ব্যবসায়ী স্বপন হত্যায় দুই আসামির স্বীকারোক্তি

প্রকাশ | ১৯ জুলাই ২০১৮, ২৩:০২

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নারায়ণগঞ্জ শহরের আলোচিত কাপড় ব্যবসায়ী স্বপন কুমার সাহা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন আসামি রত্না রাণী চক্রবর্তী ও আবদুল্লাহ আল মোল্লা মামুন।

এর মধ্যে রত্না আদালতকে জানিয়েছেন পিন্টু দেবনাথের সঙ্গে বিরোধের জের ধরেই তার (রত্না) বাড়িতে স্বপনকে ডেকে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়। তাকে হত্যার পর লাশ সাত টুকরো করে ফেলে দেয়া হয় শীতলক্ষ্যা নদীতে। তাদের হাতে স্বপন কুমার ও প্রবীর ঘোষের একই ধরনের মৃত্যু হলো।

বৃহস্পতিবার বিকালে পৃথকভাবে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আশেক ইমামের আদালতে গ্রেপ্তার রত্না রাণী চক্রবর্তী এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল মহসীনের আদালতে গ্রেপ্তার আবদুল্লাহ আল মোল্লা মামুনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

নিহত স্বপন কুমার সাহা নারায়ণগঞ্জ শহরের নিতাইগঞ্জ কাচারীগলি এলাকার মৃত সোনাতন চন্দ্র সাহার ছেলে।

গ্রেপ্তার রত্না আদালতকে জানিয়েছে, ২০১৬ সালের ২৭ অক্টোবর নারায়ণগঞ্জ শহরের মাসদাইর বাজার কাজী বাড়ির প্রবাসী আজহারুল ইসলামের ৪ তলা ভবনের ২য় তলায় রত্মা রাণী চক্রবর্তীর ফ্ল্যাট বাসায় স্বপনকে পেছন থেকে শিল পুতা দিয়ে আঘাত করে রত্না ও পিন্টু। পরে অচেতন অবস্থায় টয়লেটে নিয়ে তাকে সাত টুকরো করে। ব্যাগে ভরে স্বপনের দেহ অংশগুলো পিন্টু ঠান্ডা মাথায় ভবনের পাশে খালি স্থানে রাখে। পরে সুযোগ বুঝে শীতলক্ষ্যা নদীতে ফেলে দেয় পিন্টু।

স্বপন হত্যায় গত ১৫ জুলাই রাতে মাসদাইর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার হয় মামুন ও পিন্টুর বান্ধবী হিসেবে পরিচিত রত্মা রাণী চক্রবর্তী। ১৮ জুলাই রাতে গ্রেপ্তার রত্মা ও রিমান্ডে থাকা পিন্টুকে নিয়ে মাসদাইরে রত্মা যে বাড়িতে থাকে সেই বাড়িতে যায় ডিবি পুলিশের একটি টিম। পরে ওই ফ্ল্যাট থেকে নিহত স্বপন কুমার সাহাকে হত্যার জন্য ব্যবহৃত শিল পুতা, বটি, রক্তমাখা বিছানা চাদর ও তোষক উদ্ধার করা হয়।

এর আগে প্রবীর ঘোষ হত্যা মামলায় ৯ জুলাই গ্রেপ্তার হয় পিন্টু দেবনাথ। সেদিন তার দেখানো মতে শহরের আমলাপাড়া এলাকার ফ্লাট বাসার সেপটিক ট্যাংক থেকে প্রবীরের খন্ডিত লাশ উদ্ধার করা হয়। গত ১৮ জুন রাতেই প্রবীরকে হত্যা করেছিল প্রবীর।

স্বপন হত্যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই মফিজুল ইসলাম জানান, গ্রেপ্তার রত্মা ও মামুন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। রত্মার ফ্ল্যাট থেকে হত্যার জন্য ব্যবহৃত শিল পুতা, বটি, রক্তমাখা বিছানা চাদর ও তোষক উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া কাপড় ব্যবসায়ী স্বপন হত্যার স্বর্ণ ব্যবসায়ী পিন্টু ও তার সহকারী বাপনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

(ঢাকাটাইমস/১৯জুলাই/প্রতিনিধি/এলএ)