মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বিকলাঙ্গ: স্বরাষ্ট্র সচিব

ব্যুরো প্রধান, চট্টগ্রাম
| আপডেট : ২১ জুলাই ২০১৮, ২১:৩৩ | প্রকাশিত : ২১ জুলাই ২০১৮, ২১:২৯

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর একটি বিকলাঙ্গ প্রতিষ্ঠান বলে মন্তব্য করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা ও সেবা বিভাগের সচিব ফরিদউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। বলেছেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরকে যাতে কার্যকর করা যায়। ৫০টি গাড়ি এবং চারজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। দুজন ম্যাজিস্ট্রেট ঢাকায় অলরেডি কাজ শুরু করছেন। চট্টগ্রামেও দুজন ম্যাজিস্ট্রেট আসবেন।’

শনিবার সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন সচিব। এ সময় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, কারা কর্তৃপক্ষ, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি।

সভায় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন সচিব। এক প্রশ্নের জবাবে মাদক নিয়ন্ত্রণে ১৯৯০ সালের যে আইনটা এখন বলবৎ আছে সেটার মধ্যে অনেক দুর্বলতা আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘পত্রপত্রিকায় লেখা হচ্ছে যে মাদকের গডফাদাররা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছে। গডফাদার বলতে যারা মাদকের ব্যবসায় অর্থলগ্নি করছেন, তারা হয়ত দেশেও থাকেন না, দেশের বাইরে থেকেই করছেন। নতুন আইন আমরা করছি। সেখানে গডফাদারের বিষয়টাও থাকবে। সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান করা হবে।’

নতুন আইনের প্রস্তুতি প্রায় চূড়ান্ত পর্যায়ে জানিয়ে সচিব বলেন, ‘আগামী সপ্তাহের সোমবার মন্ত্রিসভার যে বৈঠক হবে সেখানে আমরা নতুন এই আইনটা পাঠাতে পারব বলে আশা করছি।’

চলমান মাদকবিরোধী অভিযান অব্যাহত রাখার কথা জানিয়ে ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘দেশের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে মাদকের বিষয়ে জিরো টলারেন্সের নির্দেশনা আছে। মাদকবিরোধী যে অভিযান সেটা চলবে। যতদিন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্থিতিশীল না হবে ততদিন পর্যন্ত মাদকবিরোধী অভিযান চলবে। আরও একটা বিষয় হচ্ছে যৌথবাহিনীর অভিযান চালানো হবে। এটা খুব শিগগিরই শুরু হবে।’

মাদক নির্মূলের জন্য কক্সবাজারকে আমরা আলাদা জেলা হিসেবে নয়, একটি পৃথক জোন হিসেবে নিয়ে কাজ করতে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক জাতীয় কমিটির সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানানো হয় মত বিনিময়ে।

সচিব বলেন, ‘মাদক নিয়ন্ত্রণে কক্সবাজার এবং বান্দরবান জেলায় মায়ানমারের সঙ্গে সীমান্তপথে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে।’

সভায় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটর পুলিশ-সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) আমেনা বেগম ও পুলিশ সুপার নূরে আলম মিনা এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকাটাইমস/২১জুলাই/ডিএম/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

বন্দর নগরী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা