স্ত্রীর মামলায় গাজীপুর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ১৯ জুলাই ২০১৮, ২৩:০২ | আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৮, ২৩:০৭

গাজীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে স্ত্রীর দায়ের করা একটি মামলায় গাজীপুর মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাসুদ রানা ওরফে এরশাদকে (৩৪) এক তরুণীসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গাজীপুর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বুধবার রাতে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে।
মাসুদ রানা এরশাদ গাজীপুর শহরের রথখোলা এলাকার মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে। আর তার সঙ্গে গ্রেপ্তার মনীষা ভাদুড়ি মেরী গাজীপুর শহরের দক্ষিণ ছায়াবীথির জুয়েল ভাদুড়ির মেয়ে।

মাসুদ রানা এরশাদের স্ত্রী নাজমুন নাহার ওরফে রুনির (২৭) মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি পারিবারিকভাবে মাসুদ রানার সঙ্গে নাজমুন নাহার রুনির বিয়ে হয়। যৌতুক হিসেবে রানাকে ৩০ লাখ টাকা মূল্যের একটি প্রিমিও মডেলের গাড়ি দেয় রুনির পরিবার। রুনি-রানার সংসারে একটি মেয়েসন্তান রয়েছে।

বিয়ের পর এরশাদ কারণে-অকারণে স্ত্রীর ওপর অত্যাচার শুরু করেন বলে এজাহারে অভিযোগ করে বলা হয়, এর মধ্যে তিনি মনীষা ভাদুড়ি মেরী নামের এক নারীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলেন। স্বামীর পরকীয়ায় বাধা দিলে রুনিকে মারধরসহ নানাভাবে নির্যাতন করা হয়। গত ৮ জুলাই রানা আরও ৫০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। তা দিতে অস্বীকার করলে রুনিকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। পরকীয়ার জের ধরে গত ১১ জুলাই আবার বেধম মারধর করা হয় রুনিকে। একপর্যায়ে স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে রুনি বাবার বাড়ি চলে যান বলে এজাহারে বলা হয়।
গতকাল বুধবার দিবাগত রাতে গাজীপুর গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঢাকার বসুন্ধরা এলাকা থেকে মাসুদ রানা এরশাদকে গ্রেপ্তার করে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন, মনীষা ভাদুড়ি মেরীর বোন জয়া ভাদুড়ি (২৮), মা রিনা আচার্য (৫০) ও গাজীপুর সদরের বাড়িয়া এলাকার কামরুল ইসলাম (৩৮)।

গাজীপুর গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আমির হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে রানাও মেরীকে গ্রেপ্তার করে গাজীপুর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৯জুলাই/মোআ)