হবিগঞ্জে ছাত্রের ওপর এসিড নিক্ষেপ, শিক্ষক আটক
হবিগঞ্জ টেনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক ছাত্রের শরীর এসিড ছুড়ে ঝলসে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে কলেজের রসায়ন বিষয়ের শিক্ষক আব্দুল কাইয়ুমের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীরা হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে শিক্ষকের দৃষ্টাস্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়। অভিযুক্ত শিক্ষক বলছেন, পানি মনে করে তিনি তা ছুড়ে মেরেছিলেন।
পরে শনিবার দুপুরে পুলিশ ওই শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে যায় ও ছাত্রদের শান্ত করে।
এসিডে আহত ছাত্রের নাম মঈনুদ্দিন আহমেদ (১৫)। তাকে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সে সদর উপজেলার বড় বহুলা গ্রামের ফুল মিয়ার ছেলে এবং ওই প্রতিষ্ঠানের ফার্ম মেশিনারিজ বিভাগের ছাত্র।
শিক্ষার্থীরা জানায়, সকালে মঈন উদ্দিন ল্যাবে ক্লাস করতে যায়। এ সময় টেবিলে জোরে শব্দ করায় শিক্ষক আব্দুল কাইয়ুম তার শরীরে এসিড ছুড়ে মারেন। তাৎক্ষণিক অন্যান্য ছাত্ররা তাকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
পরে ওই শিক্ষকের বিচার দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে শিক্ষার্থীরা। তারা প্রায় ৩ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ করে রাখে। দুপুর দেড়টায় শিক্ষক আব্দুল কাইয়ুমকে পুলিশ আটক করলে শিক্ষার্থীরা অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়।
এসিডে দগ্ধ মঈনুদ্দিন জানায়, টেবিলে হাত দিয়ে জোরে শব্দ করলে শিক্ষক আব্দুল কাইয়ুম রাগের মাথায় তার শরীরে এসিড ছুড়ে দেন। সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. দেবাশীষ দাশ জানান, পিঠের উপর থেকে বেশ কিছু অংশ এসিডে ঝলসে গেছে। হবিগঞ্জ টেকনিকেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, কেমিস্ট ল্যাবে শনিবার প্র্যাক্টিকেল ক্লাস চলছিল। এ সময় ওই ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত শিক্ষক বলছেন, পানি মনে করে তিনি ছুড়ে মেরেছিলেন। কিন্তু প্রকৃত অর্থে সেখানে এসিড ছিল। বিষয়টি তদন্তে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হচ্ছে। দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মর্জিনা আক্তার বলেন, ঘটনার সঙ্গে জড়িত শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি শান্ত। শিক্ষক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে।
হবিগঞ্জ সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত মোঃ জিয়াউর রহমান জানান, খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে এখনো কোন মামলা হয়নি। মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
ঢাকাটাইমস/৪আগস্ট/প্রতিনিধি/ ইএস