ভেড়ামারা খাদ্য গুদামে নিম্নমানের চাল সংগ্রহের অভিযোগ
কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা খাদ্য গুদামে নিম্নমানের চাল সংগ্রহ করার অভিযোগ উঠেছে। এ জন্য গুদাম কর্মকর্তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নাম করে কেজিপ্রতি চার টাকা আদায় করেছেন বলেও অভিযোগ মিলারদের।
এ ছাড়া গুদামে থাকা পুরনো চাল নতুন বস্তায় ভরে গোডাউনের নতুন খামালে রাখা হয়েছে নতুন সংগ্রহ দেখিয়ে, এমন অভিযোগও উঠেছে গুদাম কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
জানা যায়, চলতি আমন চাল সংগ্রহ অভিযানে ভেড়ামারায় ১৮০ টন চাউল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। চুক্তিবদ্ধ মিলারদের কাছ থেকে গোদাম কর্মকর্তা ৩৮ টাকা কেজিতে চাল কেনেন। কিন্তু মানসম্মত চাল কেনার সরকারি নির্দেশনা থাকলেও তা পালন করা হয়নি।
ওপরের কর্মকর্তাদের নাম করে গোডাউন কর্মকর্তা মিলারদের কাছে কেজিপ্রতি ৪ টাকা করে দাবি করেন জানিয়ে সূত্র জানায়, এই চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে নিম্নমানের চাল সরবরাহ করেন মিলাররা।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন মিলার বলেন, আমন সংগ্রহে সরকার চালের মূল্য নির্ধারণ করেছে ৩৮ টাকা। এটা বেশ ভালো দাম। মানসম্মত চাল এই দামে সরবরাহ করলেও আমরা লাভবান হতাম। কিন্তু বাদ সাধেন গোডাউন কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম।’
ওই মিলার বলেন, ‘খাদ্য কর্মকর্তা ও অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করার জন্য তিনি (গোদাম কর্মকর্তা) দাবি করেন কেজিপ্রতি ৪ টাকা। টাকা দিলে চালের শুধু ওজন দেখা হবে, মান দেখা হবে না।’ এরপরই নি¤œমানের চাল গোদামে বিক্রি করা হয় বলে জানান মিলার।
একজন চাল ব্যবসায়ী জানান, টিআর, জিআর, কাবিখার যেসব চাল গোদাম থেকে উত্তোলন করার কথা ছিল, সেসব চাল ব্যবসায়ীরা উত্তোলন না করে তা আবার মিলারদের কাছে বিক্রি করে দেন। ওই চাল গোদামের ভেতরে শুধু বস্তা পরিবর্তন করে আমন সংগ্রহ অভিযানের নতুন খামালে রাখা হয়। ১ ও ৪ নম্বর গোদামে তল্লাশি করলে এর সত্যতা মিলবে বলে জানান ওই ব্যবসায়ী।
এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করেন ব্যবসায়ীরা। কেজিপ্রতি চার টাকা নয়, নানা কাজে মিলারদের কাছ থেকে কিছু টাকা নেয়া হয় বলে স্বীকার করেন খাদ্য গুদামের কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক তানভীর ইসলাম বলেন, এ ধরনের কোনো অভিযোগ তার জানা নেই। যদি কেউ অতিরিক্ত টাকা নিয়ে থাকেন তবে তার দায়ভার তাকেই নিতে হবে।
(ঢাকাটাইমস/২৯জুলাই/মোআ)