ঢাকায় গ্রেপ্তার আসামি সাতক্ষীরায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত
ঢাকার পল্লবী থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার রেজাউল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি সাতক্ষীরার শ্যামনগরে পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন, যিনি মাদক চোরাকারবারি ও আন্তঃজেলা মোটরসাইকেল চোরাই সিন্ডিকেটের হোতা বলে দাবি করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীটি।
শুক্রবার মধ্যরাতে শ্যামনগরের ভুরুলিয়া ইউনিয়নের খানপুর বাজার সংলগ্ন একটি ইটভাটার কাছে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
বন্দুকযুদ্ধের সময় পুলিশের তিন কনস্টেবল আহত হন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ার শুটারগান ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধারে কথা জানিয়েছে পুলিশ।
নিহত রেজাউল শ্যামনগরের বাদোঘাটা গ্রামের আবদুল মাজেদ দফাদারের ছেলে। তার বিরুদ্ধে মোটরসাইকেল চুরি ও মাদকসহ এক ডজন মামলা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, ঢাকার পল্লবী থানা পুলিশ গত বৃহস্পতিবার রেজাউলকে গ্রেপ্তার করে। পরে শ্যামনগর থানা পুলিশ তাকে শুক্রবার সকালে সাতক্ষীরায় নিয়ে যায়। তার দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মোটরসাইকেল চোরাই সিন্ডিকেটের আরও তিন সদস্য শামীম, শাহজাহান ও সাহিদুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় একটি চোরাই মোটরসাইকেলও জব্দ করা হয়।
জেলা পুলিশের তথ্য কর্মকর্তা ও বিশেষ শাখার পরিদর্শক আজম খান জানান, রেজাউলের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শুক্রবার মধ্যরাতে তাকে নিয়ে খানপুর এলাকায় মোটরসাইকেল উদ্ধার করতে গেলে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা সন্ত্রাসীরা রেজাউলকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে তারা গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। এতে গুলিবিদ্ধ হন রেজাউল। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
রেজাউলের বিরুদ্ধে এক ডজনেরও বেশি মামলা রয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান আজম খান।
ঢাকাটাইমস/২৮জুলাই/প্রতিনিধি/এমআর