, জর্জিয়া ছাড়া অন্য তিন দেশকে নিরাপদ ঘোষণা সংক্রান্ত একটি বিল গত বছর জার্মান মন্তিসভায় অনুমোদন পেলেও সংসদের উচ্চকক্ষে বাতিল হয়ে যায়৷ মূলত জার্মানির যেসব রাজ্যের রাজ্য সরকারে সবুজ দল এবং বাম দলের অংশীদারিত্ব রয়েছে, সেসব রাজ্যের বাধার মুখে বিলটি গত বছর পাস হয়নি৷ এই দুই দলের দাবি হচ্ছে, এভাবে বিভিন্ন দেশকে 'নিরাপদ' ঘোষণার মাধ্যমে সেসব দেশে সত্যিকার অর্থেই বিপদে থাকা মানুষদের রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার পথও দুরূহ করে দেয়া হচ্ছে৷

চলতি বছরও বিলটি সংসদের উচ্চকক্ষে পাস হওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ, কেননা এবারও অনেক রাজ্যে জোট সরকারে সবুজ দল রয়েছে৷ সেদলের সহ-নেতা রবার্ট হেবাক এই বিলের সমালোচনা করে গণমাধ্যমকে বলেন, 'বিষয়টি যদি মাগরিব রাষ্ট্রগুলোর মানুষদের ফেরত পাঠানো হয়, তাহলে ফেরত পাঠানো সংক্রান্ত একটি কার্যকর চুক্তি করতে হবে৷ আর যদি বিষয়টি জার্মানিতে অপরাধ নিয়ন্ত্রণের হয়, তাহলে সেজন্য জার্মানিতে একটি সুসজ্জিত পুলিশ বাহিনী গড়তে হবে৷'

তিনি বলেন, 'এটা অস্বীকার করার উপায় নেই যে, মাগরিব রাষ্ট্রগুলো সাংবাদিক, সংখ্যালঘু এবং সমকামীদের জন্য নিরাপদ নয়৷ তারা এখনো সেসব দেশে নিপীড়ন এবং গ্রেপ্তারের ঝুঁকিতে আছেন৷' সূত্র: ডয়চে ভেলে

ঢাকাটাইমস/১৯জুলাই/একে

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

কলকাতা হাইকোর্টের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ মমতার

ভারী বৃষ্টিপাতে ক্ষতিগ্রস্ত কারাগার, পালালো শতাধিক বন্দি 

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্বে ১৩ রাজ্যের ৮৮ আসনে ভোটগ্রহণ শুক্রবার

ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করতে চায় আর্জেন্টিনা, কিন্তু কেন?

স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, দায়িত্বপালন থেকে বিরত থাকবেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী 

ইউক্রেনকে গোপনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

ইসরায়েল-ইরান সংঘাত: সিরিয়া কি নতুন যুদ্ধক্ষেত্র হবে?

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিবে জ্যামাইকা

পাকিস্তানের পর এবার শ্রীলঙ্কা সফরে ইরানের প্রেসিডেন্ট

বিরল সফরে ইরানে উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধিদল

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :