কক্সবাজারে মোবাইল ব্যাংকিং বন্ধ চায় র্যাব
ইয়াবা পাচারের রুট হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠা কক্সবাজারে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে যে লেনদেন হয়, তা মাদকের অর্থ পরিশোধে ব্যয় হয় বলে মনে করে র্যাব। এ কারণে এই জেলায় এই ব্যাংকিং সেবা সাময়িক বন্ধ রাখতে দিতে চায় বাহিনীটি।
র্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদের দেয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই জেলায় ২৩ লাখ মানুষের বসবাস হলেও মোবাইল ব্যাংকিংয়ে শত শত কোটি টাকা লেনদেন কেন হয়। বিকালের পর সেটা বেশি হয়।
রবিবার বিকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে মাদকবিরোধী বিজ্ঞাপনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এই কথা বলেন র্যাব প্রধান।
‘কক্সবাজারে ইন্ডাস্ট্রিজ নেই, বড় বিজনেস নেই; তাহলে শত শত কোটি টাকা কেন লেনদেন হয়? আমরা সন্দেহ করছি এই মোবাইল ব্যাংকিং ড্রাগের অবৈধ অর্থ সেটা লেনদেনের ক্ষেত্রে ব্যবহার হচ্ছে’-বলেন বেজনীর।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে উদ্দেশ্য করে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘কক্সবাজারের সকল ট্রানজেকসন কিছুদিনের জন্য বন্ধ রাখতে হবে। আমরা দেখতে চাই এর প্রতিক্রিয়ায় কী হয়।’
বাস মালিকদের সতর্কতা
কক্সবাজার থেকে দেশের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাস ইয়াবা পাচারের জন্য ব্যবহার হচ্ছে জানিয়ে বাস মালিকদের সতর্ক করেন বেনজীর। জানান গত এক তারা সপ্তাহে ১১ টা বাস জব্দ করেছেণ। এর মধ্যে বিলাসবহুল বাসও আছে।
র্যাব প্রধান বলেন, ‘বাস মালিকদের আরো সতর্ক হতে হবে। আমরা র্যাবের পক্ষ থেকে দ্রুত তাদের সাথে বসব। কারণ কোটি কোটি টাকা দামের বাস আটকে রাখছি, সেটা তো রাষ্ট্রীয় ক্ষতি।’
বাসে ইয়াবা পাচারের একটি উদাহরণও দেন বেজনীর। বলেন, গতকাল (শনিবার) ২০ হাজার পিস ইয়াবাসহ এক বাসের হেলপারকে গ্রেপ্তারে পর আমি সরাসরি তার সাথে কথা বলেছি। সে জানায়, বাসের সুপারভাইজার ও চালকের কাজ হল বাসটি কক্সবাজার পৌছে দিয়ে রেস্ট নেয়া। এ সময় বাস থাকে হেলপারের আন্ডারে; সে বাসেই ঘোমায় আর সুপারভাইজার ও চালক হোটেলে ঘুমায়। হেলপার খুবই হতদরিদ্র, তাকে দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা এই মাদক রাজধানীতে আনছিল।’
অনুষ্ঠানে র্যাব প্রধান জানান, দেশে ৭০ লাখ মাদকাসক্ত এবং তারা বছরে নেশার পেছনে এক লাখ কোটি টাকা খরচ করেন।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে তারা যে অভিযান শুরু করেছেন, সেটি অব্যাহত থাকবে।
ঢাকাটাইমস/২২জুলাই/এসএস/ডব্লিউবি