কুষ্টিয়া আদালতে মাহমুদুর রহমানকে ঘিরে রেখেছে ছাত্রলীগ
দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে কুষ্টিয়া আদালত ভবনে ঘেরাও করে রেখেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। একটি মামলায় জামিন পেলেও আদালত এলাকা থেকে বের হতে পারছেন না তিনি।
জানা গেছে, বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও টিউলিপ সিদ্দিকীকে নিয়ে কটূক্তি করার অভিযোগে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত তুষারের করা একটি মামলায় রবিবার কুষ্টিয়া সদর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন মাহমুদুর রহমান। উভয়পক্ষের শুনানির পর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এম এ মোর্শেদের আদালত থেকে তিনি জামিনও পান। ১০ হাজার টাকা জামানতে স্থায়ীভাবে তার জামিন মঞ্জুর করেন আদালত।
জামিন পাওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করে ছাত্রলীগ নেতারা আদালত চত্বরে মাহমুদুর রহমানকে অবরুদ্ধ করে রাখেন। মাহমুদুর রহমানের বিচার চেয়ে আদালত চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করেন তারা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তিনি আদালত চত্বরে অবরুদ্ধ ছিলেন।
মাহমুদুর রহমানের সঙ্গে থাকা বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আমরা এ পরিস্থিতি ম্যাজিস্ট্রেটকে জানালে, তিনি আমাদের তার কক্ষে বসতে দিয়েছেন। আমরা এখন ম্যাজিস্ট্রেটের কক্ষে বসে আছি। এখানে এম আবদুল্লাহ ছাড়াও আইনজীবী এডভোকেট নিয়ন, শামীমুর রহমান শামীম ও রিয়াদুল ইসলাম রয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১ ডিসেম্বর প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ডেমোক্রেটিক কাউন্সিল আয়োজিত আলোচনা সভায় আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বঙ্গবন্ধু, তার কন্যা শেখ হাসিনা ও নাতনি টিউলিপ সিদ্দিকীকে নিয়ে কটুক্তিমূলক বক্তব্য দেন। তার সেই বক্তব্যে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়। ইউটিউবে সেই বক্তব্য দেখে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত গত বছরের ১০ ডিসেম্বর আমার দেশ সম্পাদকের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া অতিরিক্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে বাদী হয়ে মানহানি মামলা করেন। সেই মামলায় আজ আমার দেশ সম্পাদক আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক তা মঞ্জুর করেন।
কুষ্টিয়া আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অনুপ কুমার নন্দী মাহমুদুর রহমানের জামিন পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ঢাকাটাইমস/২২জুলাই/প্রতিনিধি/এমআর