সাতক্ষীরা-২ আসনে জামায়াত প্রার্থীর জয়রথ ঠেকাতে ড. এরতেজা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১২ আগস্ট ২০১৮, ১৫:৪৪ | প্রকাশিত : ১২ আগস্ট ২০১৮, ১৫:৩৩

আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, রোনালদো ও মেসি সময়ে সময়ে পেনাল্টি মিস করলেও শেখ হাসিনা মিস করবেন না। এদিকে পেনাল্টি মিস না করতে চাইলে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ সংসদীয় আসনে যোগ্য প্রার্থীও তো দিতে হবে-- এমন দাবি খোদ সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরার সদর আসনের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। তাঁরা বলছেন, আসনটি ফলত জামায়াত অধ্যুষিত। এখানে তাঁদের রিজার্ভ ভোট রয়েছে। কাজেই আওয়ামী লীগকে প্রার্থী দেয়ার বিষয়ে অতি সতর্ক থাকতে হবে।

এদিকে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে এই আসন হতে মীর মোস্তাক আহমেদ রবি একরকম বিনা বাঁধায় নির্বাচিত হলেও দলের সাংগঠনিক দিকটায় তিনি সফল হতে পারেন নি বলেই এই আসন হতে জেলা পর্যায়ের প্রায় এক ডজন নেতা এখন দলীয় মনোনয়ন চাইছেন। উল্লেখ্য, সাতক্ষীরা জেলায় দলের কোন কার্যালয় পর্যন্ত নেই। এর জন্যও বর্তমান সংসদ সদস্যকে দায়ী করা হচ্ছে। তাঁর বিরুদ্ধে মনোনয়ন চাওয়া জেলার অপরাপর নেতারা দুর্নীতির অভিযোগও তুলছেন।

অন্যদিকে দেশের অপর জনপ্রিয় দল বিএনপিও খুব বেশি সুবিধাজনক অবস্থায় এখানে নেই। ইতিহাস সাক্ষ্য দিচ্ছে, ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের নির্বাচনে এ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী জয় লাভ করে। ২০০৮ সালে এসে মহাজোট থেকে জাতীয় পার্টির অনুল্লেখযোগ্য পর্যায়ের নেতৃস্থানীয় চরিত্র আব্দুল জব্বার নির্বাচিত হলেও তিনি তাঁর ইমেজ ধরে রাখতে ব্যর্থ হন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সাতক্ষীরা ২ আসন নিয়ে তাই চলছে চুলচেরা বিশ্লেষণ।

এই প্রসঙ্গেই সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা বলেন, ‘অনেকদিন পরে আওয়ামী লীগ থেকে একজন ধর্মপ্রাণ নেতা আমাদের মাঝে এসেছেন। যিনি গেল কয়েকবছরে সাতক্ষীরাবাসীর পাশে থেকে মন জয় করেছেন। তিনি দলীয় মনোনয়ন হয়তো প্রত্যাশা করছেন। যার নাম ড. এরতেজা হাসান জজ। তিনি এফবিসিসিআই পরিচালক ও দৈনিক ভোরের পাতা সম্পাদক এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতাও। তাঁকে ঘিরে সাতক্ষীরা সদর আসনে দলের মধ্যে প্রাণ এসেছে। এই এলাকার মানুষগুলো ধর্মীয় মূল্যবোধে বিশ্বাসী থাকা সচেতন নাগরিকও। ঠিক সে কারণে মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে থাকা শক্তিকে রুখতে এরতজার উপরে মানুষগুলো আস্থা রাখতে শুরু করেছে। এক কথায় জামায়াতকে হারাতে তাঁর মতো নেতাকেই এই মুহূর্তে দরকার বলে এলাকাবাসী মনে করছে। এলাকার মানুষগুলোর কাছে তিনি সুফী সত্তা হিসাবেই আদৃত। তিনি ছাড়া এই আসন থেকে আওয়ামী লীগের জেতার সম্ভাবনা কম। আর বিএনপি-জামায়াত নির্বাচন না করলে অন্য হিসাব।’

এদিকে এই আসন হতে আওয়ামী লীগের মনোনয়নের দৌড়ে অপরাপর নেতাদের মধ্যে যারা রয়েছেন তাঁরা হলেন, এস এম হায়দার, নজরুল ইসলাম, অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, শেখ সাইদ উদ্দিন,আসাদুজ্জামান বাবু, ছাইফুল করিম সাবু, আব্দুল মান্নান, এ্যাড. শাহনাজ পারভিন মিলি, এস এম শওকত হোসেন, আবু সাঈদ, শাহাদাৎ হোসেন, মোঃ সাহেদ , আ.হ.ম তারেক উদ্দিন ও সাফি আহমেদ।

তবে মনোনয়ন প্রশ্নে এখন বর্তমান সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক রবির সঙ্গে ড. এরতেজার লড়াইটাই টক অব দ্যা টাউন হয়ে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে জামায়াতে ইসলামী থেকে মাওলানা আব্দুল খালেকই নির্বাচন করবেন বলে জানা যায়। বিএনপি থেকে রহমত উল্লাহ পলাশ, আব্দুল আলীম, এম এ জলিল,আব্দুর রউফ,শেখ তারিকুল হাসান,কামরুল ইসলাম ফারুক,তাজকিন আহমেদ চিশতি ও আনছার আলীও মনোনয়ন চাইছেন।

অপরদিকে জাতীয় পার্টি হতে সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল জব্বার, শেখ মাতলুব হোসেন লিয়ন ও শেখ আজহার হোসেন মনোনয়ন প্রত্যাশী।

(ঢাকাটাইমস/১২আগস্ট/এইচএফ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

রাজনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :