দিনরাত সরগরম কক্সবাজারের কামারপল্লী

বলরাম দাশ অনুপম, কক্সবাজার
 | প্রকাশিত : ১২ আগস্ট ২০১৮, ১১:০০

কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে কক্সবাজার শহরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে চাহিদা বেড়েছে পশু জবাই ও মাংস কাটার সরঞ্জামের। এ চাহিদা পূরণে ব্যস্ততা বেড়েছে কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন কামারের দোকানগুলোতে। বর্তমানে আধুনিক যন্ত্রাংশের প্রভাবে কামার শিল্পের দুর্দিন চলছে। তবে আসন্ন পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন কক্সবাজারের কামারপল্লী। দিন-রাত টুং টাং শব্দ কামারের দোকানগুলোতে।

কামারপল্লীর কর্মকারা জানান, বর্তমানে লোহা ও কয়লার দাম বেশি। তাই তৈরিকৃত সরঞ্জাম বিক্রি বেশি হলেও লাভ কম হয়। আর ১০-১১ দিন পরেই মুসলিম সম্প্রদায়ের দ্বিতীয় বৃহত্তর ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আযহা। তাই তাদের ব্যস্ততা অনেক বেশি।

শনিবার বিকালে সরেজমিনে শহরের চাউল বাজারস্থ কামার পল্লী, কালুর দোকান, বিমান বন্দর সড়ক, বাস টার্মিনালসহ বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে দেখা গেছে কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে বটি, ছুরি, কাটারি, দা, বেকি, কুঠার, খুন্তা ও লাঙ্গলের ফলাসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম বানাচ্ছেন কামাররা।

এসব ব্যবহার্য জিনিস শহরে চাহিদা মিটানোর পাশাপাশি শহরের আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় নিয়ে যাচ্ছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা। আবার শহর থেকে লোহা কিনে নিয়ে বিভিন্ন স্থানে তৈরি করা হচ্ছে প্রয়োজনীয় এসব জিনিসপত্র। শহরের চাউল বাজারস্থ কামার পল্লীর বাদল কর্মকার নামের এক ব্যবসায়ী জানান, সারা বছরের মধ্যে কোরবানি ঈদেই আমাদের বেশি ব্যস্ত থাকতে হয়। বর্তমানে লোহা ও কয়লার দাম বেশি। তাই তৈরিকৃত সরঞ্জাম বিক্রি বেশি হলেও লাভ কম হয়। আমরা বছরজুড়ে এ সময়ের অপেক্ষায় থাকি। একই কথা জানান ওই এলাকার রাজিব নামের আরেক দোকানি।

তিনি বলেন, দীর্ঘ প্রায় ২৫-৩০ বছর ধরে বাবার সাথে এ পেশায় জড়িয়ে আছি। অন্য সময় তেমন কাজের চাপ থাকে না। কোরবানিতে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী জিনিসপত্র তৈরি করাই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

সদর উপজেলার খুরুশকুল পালপাড়া বাজারের রনজিত কর্মকার বলেন, আমার বাপ-দাদার মূল পেশা ছিল এটা। তারা মারা যাওয়ার পর আমার জীবনেরও শেষ মূহুর্তেও এই পেশা আকড়ে আছি। সারা দিন চাকু, বটি, কাটারি তৈরি করে যা আয় হয় তা দিয়েই পরিবার-পরিজন নিয়ে খেয়ে বাঁচি। এই পেশা ছেড়ে অন্য কোনো পেশায় যাব এই রকম আর্থিক সংগতি আমার নেই বলেও জানান তিনি।

পিএমখালীর জুমছড়ি এলাকা থেকে সরঞ্জাম কিনতে আসা আবুল কাশেম নামের এক ক্রেতা জানান, কামারদের কাছ থেকে তারা বছরজুড়ে সাংসারিক ও কৃষিকাজে ব্যবহারের জন্য বিভিন্ন সরঞ্জাম কিনে থাকেন। তবে কোরবানির সময় পশু জবাই ও মাংস কাটার সরঞ্জামের চাহিদা বেশি থাকে। এসময় প্রচুর চাহিদার কারণে পছন্দমত সরঞ্জাম পেতে বেশ অপেক্ষা করতে হচ্ছে।

(ঢাকাটাইমস/১২আগস্ট/প্রতিনিধি/ওআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :