ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আশঙ্কায় আরিফুল, জনতায় আস্থা কামরানের

সিলেট ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২১ জুলাই ২০১৮, ১৮:৩২ | প্রকাশিত : ২১ জুলাই ২০১৮, ১৮:২১

‘জনগণের ওপর আস্থা’ রেখে প্রচারণা চালাচ্ছেন আওয়ামী লীগের নেতা বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। অন্যদিকে বিএনপির নেতা আরিফুল হক চৌধুরী সরকারি দলের বিরুদ্ধে পুলিশ দিয়ে হয়রানির অভিযোগ ও ‘ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের’ আশঙ্কা রয়েছেন।

আজ শনিবার নগরের আখালিয়া, নয়াবাজার, করেরপাড়া, যতরপুর, কালিঘাট ও নয়াবাজার এলাকায় গণসংযোগ চালিয়েছেন কামরান। আর কায়স্তরাইল, জেলরোড ও নয়াসড়ক এলাকায় প্রচারণা চালান আরিফুল।

প্রচারণাকালে কামরান বলছেন, ‘জনগণের ওপর আস্থা রেখেই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। বর্তমান সরকার বিগত সময়ে সিলেট নগরীর উন্নয়নে যে বিপুল পরিমাণ বরাদ্দ দিয়েছে, এবার নির্বাচনে নৌকা বিজয়ী হলে তা আরও বেগবান হবে।’

নগরীতে ভোটের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করছে দাবি করে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বলেন, ‘মানুষের মধ্যে প্রচুর উৎসাহ-উদ্দীপনা রয়েছে। দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হচ্ছে বলে মানুষের মধ্যে বিরাজ করছে বাড়তি আগ্রহ। প্রচারণায় জনগণের যে সাড়া পাচ্ছি, তাতে আমরা আশাবাদী আগামী নির্বাচনে নৌকা বিজয়ী হবে।’

এদিকে প্রচারণাকালে বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক ভোটের দিন সব ভোটারকে কেন্দ্রে যাওয়ার পাশাপাশি ভোটকেন্দ্রে অবস্থান করে কেন্দ্র পাহারা দেয়ারও আহ্বান জানাচ্ছেন।

নির্বাচনে কারচুপি ও ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করে আরিফুল হক বলছেন সবাই যাতে নিজের ভোট নিজে দেন এবং নিজ নিজ ভোটকেন্দ্রের দিকে সজাগ দৃষ্টি রাখেন।

বিএনপির মেয়র প্রার্থীর দাবি, আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাকে সাহায্য করছেন। সবাই উৎসবমুখর পরিবেশে আছেন। কিন্তু আমরা শঙ্কার মধ্যে আছি, ইলেকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের আভাস পাচ্ছি। যদি কোনো অবৈধ পথ বেছে নেয়া হয়, তবে সিলেটের মানুষ সমুচিত জবাব দেবে। আর সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন হলে ইনশাল্লাহ বিজয় আমাদের সুনিশ্চিত।’

পুলিশ দিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের বাসায় বাসায় তল্লাশি করে ভয়ভীতি প্রদর্শনেরও অভিযোগ করেন আরিফুল। তিনি বলেন, ‘নেতাকর্মীদের এলাকা ছেড়ে যেতে বলা হচ্ছে। রাতে পুলিশ পাঠিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু নির্বাচন হবে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে।’

তবে এসব অভিযোগ অস্বিকার করে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান বলেন, ‘আমরা নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত। তাদের নেতাকর্মীদের হয়রানি করতে পুলিশ কেন পাঠাব।’

নির্বাচনের পরিবেশ যেকোনো সময়ের তুলনায় ভালো বলে দাবি করেন কামরান। বলেন, ‘নৌকার পক্ষে মানুষের জোয়ার দেখে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে তারা অবান্তর অভিযোগ করছেন।’ আর ৯ দিন পর আগামী ৩০ জুলাই ভোট নেয়া হবে সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে। একই দিন রাজশাহী ও বরিশাল সিটিতেও ভোট হবে।

(ঢাকাটাইমস/২১জুলাই/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজশাহী ও সিলেট সিটি নির্বাচন বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা