কোটা আন্দোলনের দুই নেতাকে অপহরণের অভিযোগ

ঢাবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২২ জুলাই ২০১৮, ২২:১১ | প্রকাশিত : ২২ জুলাই ২০১৮, ২০:২৪

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী সংগঠনের দুই নেতাকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তুলে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ছাত্র সংগঠনটির অভিযুক্ত নেতারা ।

রবিবার গ্রেপ্তার সহকর্মীদের মুক্তিসহ নানা দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মানববন্ধন ও সমাবেশ শেষে সেখানে হামলা করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। পরে এফিল্যান্ট রোডে কোটা আন্দোলনের কয়েকজন নেতার ওপর আবার হামলা হয়। এ সময় দুই জনকে তুলে নেয়ার অভিযোগ উঠে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকাল তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে শুরু হওয়া ছাত্র সমাবেশ ও মানববন্ধন শেষে নিয়াজী, সোহরাব হোসেন ও রাতুল সরকার সিএনজিতে এবং বিন ইয়ামিন মোল্লা ট্যাক্সিতে করে তাদের গন্তব্যস্থলের উদ্দেশে টিএসসি ছাড়েন। কিন্তু এলিফ্যান্ট রোডের বাটা সিগন্যাল মোড়ে উজ্জ্বল ও হামজার নেতৃত্বে ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী বাইক নিয়ে তাদের পথরোধ করে এবং বেদম পিটুনিদেয়। পিটুনির এক পর্যায়ে রাতুল সরকার ও নিয়াজী পালাতে পারলেও পালাতে পারেননি সোহরাব।

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ট্যাক্সি থেকে বিন ইয়ামিনকে নামিয়ে কাটাবনের দিকে চলে যায় ছাত্রলীগের আরেক দল নেতাকর্মী।

অপহৃতরা কোথায়, জানতে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ও সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইনকে একাধিকবার ফোন দিলেও তারা তা রিসিভ করেননি।

আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান উজ্জ্বল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমীর হামজার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক বিন ইয়ামিন ও সোহরাব হোসেনকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়।অপহৃত দুই জনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চাত্র।

এ সময় পালাতে গিয়ে আহত হন রাতুল সরকার নামে এক আন্দোলনকারী।

তবে আমীর হামজা সব অভিযোগ অস্বীকার করে ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমি অপহরণের বিষয়ে কিছু জানি না, আমরা কয়েকজন মিলে ওই রাস্তা দিয়ে বাইকে করে যাচ্ছিলাম, এমন সময় একটি সিএনজির সাথে আমাদের ধাক্কা লাগে এবং কথা কাটাকাটি হয়।’

কিন্তু মোবাইল ফোনে ধারণ করা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে সাদা শার্ট আর কমলা রঙের প্যান্ট পরা ছাত্রলীগ নেতা আমীর হামজা’ আন্দোলনকারী রাতুল সরকারের গলা চেপে ধরে বেদম মার দিচ্ছেন। এ সময় ট্রাফিক পুলিশ তাদেরকে বাধা দেয়ার চেষ্টা করেও পেরে উঠেনি।

ওই ভিডিওর বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে হামজা বিব্রত হন এবং কোনো সদুত্তর দেননি।

ঢাকাটাইমস/২২জুলাই/এনএইচএস/ডব্লিউবি

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

জবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য অনলাইনে ক্লাস, চলবে সেমিস্টার পরীক্ষা

কুবির তিন দপ্তরে শিক্ষক সমিতির তালা

গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা: বেরোবি কেন্দ্রের পরীক্ষার্থী ৩১ হাজার ৯৪৬ জন

ববির মেডিকেলে  চিকিৎসকের দায়িত্বে অবহেলা, ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

ইউনিভার্সিটি অফ স্কলার্সের বিবিএ ১৫তম ব্যাচের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

এবার কুবির আরেক সহকারী প্রক্টরের পদত্যাগ

গুচ্ছের হাবিপ্রবি কেন্দ্রে তিন ইউনিটে পরীক্ষার্থী ১২৩৪১ জন

জাবি অধ্যাপক তারেক চৌধুরীর গবেষণা জালিয়াতিতে তদন্ত কমিটি

বিএসএমএমইউর ১২৪ শিক্ষক-চিকিৎসক ‘গবেষণা অনুদান’ পেলেন সাড়ে ৪ কোটি টাকা

ঢাবির সুইমিংপুলে শিক্ষার্থীর মৃত্যু: তদন্ত কমিটি গঠন

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :