সাফল্যের ধারাবাহিকতায় আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ

নিজস্ব প্রতিবেদক, নরসিংদী
 | প্রকাশিত : ১৯ জুলাই ২০১৮, ২১:১৬

নরসিংদীর আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ এবারও ধারাবাহিকভাবে সাফল্য ধরে রেখেছে। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে বৃহস্পতিবার প্রকাশিত প্রতিষ্ঠানটি থেকে অংশ নেয়া ৮০৪ জন পরীক্ষার্থীর সবাই পাস করেছেন। এদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ২৭১ জন শিক্ষার্থী।

কলেজের প্রশাসনিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজ ২০১২ সাল থেকে টানা তিন বছর ঢাকা বোর্ডে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে। ২০১৫ সাল থেকে সেরাদের তালিকা না হলেও নিজেদের ধারাবাহিকতায় অক্ষুণ্ন রেখেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর একটায় ফলাফলের খবর ছড়িয়ে পড়লে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা কলেজ প্রাঙ্গণে ছুটে আসেন। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা নেচে-গেয়ে, আনন্দ উল্লাসে সাফল্য উদযাপন করে।

এবছর উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় মোট ৮০৪ জন শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে শতভাগ পাসসহ ২৭১ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন। এর মধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ৪৩২ জন অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১৯১ জন, ব্যবসায় শিক্ষা শাখা থেকে ১৯৪ জন অংশ নিয়ে ৪২ জন ও মানবিক শাখা থেকে ১৭৮ জন অংশ নিয়ে ৩৮ জন জিপিএ-৫ পেয়েছেন।

বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ পাওয়া আরিফা রহমান বলেন, ‘শিক্ষকদের সঠিক দিক-নির্দেশনা, নিয়মিত ক্লাস, বিশেষ ক্লাস, হোম ভিজিট, টিউটোরিয়াল ও মাসিক পরীক্ষা কারণেই এই ভাল ফলাফল হয়েছে।’

বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থী রাকিবুল আহমেদ রিমাজ বলেন, কলেজের শিক্ষকরা নিয়মিত আমাদের বাসায় এসে খোঁজখবর নিতেন। এ কারণে আমাদেরকে প্রতিনিয়ত লেখাপড়ায় ব্যস্ত থাকতে হচ্ছে যার কারণে আজ আমাদের এ সাফল্য।

আবদুল কাদির মোল্লা সিটি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ও থার্মেক্স গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল কাদির মোল্লা বলেন, সারাদেশের সকল নামিদামী প্রতিষ্ঠানের ফলাফল যখন বিপর্যয় হয়েছে সে তুলনায় আমাদের তরুণ শিক্ষকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এবং শিক্ষার্থীদের আন্তরিকতায় এবারও আমাদের ফলাফল অনেক ভাল। আমাদের শিক্ষার্থীরা শতভাগ পাস করেছে। এর ধারাবাহিকতা রক্ষায় আমার নিরন্তর চেষ্টা আছে, আগেও ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে।

কলেজের অধ্যক্ষ ড. মশিউর রহমান মৃধা বলেন, এ বছর মাধ্যমিক বোর্ড যে ধরনের প্রশ্ন কাঠামোতে পরীক্ষা নিয়েছে তাতে বলা যায় একজন শিক্ষার্থীর মেধা যাচাই হয়েছে। আর আমাদের কলেজের এ সাফল্য শিক্ষকদের মেধা ও শিক্ষার্থীদের মেধার সেতু বন্ধনের ফসল। এই কলেজের এক ঝাঁক তরুণ মেধাবী শিক্ষক সকাল থেকে শুরু করে মধ্য রাত অবধি তাদের নিরন্তর চেষ্টায়ই ধারাবাহিক এই সাফল্য। প্রতি ২০ জন শিক্ষার্থীর জন্য একজন দিক-নির্দেশক শিক্ষক রয়েছে। ওই শিক্ষক শুধু লেখাপড়া নয়, তাদের খেলাধুলা, স্বাস্থ্য, বিনোদন থেকে শুরু করে সকল ধরনের চাহিদা পূরণে সবসময় শ্রম দিয়ে আসছে।

(ঢাকাটাইমস/১৯জুলাই/বিএবি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :