গণসংবর্ধনায় নির্বাচনী আমেজ

তানিম আহমেদ, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২১ জুলাই ২০১৮, ২২:০৬

ভোটের বছরে বিরাট সমাবেশ। প্রধানমন্ত্রী বক্তব্য রাখলেন এক ঘণ্টারও বেশি। কিন্তু সাম্প্রতিক বিভিন্ন সমাবেশের মধ্যে এই একটিতেই তিনি আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সরাসরি কিছু বললেন না।

তবে আয়োজনের মধ্যমণি কিছু না বললেও গোটা আয়োজনেই নানাভাবে উঠে এসেছে নির্বাচনের আমেজ।

জনসভা মঞ্চ, নেতা-কর্মীদের সাজসজ্জা, স্লোগান, ব্যানার, ফেস্টুনসহ সব প্রচারপত্রেই নেতাকর্মীদের মনে ছিল নির্বাচন-এটা বোঝা গেছে।

আগামী ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে হতে যাচ্ছে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। টানা তিনবার জিতে আওয়ামী লীগের ক্ষমতায় আসার বাসনার অন্যতম কারণ ২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী এবং পরের বছর বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালন।

ক্ষমতায় থেকে ঘটা করে পালনের জন্যই ২০২০ সালকে মুজিববর্ষ ঘোষণা করেছে আওয়ামী লীগ। আর এই বর্ষ পালন করতে হলে তাদের ক্ষমতায় ফিরতেই হবে।

আবার গত নয় বছরের শাসনামলে হাতে নেয়া মেগাপ্রকল্পগুলো আগামী কয়েক বছরের মধ্যে শেখ হতে যাচ্ছে।

এসব প্রকল্পের মধ্যে আছে পদ্মা সেতু, কয়ালাভিত্তিক বড় বিদ্যুৎ প্রকল্প, রাজধানীতে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, চট্টগ্রামে কর্ণফুলী টানেল, পাবনার রূপপুরে পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র।

আবার আগামীতে ক্ষমতায় এসে বুলেট ট্রেন, পাতাল রেল, গভীর সমুদ্রবন্দর, স্বয়ম্ভর জেলা সরকারসহ উচ্চভিলাসী নানা প্রকল্পের ঘোষণা আছে সরকারের। এসব কারণে ক্ষমতায় ফেরা আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের অন্যতম আগ্রহের জায়গা।

ভোটের বছরে রাজধানীতে বিশাল আয়োজনে রাজধানীর পাশাপাশি ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে এসেছেন নেতা-কর্মীরা। সঙ্গে করে নিয়ে এসেছেন দলীয় প্রতীক নৌকার প্রতিকৃতি।

সকাল থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অভিমুখে যেসব মিছিল গেছে, তার প্রতিটিতেই ‘শেখ হাসিনা, শেখ হাসিনা’র পাশাপাশি ছিল ‘নৌকা, নৌকা’ স্লোগান।

মনোনয়নপ্রত্যাশীরাও তাদের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে এসেছেন যাদের গায়ে একই ধরনের টি শার্ট দেখা গেছে, সেখানেও আছে দলীয় প্রতীক নৌকার ছাপ। তারা তাদের নেতাকে মনোনয়ন দেয়ার দাবিও তুলেছেন।

নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় পছন্দের প্রার্থীর ছবি সম্বলিত ব্যানার-ফেস্টুন দেখা যায় নেতাকর্মীদের হাতে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের ছবি সংবলিত ফেস্টুনও দেখা যায় নেতাকর্মীদের হাতে।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মূল মঞ্চেও ছিল নৌকার প্রতিকৃতি। দেখলে মনে হবে এটি একটি নির্বাচনী সমাবেশ।

সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী তার সরকারের উন্নয়ন, ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেন। বলেন, দেশকে ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত করতে চান। আর এজন্য তার পরিকল্পনা করা আছে, আর সেভাবেই চলছে সব কাজ।

সম্প্রতি পাবনায় পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিটের কংক্রিট ঢালাইয়ের কাজ উদ্বোধন করে আগামী নির্বাচনে ভোট চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। সেখানেও গত দুই আমলের নানা সাফল্য ও উদ্যোগের কথা তুলে ধরার পাশাপাশি আগামীতে ক্ষমতায় আসতে পারলে গ্রাম ও শহরের দূরত্ব ঘোঁচানোর অঙ্গীকার করেন।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের গণসংবর্ধনাতেও আগামীতে গ্রামেও শহরের সুবিধা নিশ্চিত করা, ঢাকা-চট্টগ্রাম, ঢাকা-সিলেট, ঢাকা-দিনাজপুর এবং ঢাকা-পায়রা রুটে দ্রুতগামী বুলেট ট্রেন চালুর উদ্যোগ নেয়ার ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রীর আরও নানা অঙ্গীকার ছিল। তবে তিনি জাতীয় নির্বাচনের প্রসঙ্গটি একবারের জন্যও উচ্চারণ করেননি।

(ঢাকাটাইমস/২১জুলাই/টিএ/ডব্লিউবি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

পৃথিবীতে কোনো দেশের গণতন্ত্র পারফেক্ট না: ওবায়দুল কাদের

সাকিবের বিএনএমে যোগ দেওয়ার বিষয়ে কিছু জানি না: ওবায়দুল কাদের

বিএনপির কেন্দ্রীয় তিন নেতার পদোন্নতি

দুর্নীতি ও ভোটাধিকার হরণ ছাড়া আ.লীগের আর কোনো অর্জন নেই : এবি পার্টি

‘দেশে ইসলামবিদ্বেষী অপতৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে’

ক্ষমতাসীনদের কেউ ভালো নেই: গয়েশ্বর

সিন্ডিকেটকে কোলে বসিয়ে বিরোধীদলের ওপর দায় চাপাচ্ছে সরকার: গণতন্ত্র মঞ্চ

ইফতার পার্টিতে আল্লাহ-রাসুলের নাম না নিয়ে আ.লীগের গিবত গায়: প্রধানমন্ত্রী

বাংলার মাটি থেকে বঙ্গবন্ধুর নাম মুছে ফেলার সাধ্য কারো নেই: ওবায়দুল কাদের

দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বন্ধু রাষ্ট্রের সহযোগিতা চাইলেন মঈন খান

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :