ময়মনসিংহে আগর চাষ

মনোনেশ দাস, ময়মনসিংহ
 | প্রকাশিত : ০৫ আগস্ট ২০১৮, ১৯:৫২

ময়মনসিংহে এবার চাষ হচ্ছে গন্ধবিলাসীদের প্রিয় দুর্লভ এবং দামি আগর গাছ। জেলার মুক্তাগাছা ও ফুলবাড়িয়া উপজেলায় চাষ হচ্ছে আগরের।

২০০৮ সাল থেকে ফুলবাড়িয়ার বনাঞ্চল সন্তোষপুরে ৭৫ একরে, ২০১০ সাল থেকে মুক্তাগাছার রসুলপুর বনাঞ্চলের কাঠালিয়া ও খাজুলিয়া এলাকায় ২৫ একরে আগর বাগান তৈরি করে বন বিভাগ। এই বাগান স্থানীয় উপকারভোগী কৃষককে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিয়ে চাষাবাদ করা হয়।

বন বিভাগের পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগেও চাষ হচ্ছে আগরের। সরেজমিনে মুক্তাগাছা উপজেলার দুই নং বড়গ্রাম ইউনিয়নের তারা কান্দাহার গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, সেই গ্রাম এখন শান্ত সমাহিত আগর গাছে ঘেরা এক নিশুতি গ্রাম। এই গ্রামেরই কৃষক এমএ খালেদ রোপন করেছেন আগর গাছ।

কৃষি অফিস সূত্র জানিয়েছে, খালিদ তার চারটি বাগানে তিন হাজার গাছ রোপন করেছেন। তন্মধ্যে এক হাজারটি আগর গাছের বয়স প্রায় ছয় বছর।

জানা যায়, আগরের এক কেজি কালো কাঠের বাজার দাম প্রায় দুই লাখ টাকা। একটি আগর কাঠসমৃদ্ধ প্রাপ্তবয়ষ্ক গাছের দাম পাঁচ থেকে পঁচিশ লাখ টাকা।

জানা যায়, উপমহাদেশে রাজা-নবাবদের আমল থেকেই আতর বাঙালি বনেদি ঘরে এমনকি মধ্যবিত্তদের মাঝেও আদর পেয়ে আসছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আতর উৎপাদনের উপকরণ সংগ্রহ ও জ্বালানি কাঠ ছাড়াও ওষুধ, পারফিউম, পারফিউম জাতীয় দ্রব্যাদি-সাবান, শ্যাম্পু এসব তৈরিতে আগর তেল ব্যবহার হয়ে থাকে। আতর বাংলাদেশে তরল সোনা হিসেবেও বিবেচিত।

বাড়ির আঙিনায়, রাস্তার পাশে, পতিত জমি, টিলা-টেঙ্গর এমনকি পরিত্যক্ত জমিতে আগর গাছ লাগানোর পর ফলন পাওয়া যায়।

পৃথিবীতে আগর আতর পণ্যের প্রায় ১৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের রপ্তানি বাজার রয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো আগর উড চিপস ও আতরের চাহিদা প্রচুর।

আগর আতর উৎপাদন অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা। এ ব্যবসায় অল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে বেশি মুনাফা আয় করা সম্ভব বলে জানান কৃষি কর্মকর্তারা।

মুক্তাগাছা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নার্গিস আক্তার জানান, চলতি সপ্তাহে কান্দাহার গ্রামের কৃষক এমএ খালেদের রোপিত আগরবাগা পরিদর্শন করেছি- যা প্রশংসাযোগ্য।

(ঢাকাটাইমস/৫আগস্ট/ব্যুরো প্রধান/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :