সিনহা ছিলেন চোর ও ঘুষখোর: মুক্তিযুদ্ধমন্ত্রী
বাংলাদেশের সাবেক বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা চোর ও ঘুষখোর ছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন মুুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক। বলেছেন, দেশের প্রচলিত আইনে তার বিচার হবে।
মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইলে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এ সময় মন্ত্রী মুক্তিযোদ্ধাদের শতভাগ চিকিৎসাসেবা সরকার বহন করবে ঘোষণা দেয়ার পাশাপাশি জামায়াত-শিবিরের সন্তানরা যাতে চাকরি না পায় সে ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানান।
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় দেশের বড় বড় হাসপাতালে ১৫ লাখ টাকা ও জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ের হাসপাতাল গুলোতে ১ লাখ টাকা করে অগ্রিম দেওয়া দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। মুক্তিযোদ্ধাদের শতভাগ চিকিৎসার খরচ বহন করতে সরকার টাকাগুলো হাসপাতালে অগ্রিম দিয়ে রাখেবে। আগামী ১৫ আগস্ট এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হবে।
আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে যারা কথা বলে সেই জামায়াত শিবিরের নিবন্ধন বাতিল করা হবে। জামায়াত শিবিরের সন্তানরা যাতে কোনো ধরনের সরকারি চাকরি না পায় সেই লক্ষ্যে প্রয়োজনী প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। বঙ্গবন্ধু খুনীদের বিচার হলেও যারা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার জন্য পরিকল্পনা করেছিলো তাদের বিচার এখনও করা হয়নি। খুনি মোস্তাক ও জিয়ার মত বড় খুনিদের বিচার করা হয়নি। তাদের বিচার না করা হলেও বঙ্গবন্ধুর আত্মা অনেক কষ্ট পাবে।
এ সময় সাবেক বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার সমালোচনা করেন মন্ত্রী। বলেন, আমাদের দেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা চোর ও ঘুষ খোর ছিলেন। দেশের প্রচলিত আইনে তার বিচার করা হবে।
নিরাপদ সড়কের দাবি নিয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয় নিয়েও কথা বলেন তিনি। বলেন, দেশে কয়েকদিন আগে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলন করেছে তা যুক্তিসঙ্গত। তবে আন্দোলনের সময় দুর্বৃত্তরা যে হামলা চালিয়েছে তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হবে।
টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিনের সভাপতিত্বে জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্ষ ভবনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ সময় বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. মইনুল ইসলাম, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায়, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার খন্দকার জহুরুল হক ডিপটি, ফজলুল হক বীরপ্রতিক, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট খোরশেদ আলম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. আনিছুর রহমান, গণপুর্তের নির্বাহী প্রকৌশলী শম্ভুরাম পাল প্রমুখ।
ঢাকাটাইমস/০৭আগস্ট/আরকে/ইএস