বরিশালে ৯১% কেন্দ্র ‘ঝুঁকিপূর্ণ’, ‘অধিক ঝুঁকিতে’ ৫০টি
আগামী সোমবারের ভোটে বরিশালের ১২৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ১১২টিকেই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে যা সাধারণভাবে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে পরিচিত।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের নগর বিশেষ শাখা (সিটিএসবি) এই তালিকা তৈরি করেছে। তালিকায় গুরুত্বপূর্ণ এবং সাধারণ কেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্রী ও সহকারী পুলিশ কমিশনার (ডিবি) নাসির উদ্দিন মল্লিক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
প্রার্থীর বাড়ির পাশে এবং তার প্রভাব বলয়ের মধ্যে থাকা এবং প্রশাসনিক কেন্দ্র থেকে একটি নির্দিষ্ট দূরত্বের কেন্দ্রগুলোকে এই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
সাধারণ কেন্দ্রের তুলনায় গুরুত্বপূর্ণ বা ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে অতিরিক্ত নিরাপত্তা কর্মীর পাশাপাশি আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে বিশেষ নজরদারি থাকে।
গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোকে আবার দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হলো ‘গুরুত্বপূর্ণ’ ও ‘অধিক গুরুত্বপূর্ণ’।
৫০টি কেন্দ্রকে ‘অধিক গুরুত্বপূর্ণ’ ও ৬২টি কেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
নগর বিশেষ শাখার কর্মকর্তারা জানান, তারা সরেজমিন পরিদর্শন করে ভোটার এবং প্রার্থীদের সাথে যোগাযোগ করে প্রতিকূল পরিস্থিতি বিবেচনা করে কেন্দ্রের গুরুত্ব নির্ধারণ করেন।
নগর পুলিশের মুখপাত্র ও মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সহকারী কমিশনার নাসির উদ্দিন মল্লিক জানান, প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ এবং অধিক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে দুই জন করে আনসার সদস্য বেশি থাকবেন।
সে হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ও অধিক গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলোতে ২৪ জন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য থাকবেন। আর সাধারণ কেন্দ্রে এই সংখ্যা হবে ২২ জন।
যারা ভোটকেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করবেন তাদের মধ্যে একজন এসআই, একজন এএসআই, পাঁচজন পুলিশ সদস্য, একজন পিসি, একজন এপিসি ও তিন জন ব্যাটালিয়ন আনসার। তারা সবাই অস্ত্রধারী থাকবেন।
পাশাপাশি সাত জন পুরুষ ও পাঁচজন জন নারী আনসার সদস্য থাকবেন, এরা লাঠি হাতে দায়িত্ব পালন করবেন।
ভোটের পাঁচ দিন আগে মহানগর পুলিশ কমিশনারের অস্থায়ী কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ সভা হয়েছে। মহানগর পুলিশের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে সভায় নির্বাচন কর্মকর্তা, র্যাব-৮ এর অধিনায়ক, এপিবিএন ও আনসার কমান্ডার, গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই ও এনএসআই এর কর্মকর্তারা কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় ভোটকেন্দ্রের বিষয়টি ছাড়াও ২৮ জুলাই থেকে ভোট পরবর্তী আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে নানা সিদ্ধান্ত হয়েছে। তবে এসব বিষয়ে কিছু জানাননি কর্মকর্তারা।
ঢাকাটাইমস/২২জুলাই/টিটি/ডব্লিউবি