নারায়ণগঞ্জে ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার ৭
নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দরে দুই নৈশপ্রহরীকে হত্যা করে তিনটি দোকানে ডাকাতির ঘটনায় জড়িত ছয় ডাকাত ও ডাকাতির মালামালের ক্রেতাকে গ্রেপ্তার করে নারায়ণগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। তাদের কাছে থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি পিকাপ, চারটি সিম, একটি ভাঙ্গা মোবাইল, ৭০ হাজার টাকার ব্যাটারি ও যন্ত্রপাতি।
সোমবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মঈনুল হক।
গ্রেপ্তার ডাকাত মোক্তার হোসেন, রনি হোসেন, রানা ফকির, জাহিদুল শরীফ, জসিম ওরফে মুন্না, শাওন রানা ও ডাকাতির মালামাল ক্রেতা আতিকুর রহমান।
পুলিশ সুপার মঈনুল হক জানান, তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ২৯ জুলাই বিকাল থেকে অভিযান চালিয়ে ডেমরা সারুলিয়া ও ঢাকার মহাখালী এলাকা থেকে আসামিদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারদের তথ্যে ডাকাতির সঙ্গে জড়িত ১১ জনের মধ্যে ছয়জনকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাদের দেয়া তথ্য মতে গাজীপুরের জয়দেবপুরের তারগাছ এলাকায় মায়ের দোয়া তামান্না মোটর দোকানে অভিযান চালিয়ে ডাকাতির মালামাল ক্রয়ের ক্রেতাকেও গ্রেপ্তার করা হয় এবং ৭০ হাজার টাকার লুণ্ঠিত ব্যাটারি উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডাকাতেরা জানায়, তারা সকলেই সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা বিভিন্ন দোকান ও গ্যারেজে ডাকাতি করে থাকে। ঈদের পরে ৭/৮ দিন তারা একই স্থানে ডাকাতি করতে আসলেই নৈশপ্রহরীদের তৎপরতার কারণে তা করতে পারেনি। পরে ২১ জুলাই রাত ২টায় তারা দুই নৈশপ্রহরী রায়হান উদ্দিন ও মোতালেবকে হাত-পা মুখ বেঁধে ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে ডাকাতি কার্য সম্পন্ন করে।
ডাকাতির সঙ্গে জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তার ও বাকি মালামাল উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানান পুলিশ সুপার।
এসময় এ অভিযান পরিচালনাকারী ডিবির এসআই মফিজুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/৩০জুলাই/প্রতিনিধি/এলএ)