রাসিক ওয়ার্ড ১৫-১৬

উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি প্রার্থীদের

ব্যুরো প্রধান, রাজশাহী
 | প্রকাশিত : ২২ জুলাই ২০১৮, ১২:৫৫

রাজশাহী সিটি নির্বাচনের আর মাত্র নয় দিন বাকি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণায় মুখর পাড়া-মহল্লা। ভোটারদের মন জয়ে প্রার্থীরা দিচ্ছেন উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি। মেয়র প্রার্থীদের পাশাপাশি কাউন্সিলর প্রার্থীরাও ভোটযুদ্ধে নেমেছেন। ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে চলছে মাইকিং। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই নগরীর ১৫ এবং ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থীরাও। তাদের পোস্টারে পোস্টারে ভরে গেছে এই দুই ওয়ার্ড।

নগরীর ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ৯ হাজার ২৮ জন। কাউন্সিলর পদে ভোটের লড়াইয়ে আছেন চারপ্রার্থী। তারা হলেন- বর্তমান কাউন্সিলর বিএনপি নেতা আবদুস সোবহান লিটন (ঠেলাগাড়ি), সাবেক কাউন্সিলর আওয়ামী লীগ সমর্থক রেজা উন-নবী আল মামুন (লাটিম), আওয়ামী লীগ সমর্থক রবিউল ইসলাম (ট্রাক্টর) এবং তরুণ প্রার্থী ফরহাদ হোসেন আদনান (ঘুড়ি)।

বর্তমান কাউন্সিলর আবদুস সোবহান লিটন ২০০৮ সাল থেকে দুই মেয়াদে কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, এক সময় আমার ওয়ার্ডে জলাবদ্ধতা ছিল প্রধান সমস্যা। এখন নেই। নতুন রাস্তাঘাট নির্মাণ করেছি। পানির ব্যবস্থা করেছি। মহল্লাগুলোকে আর্বজনামুক্ত রাখতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছি। আগামীতে নির্বাচিত হলে মাদক এবং ছিনতাইমুক্ত ওয়ার্ড উপহার দিতে চাই।

তবে ওয়ার্ডে নাগরিক দুর্ভোগ রয়েছে মন্তব্য করে সাবেক কাউন্সিলর রেজা উন-নবী আল মামুন বলেন, ওয়ার্ডের বাসিন্দারা গত ১০ বছর থেকে উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েছেন। ওয়ার্ডের প্রধান সমস্যা আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি। ভোটাররা আমাকে নির্বাচিত করলে ওয়ার্ডকে ডিজিটাল নিরাপত্তা বেষ্টনির মধ্যে আনা হবে। আর এ জন্য ওয়ার্ডের বিভিন্ন এলাকায় ২০০ সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে। আমি নির্বাচিত হলে সম্মানির টাকা দিয়েও জনসেবা করতে চাই।

এই ওয়ার্ডের অন্য দুই প্রার্থীর মধ্যে ফরহাদ হোসেন আদনানও প্রচার-প্রচারণায় বেশ এগিয়ে যাচ্ছেন। বিশেষ করে নারীদের বেশ ভালো অংশগ্রহণ দেখা যাচ্ছে তরুণ এই প্রার্থীর প্রচারে।

ফরহাদ বলেন, নির্বাচিত হলে নাগরিক সেবা নিশ্চিতই হবে আমার প্রথম কাজ। এ ওয়ার্ডের অন্য প্রার্থী রবিউল ইসলামের নাম সেভাবে আলোচনায় নেই। তবে ওয়ার্ডের বাসিন্দারা বলছেন, এবার বর্তমান এবং সাবেক কাউন্সিলরের মধ্যে ভোটযুদ্ধের সম্ভাবনা রয়েছে।

দড়িখরবোনা এলাকার আমেনা মেসবাড়ির ব্যবস্থাপক শুকুর আলী বলেন, প্রার্থীদের সবাই পরিচিত। কে কেমন ব্যক্তি তা ভালো করেই জানা আছে। ওয়ার্ডের নানা সমস্যার সমাধান যিনি দিতে পারবেন বলে মনে হবে ভোট তাকেই দিব।

নগরীর ১৬ নম্বর ওয়ার্ডেও জমে উঠেছে প্রচার-প্রচারণা। এ ওয়ার্ডে ভোটার সংখ্যা ১২ হাজার ৫০৮ জন। কাউন্সিলর পদে লড়ছেন চারজন। তারা হলেন- বর্তমান কাউন্সিলর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি বেলাল আহম্মেদ (ঠেলাগাড়ি), ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সৈয়দ মন্তাজ আহমেদ (টিফিন ক্যারিয়ার), কাব্বার আলী (ট্রাক্টর) ও নজরুল ইসলাম (ঘুড়ি)।

ওয়ার্ডের ভোটাররা বলছেন, এ ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি সমর্থিত দুই প্রার্থীর মধ্যেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে। এর আগে ২০০৮ সালের নির্বাচনেও এ দুই প্রার্থীই লড়াইয়ে ছিলেন। এদের মধ্যে বর্তমান কাউন্সিলর বেলাল আহমেদ ২০০২ সাল থেকেই দায়িত্বে আছেন।

তিনি বলেন, আমাদের এ ওয়ার্ডটি ক্রমবর্ধমান একটি এলাকা। প্রতিনিয়ত বাড়িঘরসহ বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা বাড়ছে। ২০০২ সালে দায়িত্ব নেয়ার সময়ে এলাকায় রাস্তাঘাট ছিল কাঁচা। এসব রাস্তাঘাট নির্মাণ করেছি। প্রত্যেকটি মহল্লায় ছিলো জলাবদ্ধতা। ড্রেন নির্মাণ করে তা দূর করার চেষ্টা করেছি। পানি সরবরাহের জন্য কাজ চলছে। তাই এবারও ভোটাররা আমাকে নির্বাচিত করবেন।

ওয়ার্ডের আরেকজন শক্তিশালী কাউন্সিলর প্রার্থী সৈয়দ মন্তাজ আহমেদ। তিনি বলেন, অপ্রশস্ত রাস্তা, ঢাকনাবিহীন ড্রেন, অবাধে মাদকদ্রব্য বিক্রি, বাঁশের খুঁটিতে বিদ্যুৎসংযোগ নানান ধরনের নাগরিক সমস্যায় জর্জরিত এ ওয়ার্ডের বাসিন্দারা। দীর্ঘ সময় থেকে উন্নয়ন বঞ্চিত এ ওয়ার্ডটি প্রকৃতপক্ষ অবহেলিত। এ কারণে এ এলাকার মানুষ পিছিয়ে পড়েছেন। উন্নয়নের স্বার্থে তারা এবার আমাকে নির্বাচিত করবেন বলে আমি আশাবাদী।

এ ওয়ার্ডের বাসিন্দা জুলফিকার আলী বলেন, কাউন্সিলর প্রার্থী কাব্বার আলী এবং নজরুল ইসলামের নাম সেভাবে আলোচনায় নেই। এ কারণে তিনি ধারণা করছেন, এবার এ ওয়ার্ডে বর্তমান কাউন্সিলর বেলাল আহমেদ এবং তার প্রতিদ্বন্দ্বী সৈয়দ মন্তাজ আলীর মধ্যেই ভোটযুদ্ধ সীমাবদ্ধ থাকবে। এই দুই প্রার্থীর মধ্যে যাকে বেশি যোগ্য মনে হবে তিনি তাকেই ভোট দিবেন বলে জানান জুলফিকার আলী।

ঢাকাটাইমস/২২জুলাই/আরআর/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :