থামো, বেশি বাড় বেড়ো না
এঁরা অদ্ভূত, এঁরা নতুন যৌবনের দূত। এরাই বেড়া ভাঙে, রাঙে অশোকবনের রাঙা নেশায়... এরা ঝঞ্ঝার বন্ধন ছিন্ন করে দেয়, এরা বিদ্যুৎ!
এঁরা আমাদের ভাষা কেড়ে নেয়, মূক করে দেয়। কারণ আমরা লজ্জায় আর কোনো ভাষা খুঁজে পাই না যে! আমাদের কাল, সময়, সাহস, যৌবন আর চেতনার সমস্ত বিশেষণই যখন প্রচণ্ড লজ্জিত, শিরদাঁড়াহীন নত মস্তকে আমরা যখন পরাজয়ের গ্লানি যাপন করছি, তখন এরা এভাবেই আমাদের সাহস হয়ে আসে, শিক্ষা হয়ে আসে! এঁরা আমাদের ঠুলি পরা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দেয়- আলো চারদিকেই ছড়িয়ে আছে। অন্ধত্বের কারণেই আমরা তা দেখতে পাই না।
সত্যিই, আমাদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। যারা হতাশার বিলাপ করেছিলেন এতদিন, মানুষের অমিত সম্ভাবনার ওপর বিশ্বাস হারিয়েছিলেন- তাদের চিন্তায় ঘা দিয়ে এঁরা শিখিয়ে দিয়ে গেছে- সময়ের প্রয়োজনেই সময় দাঁড়িয়ে যায়। আপনি পারেননি বলে আর কেউ পারবে না, এমন ধারণা নিরর্থক। আপনি দেখতে পাননি বলে কোথাও আলো নেই- এমন বিশ্বাসও বাতিল।
এ দ্রোহে স্পষ্ট ইঙ্গিত আছে। ভবিষ্যত আছে। আশা আছে, ভরসা আছে। মানুষের ওপর চোখ রাঙিয়ে বেড়ানো অন্ধ আর একরোখা শ্রেণিকে এরা জানিয়ে দিয়েছে- থামো, বেশি বাড় বেড়ো না।
লেখক: কবি, সাংবাদিক ও সংগঠক।