সৌদিসহ বিদেশে নির্যাতিত শ্রমিকদের তালিকা চায় হাইকোর্ট

সৌদি আরবসহ বিদেশে নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশে ফিরে আসা নারী শ্রমিকদের তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট। এছাড়া বিদেশে কর্মী পাঠানোর বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দেয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ ও বিচারপতি ফরিদ আহমেদের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।

জাস্টিস ওয়াচ ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক আইনজীবী মাহফুজুর রহমান মিলন গত সপ্তাহে জনস্বার্থে এই রিট আবেদন করেছিলেন। মঙ্গলবার আদালতে রিটের পক্ষে নিজেই শুনানি করেন মিলন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী জিনাত হক।

রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট যৌন নির্যাতনসহ বিদেশে নির্যাতিত নারী শ্রমিকদের তালিকাসহ বিদেশে কর্মী পাঠানোর বিষয়ে একটি প্রতিবেদন এক মাসের মধ্যে দাখিল করতে প্রবাসী কল্যাণ সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং বায়রার প্রেসিডেন্ট ও সেক্রেটারিকে নির্দেশ দেন।

আদেশের পর আইনজীবী মাহফুজুর সাংবাদিকদের জানান, রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে আদালত অন্তবর্তীকালীন আদেশের পাশাপাশি রুল জারি করেছে। সৌদিসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যেসব কর্মী (নারী ও পুরুষ) কাজের উদ্দেশ্যে গিয়ে শারীরিক, মানসিক নির্যাতন ও যৌন হয়রানির শিকার হয়েছেন তাদের যথাযথ নিরাপত্তা, অভিভাসন, প্রত্যাবাসন, পুনর্বাসন, ক্ষতিপূরণে বিবাদীদের ব্যর্থতা ও নিষ্ক্রিয়তা কেন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে অবৈধ ও বিধিবহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

তিনি আরো বলেন, যেসব রিক্রুটিং এজেন্সি ও ব্যক্তি যথাযথ আইন অনুসরণ না করে কর্মীদের বিদেশে পাঠাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কেন ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না- রুলে জানতে চাওয়া হয়েছে।

দুই সপ্তাহের মধ্যে প্রবাসী কল্যাণ, পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, আইন, শ্রম ও কর্মসংস্থান, সমাজকল্যাণ, নারী ও শিশু মন্ত্রণালয়ের সচিব, জনশক্তি ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক, ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বায়রার সভাপতি-সম্পাদককে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

ঢাকাটাইমস/৩১জুলাই/ডিএম