‘স্বপ্ন’ প্রকল্পের সুফল পাচ্ছে ৮৯২৮ দরিদ্র নারী

প্রকাশ | ২০ জুলাই ২০১৮, ১৮:০৯

ঢাকাটাইমস ডেস্ক

সরকারের একটি সামাজিক নিরাপত্তা প্রকল্প স্ট্রেঞ্জদেনিং ওমেন অ্যাবিলিটি ফর প্রডাক্টিভ নিউ অপারচ্যুনিটি (স্বপ্ন) সাতক্ষীরা ও কুড়িগ্রাম জেলার পল্লী এলাকায় আট হাজার ৯২৮ জন দরিদ্র লোককে তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সহায়তা করছে।

জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য তহবিল (এসডিজিএফ) এবং বিএসআরএম এর সহায়তায় স্থানীয় সরকার বিভাগ ২০১৫ সালের এপ্রিল থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পযর্ন্ত পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

এসডব্লিউএপিএনও প্রকল্পের প্রশিক্ষণ বিশেষজ্ঞ কাজল চ্যাটার্জী জানান, প্রকল্পের প্রথম পযার্য়ের কাজ সম্পন্ন হবার পর মোট চার হাজার ৪৬৪ জন বিধবা, তালাকপ্রাপ্ত এবং প্রতিবন্ধীদের স্ত্রী আগের চেয়ে অধিক স্বচ্ছল জীবন যাপন করছেন।

তিনি জানান, প্রথম পযার্য়ের কাজ সফলভাবে সম্পন্ন হবার পর দ্বিতীয় পযার্য়ের জন্য প্রকল্প ইতোমধ্যেই একই জেলার আরও চার হাজার ৪৬৪ জন অতি দরিদ্র্য লোক মনোনিত করেছে। তিনি আরো জানান, স্বপ্ন জেলার ১১২টি ইউনিয়নে ই-পেমেন্ট ব্যবস্থা চালু করেছে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভলপমেন্ট স্টাডিজ এর এক জরিপ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সুবিধাভোগি নারীরা প্রথম পর্যায়ে ১৮ মাসের একটি প্রশিক্ষণের জন্য ২০১৫ সালের ১৬ আগস্ট থেকে ২০১৭ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কাজ করেছে। এ সময়ে প্রত্যেক সুবিধাভোগি একটি গ্রাজুয়েশন বোনাস হিসাবে ২২ হাজার ১৫০ টাকাসহ ৬৬ হাজার ৪৫০ টাকা বেতন পেয়েছে।

প্রকল্পটি প্রায় ৪০ হাজার টাকা আয় বৃদ্ধিতে অবদান রাখছে। এতে তাদের দারিদ্র্য বিমোচনে সহায়ক হচ্ছে। এখন তারা আগের চেয়ে ভালোভাবে জীবন যাপন করছে। তারা দৈনন্দিন খাবারে এবং অন্যান্য পারিবারিক প্রয়োজনে বিশেষ করে সন্তানের লেখা পড়ায় অর্থ ব্যায় করতে পারছে।

সুবিধাভোগীদের এখন প্রধান সম্পদ হচ্ছে জীবনযাপন। অর্থের পরিমাণগত দিক থেকে নয়, তাদের জীবন যাপনের ধরন প্রায় ৪৩ শতাংশ বদলে দিয়েছে। গ্রাজুয়েশন বুনাস সুবিধাভোগীদের কৃষি জমি বরাদ্দ নিতে সহায়তা করছে। দিরমজুর থেকে এখন তাদের অনেকে কৃষক হতে পারছে। তারা স্বাবলম্বী হচ্ছে। এতে তাদের সামাজিক মযার্দাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রকল্পের সকল সূচক সুবিধাভোগীদের আরও উন্নত জীবনযাপনে উৎসাহিত করছে।–বাসস

(ঢাকাটাইমস/২০জুলাই/জেবি)