নারগীস সুলতানার পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন
প্রকাশ | ২০ জুলাই ২০১৮, ১৯:৫৩
পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন মানারত ইন্টারন্যশনাল ইউনিভার্সিটির ফার্মেসি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান নারগীস সুলতানা চৌধুরী। তার পিএইচডির বিষয় ‘Bioactive Compounds from three aquatic plants and their associated Endophytic Fungi’
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তিনি এই পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের প্রফেসর ড. মো. সোহেল রানা ও বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের (বিসিএসআইআর) প্রিন্সিপাল সাইন্টিফিক অফিসার ড. মো. হোসেন সোহরাবের তত্ত্বাবধানে গবেষণাটি সম্পন্ন করেন নারগীস সুলতানা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের প্রফেসর ড. চৌধুরী মাহমুদ হাসান ও কিংস কলেজ লন্ডনের সিনিয়র প্রভাষক ড. মো. খন্দকার মিরাজ রহমান তার গবেষণা উপদেষ্টা ছিলেন।
নারগীস সুলতানা ড. মো. কুদরাত-ই-খুদা ডক্টরাল ফেলোশিপ নিয়ে এই গবেষণা সম্পন্ন করেন। তিনি বর্তমানে মানারত ইন্টারন্যশনাল ইউনিভার্সিটির ফার্মেসি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও চেয়ারম্যান হিসেবে কর্মরত আছেন। এই সহযোগী অধ্যাপক তিনটি অ্যাকুয়াটিক প্ল্যান্ট নিয়ে কাজ করেন এবং এতে কয়েকটি সম্পূর্ণ নতুন কম্পাউন্ড পেয়েছেন যা ‘জার্নাল অফ ন্যাচারাল প্রডাক্ট (JNP)’ -এ প্রকাশিত। আবিষ্কৃত নতুন কম্পাউন্ড 9-desmethyl herbarin, 7-desmethyl scorpione, 7-desmethyl 6 methyl bostrycoidine, 2-6-dihydroxyundieca 7,9 dienoic acid প্রথম তিনটি compound মানব টিউমার Cell line এর (সার্ভিকেল ক্যান্সার, স্তন ক্যানসার, অগ্নাশয় ক্যানসার ও ফুসফুসের ক্যানসার) ওপর বিশেষভাবে কার্যকরী। অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল হিসেবেও এই নতুন কম্পাউন্ডগুলোর ভালো report পাওয়া গেছে।
নারগীস সুলতানার এই গবেষণালব্ধ ফলাফল ভবিষ্যতে নতুন ওষুধ উদ্ভাবনে উল্লেখযোগ্য রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। বিশেষ করে অ্যান্টি ক্যানসার ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ওষুধ উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে।
(ঢাকাটাইমস/২০জুলাই/বিইউ/জেবি)