জনগণের সেবকই হবেন নৌকার মাঝি: দোলন

আলফাডাঙ্গা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৪ আগস্ট ২০১৮, ১৯:৪৩ | প্রকাশিত : ০৪ আগস্ট ২০১৮, ১৬:৪৯

বাংলাদেশ কৃষক লীগের সহসভাপতি ও ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য আরিফুর রহমান দোলন বলেছেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা সব জানেন, সব খবর রাখেন। এই এলাকায় (ফরিদপুর-১) যারা মনোনয়ন পাওয়ার জন্য কাজ করছেন, জনগণকে তারা কে কতখানি সম্মান করেন, ইজ্জত করেন, কে জনগণের মনিব হতে চান, আর কে জনগণের প্রভু হতে চান এই খবরও তার কাছে আছে। নিশ্চিত থাকেন আগামীতে নৌকার মাঝি সেই হবেন যে জনগণের সেবক হতে চান।’

ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার সহস্রাইল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে একটি চক্ষু শিবিরের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বিনামূল্যে দিনব্যাপী এই চক্ষু শিবিরের আয়োজন করা হয়।

কাঞ্চন মু্ন্সী ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান বলেন, ‘আলফাডাঙ্গা-বোয়ালমারী ও মধুখালীর মানুষ সব সময় নৌকায় ভোট দেন। কিন্তু বিনিময়ে আপনারা কী পান? শেখ হাসিনা আপনাদেরকে ভালোবাসেন, আপনাদেরকে সম্মান করেন। কয়েকদিন আগে নেত্রী নিজে আমাকে বলেছেন, তোমাদের এলাকার মানুষ হলো খাঁটি। এরা হচ্ছে খাঁটি মানুষ।’

দোলন বলেন, ‘এই অঞ্চলের মানুষ শেখ হাসিনার দৃষ্টিতে খাঁটি মানুষ। কারণ আপনারা সব সময় শেখ হাসিনার প্রতি, আওয়ামী লীগের প্রতি, নৌকা মার্কার প্রতি আপনাদের সমর্থন অব্যাহত রাখেন। যখনই ভোট আসে, নির্বাচন হয় নৌকা মার্কায় আপনারা ভোট দেন।’

ঢাকাটাইমস ও এই সময় সম্পাদক বলেন, ‘এমন একটা সময় এখন এসে পড়েছে, আপনাদের মধ্যে অনেকে বলাবলি করেন, ভোট এবার দেখেশুনে দিতে হবে। আমাদের ভয় লাগে, যে এলাকা আওয়ামী লীগের ঘাঁটি, সেই এলাকার মানুষ চোখ বন্ধ করে নৌকায় ভোট দেয়। এটাইতো আমরা প্রত্যাশা করি।’

‘শেখ হাসিনা বাংলাদেশের যে উন্নয়ন করেছেন, গোটা ফরিদপুরের যে উন্নয়ন করেছেন, এই অঞ্চলের যে উন্নয়ন হচ্ছে, সেই এলাকার মানুষকে কেন এইভাবে নিজেদের মধ্যে বলাবলি করতে হবে বা ভাবতে হবে।’

আরিফুর রহমান বলেন, ‘গণভবনে আপনারা অনেকেই গিয়েছিলেন বর্ধিত সভায়, নেত্রী একটা কথা পরিষ্কার করে বলেছেন, নিজেদের মধ্যে ঐক্য রক্ষা করতে হবে। বিভেদ করা চলবে না। কোনো নেতার যদি কোনো সমস্যা থাকে ঘরে বসে আমরা আলোচনা করবো। নেতা যদি অসম্মান করে থাকে আমরা ঘরোয়াভাবে সমাধান করার চেষ্টা করবো। কিন্তু আপনারা দয়া করে শেখ হাসিনার প্রতি, আওয়ামী লীগের প্রতি আপনাদের সমর্থন ফিরিয়ে নেবেন না।’

