বিচারকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৩ জুলাই ২০১৮, ১৯:১১
ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জ জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জুয়েল রানার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন এক নারী।

সোমবার ঢাকার ৫ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শামসুন্নানারের আদালতে ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার ওই নারী মামলা করেন।

বিচারক এদিন বাদীর জবানবন্দি গ্রহণের পর ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমকে (সিএমএম) বিচার বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

বাদীর আইনজীবী অ্যাডভোকেট রায়হান মোর্শেদ মামলা এবং বিচার বিভাগীয় তদন্তের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, অভিযুক্ত বিচারক মো. জুয়েল রানা এর আগে ঢাকা জজ কোর্টে অতিরিক্ত জেলা জজ হিসেবে ২০১৫ সালে কর্মরত থাকাকালীন তার আদালতে একটি পারিবারিক রিভিশন মামলা বিচারাধীন ছিল। পরবর্তী সময়ে বিচারক নিজেই বাদিনীকে ফোন করে সরকারি চাকরির প্রলোভন দিয়ে ওই আদালতে অস্থায়ী স্টানোগ্রাফার হিসেবে চাকরি দেন। এরপর তিনি বাদিনীকে সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিতে ষাঁটলিপি শেখাসহ বিভিন্ন সৎ উপদেশ দিলে তিনি বাদিনীর বিশ্বাস অর্জন করেন। পরবর্তী সময়ে বাদিনী আদালতে নিয়োগ পরীক্ষা দিলেও সরকারি চাকরি না হওয়ায় তিনি একটি কোম্পানিতে চাকরি নিয়ে চলে যান।

বাদিনী চলে গেলেও বিচারক জুয়েল রানা বাদিনীকে ফোন করে আসতে বলেন। না এলে পারিবারিক মামলা আপিলে এলে ক্ষতি করবেন বলে হুমকি দেন। বাদিনী বাধ্য হয়ে অফিসে আসেন এবং বিচারকের অধীনে কাজ করতে থাকেন।

এরপর ২০১৫ সালের ৮ জুন বিচারক জুয়েল রানা বাদিনীকে তার স্ত্রীর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কথা বলে তার বাসায় নিয়ে যান এবং বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে মাথায় রিভলবর ঠেকিয়ে জোর করে তিনবার ধর্ষণ করেন। এই ঘটনা সম্পর্কে বাদিনী কাউকে কিছু জানালে খুন করে ফেলবেন বলে আসামি হুমকি দেন। এরপর বাদিনী ওই বাসা থেকে বের হয়ে ঢাকা মেডিকেলে গিয়ে চিকিৎসা করান। পরবর্তী সময়ে ২০১৫ সালের ৩ নভেম্বর বাদিনী অসুস্থ হলে তাকে বিয়ে করে আসামিকে চিকিৎসা করাতে বলেন। পরে আসামি ওই বছর ৮ নভেম্বর এক র‌্যাব কর্মকর্তাকে বাদিনীর বাসায় পাঠিয়ে ধর্ষণসংক্রান্ত সমস্ত কাগজপত্রসহ বাদিনীকে আসামির কাছে নিয়ে আসেন। এরপর ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেটের খিলক্ষেত থানায় একটি মিথ্যা মামলার মাধ্যমে বাদিনীকে জেলে পাঠান।

পরবর্তী সময়ে বাদিনী জামিনে মুক্তি পেয়ে ধর্ষণের কাগজপত্রের ডুপ্লিকেট কপি তোলার চেষ্টা করলে আসামি ২০১৭ সালের ৩১ জুলাই অজ্ঞাত পরিচয় লোক দিয়ে বাদিনীকে তুলে আনেন এবং রমনা থানায় নিজে বাদী হয়ে বাদিনীর বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের একটি মামলা করেন। ওই মামলায় বাদিনী ২০১৮ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কারাগার থেকে মুক্তি লাভ করেন।

(ঢাকাটাইমস/২৩জুলাই/আরজেড/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

আপিল বিভাগে নিয়োগ পেলেন তিন বিচারপতি

কক্সবাজারে কতজন রোহিঙ্গা ভোটার, তালিকা চেয়েছেন হাইকোর্ট

সাউথ এশিয়ান ল' ইয়ার্স ফোরাম ন্যাশনাল ও ইন্টারন্যাশনাল চ্যাপ্টারের দায়িত্ব পুনর্বণ্টন

আদেশ প্রতিপালন না হওয়ায় চট্টগ্রামের ডিসি এসপিসহ চার জনকে হাইকোর্টে তলব

১১ মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগের শুনানি ২৯ জুলাই

২৮ দিন পর খুলল সুপ্রিম কোর্ট

ব্যবসায়ী নাসিরের মামলা: পরীমনিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

বোট ক্লাব কাণ্ড: পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন

সেই রাতে ৮৭ হাজার টাকার মদ খেয়েছিলেন পরীমনি, পার্সেল না দেওয়ায় তাণ্ডব

বোট ক্লাব কাণ্ড: প্রতিবেদন দিল পিবিআই, ব্যবসায়ী নাসিরের মামলায় ফেঁসে যাচ্ছেন পরীমনি?

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :