পাকুন্দিয়ায় প্রতারণার অভিযোগে আটক ৩

কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় দীর্ঘদিন ধরে রিকশাচালকের ছদ্মবেশে প্রতারণা করে আসছিল একটি চক্র। মঙ্গলবার দুপুরে পৌরসদরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে একেক করে তিনজনকে আটক করে এক ভুক্তভোগীর স্বজনরা।

আটকরা হচ্ছেন- কিশোরগঞ্জ সদরের আবদুর রশিদের ছেলে মজু মিয়া, যশোদল এলাকার আলী আকবরের ছেলে আনন্দ ও তাড়াইল উপজেলার দুখু মিয়ার ছেলে কাঞ্চন মিয়া। ওই তিন প্রতারককে আটক করে পৌরবাজার বণিক সমিতির কার্যালয়ে রাখা হয়।

এসময় তাদের কাছ থেকে স্বর্ণের একটি দুল ও নকল স্বর্ণের ভার এবং প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত রিকশা উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের পুলিশে সোপর্দ করেন বণিক সমিতির নেতৃবৃন্দ।

জানা যায়, গত ১৫ দিন আগে উপজেলার চরফরাদী ইউনিয়নের ভূইয়ারচর গ্রামের মৃত সুরুজ আলীর স্ত্রী রওশনারা বেগম একই উপজেলার সুখিয়া এলাকায় মেয়ের বাড়িতে যাওয়ার জন্য পাকুন্দিয়া বাজার থেকে অটোরিকশায় উঠতে যান। এসময় পাশ থেকে এক রিকশাচালক এসে অটোরিকশায় যে ভাড়া সেই ভাড়ায় সুখিয়া যাওয়ার কথা বলে ওই নারীকে রিকশায় উঠান। পরে সুখিয়া যাওয়ার পথে শ্রীরমদী নতুন কোল্ড স্টোরেজের সামনে রিকশা থামান চালক। এসময় রিকশাচালক পকেট থেকে স্বর্ণ সদৃশ একটি নকল ভার বের করে তা ক্রয়ের জন্য প্রলোভিত করে নারীকে। এতে প্রলোভিত হয়ে ওই নারী তার কানের দুল, গলার চেইন ও নগদ সাড়ে ৭ হাজার টাকার বিনিময়ে রিকশাচালকের কাছ থেকে বারটি ক্রয় করেন। পরে মেয়ের বাড়িতে গিয়ে বুঝতে পারেন বারটি নকল। বিষয়টি ওই নারীর আত্মীয় পৌর কাউন্সিলর মকবুল হোসেনকে অবহিত করা হয়। কিন্তু কয়েকদিন কেটে গেলেও ওই রিকশাচালককে খুঁজে পায়নি। অবশেষে মঙ্গলবার দুপুরে ওই রিকশাচালককে দেখতে পেয়ে তাকে আটক করেন কাউন্সিলর মকবুল। পরে ওই রিকশাচালকের দেয়া তথ্যে সহযোগী আরও দুইজনকে পৌরবাজারের বিভিন্ন স্থান থেকে আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে স্বর্ণের একটি দোল ও নকল স্বর্ণের বারটি উদ্ধার করা হয়।

খবর পেয়ে ভুক্তভোগী ওই নারী বণিক সমিতির কার্যালয়ে এসে ওই প্রতারককে শনাক্ত করেন।

এ ব্যাপারে পাকুন্দিয়া পৌরবাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তাজুল ইসলাম সাগর জানান, প্রতারণার অভিযোগে তিনজনকে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে পুলিশে দেয়া হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/৩০জুলাই/প্রতিনিধি/এলএ)