দোলন বলেন, ‘আপনারা কথা দেন, আপনারা আওয়ামী লীগের প্রতি আপনাদের সমর্থন জারি রাখবেন। নেত্রী নিশ্চয় আপনাদের মনের কথা, আপনাদের যে মনোভাব সেটার সম্মান জানাবেন।’

কৃষক লীগ নেতা দোলন বলেন, ‘শেখ হাসিনা আগামীতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হোক, আমি মনে করি আমরা-আপনারা এখানকার প্রত্যেকেই চাই। এই কারণে চাই, এই যে পদ্মা সেতু সেই কাজ শেষ হতে হবে। আমাদের অঞ্চলে যে উন্নয়ন ও অগ্রগতি হচ্ছে সেটা যেন অব্যাহত থাকে। উন্নয়ন যাতে আরও বেশিভাবে হয় সেই জন্য এটা প্রয়োজন।’

দোলন বলেন, ‘যারা জনগণের কাছে নিজেকে মনিব থাকতে, মনিব ভাবতে চায়, জনগণ তাকে প্রত্যাখ্যান করবে এটাও নেত্রী খুব ভালোভাবে জানেন। তাদেরকে নেত্রী আগামীতে মনোনয়ন দেবেন না।’

কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বলেন, ‘যে সমস্ত এলাকার এমপিরা টাকার বিনিময়ে কাজ করেন নেত্রী তাকে মনোনয়ন দেবেন না। নেত্রী পরিষ্কারভাবে গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় এ কথা বলে দিয়েছেন।’

ঢাকাটাইমস সম্পাদক বলেন, ‘আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি, কিন্তু আত্মরক্ষার অধিকারতো সবার আছে। বিভ্রান্তি ছড়িয়ে আমাদেরকে জনগণের সেবা করা থেকে বঞ্চিত রাখার চেষ্টা যদি কেউ করে ইনশাআল্লাহ জনগণকে নিয়ে প্রতিহত করতে চাই, আপনারা রাজি আছেন? আপনারা যদি রাজি থাকেন তাহলে আপনাদেরকে সঙ্গে নিয়ে আপনাদের সেবা করার জন্য কাজ করতে চাই।’

এ সময় সবাই হাত তুলে ফরিদপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগের এই মনোনয়ন প্রত্যাশীকে সমর্থন জানান।

চক্ষু শিবির প্রসঙ্গে আরিফুর রহমান দোলন বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আগস্ট মাসে এমন একটি জায়গায় এই চক্ষু শিবির করছি যে এলাকা বঙ্গবন্ধুর ঘাঁটি। আওয়ামী লীগের ঘাঁটি, শেখ হাসিনার ঘাঁটি। বঙ্গবন্ধু নিজে চোখের রোগী ছিলেন, বঙ্গবন্ধুর মায়ের নামে চক্ষু হাসপাতাল করা হয়েছে। এজন্যই কাঞ্চন মুন্সী ফাউন্ডেশন থেকে এই চক্ষু শিবিরের আয়োজন করা হয়েছে।’

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন ফরিদপুর জেলা পরিষদ সদস্য ও জেলা কৃষক লীগের সদস্য সচিব শেখ শহীদুল ইসলাম শহীদ, বোয়ালমারী উপজেলা কৃষক লীগের আহ্বায়ক সৈয়দ আব্দুর রহমান বাশার, বোয়ালমারী উপজেলা সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ রাসেল রেজা, আলফাডাঙ্গা সদর ইউপি চেয়ারম্যান একেএম আহাদুল হাসান আহাদ, সহস্রাইল বাজার বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মির্জা মিলন, সহস্রাইল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের সদস্য আসলাম চৌধুরী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনএসবি জহুরুল হক চক্ষু হাসপাতালের সার্জন প্রফেসর ডা. রাহাত আনোয়ার চৌধুরী, ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি সাজ্জাদ বাবু, ফরিদপুর জেলা পরিষদের মহিলা সদস্য বিউটি বেগম, গোপালপুর ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ইনামুল হাসান, আলফাডাঙ্গা সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ সারেকুল হাসান নয়ন প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/০৪আগস্ট/এমএবি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজপাট বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা