প্রধানমন্ত্রীর গণসংবর্ধনায় তাকিয়ে মওদুদও

প্রকাশ | ২১ জুলাই ২০১৮, ১৪:৩৬ | আপডেট: ২১ জুলাই ২০১৮, ২০:২৫

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গণসংবর্ধনায় দৃষ্টি রাখছেন বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ। এখান থেকেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ঘোষণা শোনার প্রত্যাশায় তিনি।

শনিবার সকাল থেকেই সংবর্ধনায় আসা নেতা-কর্মীদের ঢলের মধ্যে জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনায় বক্তব্য রাখছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য।

জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক সাংস্কৃতিক জোটের অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এ আলোচনার আয়োজন করা হয়।

আওয়ামী লীগের সমাবেশের কথা উল্লেখ করে বিএনপি নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর সমাবেশে অনেক লোক হবে। এর মধ্য দিয়ে প্রমাণ হবে তিনি এবং তার দল অনেক জনপ্রিয়। আমরা আশা করব, এই জনপ্রিয়তা প্রমাণের জন্য আজকের গণসংবর্ধনা থেকে তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের ঘোষণা দেবেন।’

এই সংবর্ধনা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দেয়া হলেও মওদুদ দাবি করেন, এর খরচ যাচ্ছে সরকারি কোষাগার থেকে। বলেন, ‘আজ প্রধানমন্ত্রীকে গণসংবর্ধনা দেয়া হবে। সরকারি খরচে বিশাল আয়োজন সম্পন্ন করা হচ্ছে। তাতে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু আমাদেরকেও একইভাবে সমাবেশ করতে দিতে হবে।’

অনুমতির বেড়াজালে আটকে থাকা বিএনপি দীর্ঘদিন পর শুক্রবার রাজধানীতে সমাবেশ করেছে। দুই বছরের বেশি সময় পর নয়াপল্টনে দলীয় প্রধান বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার দাবিতে শান্তিপূর্ণভাবেই কর্মসূচি শেষ করে দলটি।

ওই সমাবেশে মওদুদ আগামীতে সমাবেশ করতে পুলিশের অনুমতির ধার ধারবে না বলেও ঘোষণা দেন।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ভল্ট থেকে স্বর্ণ চুরি হয়েছে দাবি করে এই ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদত্যাগও দাবি করেন মওদুদ আহমদ। বলেন, ‘এর আগে ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি হয়েছে। তখন গভর্নর আতিউর রহমান পদত্যাগ করেছিলেন, তেমনি বর্তমান গভর্নরেরও পদত্যাগ করা উচিত। তাহলে তার সম্মান বাঁচবে।’

সম্প্রতি শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে বাংলাদেশের ব্যাংকের ভল্টে রক্ষিত স্বর্ণের উপর প্রতিবেদন প্রকাশ করে একটি জাতীয় দৈনিক। সেখানে বলা হয় ভল্টে রক্ষিত ২২ ক্যারেটের স্বর্ণ পরে মেপে ১৮ ক্যারেট পাওয়া গেছে।

তবে বাংলাদেশ ব্যাংক সংবাদ সম্মেলন করে জানায়, এ নিয়ে শুল্ক গোয়েন্দার সঙ্গে তাদের মতবিরোধ ছিল শুরু থেকেই। আর ৪০ লেখতে গিয়ে ৮০ লিখে ফেলায় এই বিরোধ তৈরি হয়।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে বাধার কথা উল্লেখ করে মওদুদ বলেন, ‘এর মধ্যে দিয়ে একটা জিনিসই প্রমাণ করে এই সরকার একটি অসহনশীল সরকার। এই সরকার কোনও ধরনের সমালোচনা বরদাস্ত করতে পারে না।’

কোটা সংস্কার করা যাবে না-এটি সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বলা নেই উল্লেখ করে মওদুদ আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী গত ১১ এপ্রিল সংসদে দাঁড়িয়ে তিনি নিজেই বললেন কোটা বাতিল করে দিলাম। এখন আবার তিনি বলছেন কোটা পদ্ধতি থাকতে হবে।’

‘উনি সুপ্রিম কোর্টের একটি রায়কে উদাহরণ হিসেবে দেখিয়ে বলছেন রায়ের বিরুদ্ধে যাওয়া যাবে না। কিন্তু আমি আপনাদের বলতে চাই প্রধানমন্ত্রীকে সঠিকভাবে জানানো হয় নাই যে সুপ্রিম কোর্টের এমন কোনও রায় নাই যেখানে বলা আছে কোটা পদ্ধতি সংস্কার করা যাবে না।’

(ঢাকাটাইমস/২১জুলাই/বিইউ/ডব্লিউবি)