কী কারণে এক দেশ অপর দেশকে নিষেধাজ্ঞা দেয়?

প্রকাশ | ১০ আগস্ট ২০১৮, ১৫:১২

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

বর্তমানে ইরানের ওপর মার্কিন যু্ক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা বলবৎ রয়েছে। এছাড়া রাশিয়ার ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে দেশটি। সম্প্রতি নার্ভ এজেন্ট প্রয়োগের অভিযোগে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলো বেশ কয়েকটি দেশ।

কিন্তু কি কারণে এ দেশগুলো একে অপরের ওপর ক্ষুদ্ধ হলে নিষেধাজ্ঞা দেয়। আবার এ নিষেধাজ্ঞার ফলই বা কি দাঁড়ায়? এ বিষয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে বিবিসি। ঢাকাটাইমস পাঠকদের জন্য প্রতিবেদনটির চুম্বকাংশ তুলে ধরা হলো।

নিষেধাজ্ঞা কী?

সহজ কথায় বলতে গেলে একটা দেশ অপর একটা দেশের ওপর শাস্তি হিসেবে এই নিষেধাজ্ঞা দেয়। যেমন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কয়েকটি শিল্পের কিছু কোম্পানির মালামাল রাশিয়াতে রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। এসব পণ্যের মধ্যে রয়েছে মেশিনারি এবং ইলেকট্রিক্যাল পার্টস। এই বাণিজ্য মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারে নিয়মনীতি যদি রাশিয়া না মেনে চলে তাহলে এই শাস্তি তিন মাসের মধ্যে আরো কঠিন হবে।

কেন দেশগুলো একে অপরের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়?

ইউনিভার্সিটি অব স্যালফোর্ড এর আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক মরটিজ পিয়েপার বলেন, 'আপনি একটি দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারেন কারণ আপনি ওই দেশটির আচরণে পরিবর্তন দেখতে চান।'

নিষেধাজ্ঞার প্রভাব সম্পর্কে তিনি বলেন, 'ওই দেশের নাগরিক তার নিজ দেশের সরকারের ওপর রাগান্বিত হবে এবং দাবী জানাবে আরোপিত নিষেধাজ্ঞার ভিত্তিতে সরকার যাতে শোধরায়।'

আবার নিষেধাজ্ঞা অনেক সময় এক দেশ আরেক দেশের ওপর প্রতিশোধ হিসেবে আরোপ করে। যেমনটা রাশিয়া ২০১৪ সালে ইইউ এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার প্রতিবাদ করেছিল।

কী কী ধরণের নিষেধাজ্ঞা আছে?

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যেসব নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সেগুলো অর্থনৈতিক। তারা কোম্পানিগুলোকে ব্যান করেছে রাশিয়াতে পণ্য যাতে বিক্রি না করে। দেশগুলো একে অপরের বিরুদ্ধে বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞা আনতে পারে।

তবে নিষেধাজ্ঞা কিছু কিছু সময় কঠিন হতে পারে এবং এর একটা সামগ্রিক ফলাফল থাকে। তবে 'স্মার্ট নিষেধাজ্ঞা' বলা হয় তাকে যখন পুরো দেশের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি না করে ছোট কোন গ্রুপের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

ঢাকাটাইমস/১০আগস্ট/একে