ঢাকায় অবসান হচ্ছে বাসে নৈরাজ্যের এক কারণ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০১৮, ১৯:৩৭ | প্রকাশিত : ০৮ আগস্ট ২০১৮, ১৮:০৩
ফাইল ছবি

রাস্তায় যাত্রীর জন্য বাসের অসুস্থ প্রতিযোগিতার এক কারণের অবসান হচ্ছে। চালক শ্রমিকদের চুক্তিতে গাড়ি চালানোর যে রীতি রয়েছে, সেটি বাতিলের ঘোষণা এসেছে।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের মধ্যে পরিবহনে নৈরাজ্য নিয়ে আলোচনার মধ্যেই বুধবার সংবাদ সম্মেলন করে এই তথ্য জানিয়েছে ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি।

প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন আইনকে পূর্ণ সমর্থন জানিয়ে এই ঘোষণাটি আসে সংগঠনটির সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্যাহর মুখ দিয়ে। বুধবার বিকালে মতিঝিলের বিআরটিসি ভবনে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন হয়।

রাজধানীতে বাসের পাল্লাপাল্লি আর যাত্রীর জন্য স্টপেজে স্টপেজে ডাকাডাকির অন্যতম কারণ এই চুক্তি। পরিবহন মালিকদের কাছ থেকে প্রতিদিন একটি পরিমাণ টাকা দেয়ার শর্তে বাস নিয়ে বের হন চালক ও শ্রমিকরা। আর ওই টাকা তোলার পর বাকি টাকা তাদের পকেটে যায়। এ কারণে শ্রমিকরা চেষ্টা করে যত সম্ভব তত বেশি যাত্রী নেয়ার। আর পরিবহন বিশেষজ্ঞরা এই প্রবণতাকে একটি মানসম্মত পরিবহন ব্যবস্থার জন্য প্রতিবন্ধক হিসেবে দেখে আসছেন।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হক এই পদ্ধতি বাদ দিয়ে ফ্রাঞ্চাইজি পদ্ধতিতে বাস চালানোর উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এতে কোনো বাসের নির্দিষ্ট কোনো আয় থাকবে না। একটি কোম্পানি সারা দিনে যত আয় করবে, দিন শেষে সেই কোম্পানির বাসগুলোর মধ্যে তা সমবণ্টন হবে।

খন্দকার এনায়েত উল্যাহ বলেন, ‘আগামীকাল থেকে কোনো গাড়ি চুক্তিভিত্তিক চলবে না। এভাবে চললে পারাপারি বেশি হয়, দুর্ঘটনা বাড়ে। আমরা এটা করতে দেবো না। যে কোম্পানি এটা মানবে না তার লাইসেন্স বাতিল করার জন্য আমরা সুপারিশ করব। আর আমাদের সমিতির আওতায় হলে সাংগঠনিক ব্যবস্থাও নেব।’

টার্গেটভিত্তিক গাড়ি চালানো বন্ধ করলে বাস মালিকরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সে জন্য টিকিট কাউন্টারের ব্যবস্থা করারও পরামর্শ দেন পরিবহন মালিকদের এই নেতা।

নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের সময় গাড়ির স্টার্টিং পয়েন্টে কাগজপত্র পরীক্ষার যে সিদ্ধান্ত হয়েছিল সেটি বৃহস্পতিবার থেকে চালুর কথাও জানান খন্দকার এনায়েত।

‘আগামীকাল থেকে আমরা প্রতিটি টার্মিনালে চেক করবো কোনো গাড়ি ফিটনেস সনদ, চালকের লাইসেন্স ছাড়া চলে কি না। কারও (চালকের) কাগজপত্রের ঘাটতি থাকলে তাকে চলতে দেওয়া হবে না। এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।’

‘আমরা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত মালিকদের সময় দিচ্ছি তারা যেন এর মধ্যে সব কিছু ঠিক করে নেয়।’

এক প্রশ্নে প্রস্তাবিত সড়ক পরিবহন আইনকে সমর্থন জানানোর কথা বলেও কিছু সংশোধনীর প্রস্তাব করেন এনায়েত। বলেন, ‘আমরা পরিবহন মালিক ও শ্রমিকরা সবাই এই আইনের পূর্ণ সমর্থন করি। …তবে এই আইনে জরিমানার পরিমাণ অনেক বেশি। আমরা কিছু সংশোধনী প্রস্তাব দেব। এগুলো সরকার মানলেও সমর্থন থাকবে, না মানলেও সমর্থন থাকবে।’

আপত্তির জায়গাগুলো কোথায়-এমন প্রশ্নে সংবাদ সম্মেলনে জবাব আসে, ‘আগে বাস কোম্পানিগুলো ক্ষতিপূরণ দিতো না বললেই চলে। কিন্তু এই আইনে ক্ষতিপূরণ না দেওয়ার সুযোগ নেই। ক্ষতিপূরণ দিতেই হবে।’

(ঢাকাটাইমস/০৭আগস্ট/জিএম/ডব্লিউবি/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :