নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক ভিএস নাইপল আর নেই

ড. মোহাম্মদ আমীন
 | প্রকাশিত : ১৩ আগস্ট ২০১৮, ১২:৫১

ইন্দো-নেপাল-ত্রিনিদাদ বংশোদ্ভুত নোবেল পুরস্কার বিজয়ী বিংশ শতকের শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক হিসেবে খ্যাত স্যার ভিদিয়াধর সুরাজপ্রসাদ নাইপল (Sir Vidiadhar Surajprasad Naipaul) ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দের ১৭ই অগাস্ট ত্রিনিদাদ এবং টোবাগো-এর ত্রিনিদাদ দ্বীপের চাগোয়ান্স এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন। লেখক হিসেবে তিনি ভি এস নাইপল নামে পরিচিত। নাইপলের জন্মকালীন দেশটি ছিল ব্রিটিশ উপনিবেশ। এর আগে ছিল স্পেনের উপনিবেশ। ১৭৯৮ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ জেনারেল স্যার রালফ অ্যাবেরক্রোম্বি স্পেনের দখল হতে ভূখ-টি দখল করে নেন। ত্রিনিদাদ ও টোবাগো নামের জনপদটি ত্রিনিদাদ ও টোবাগো নামের দুটি পৃথক দ্বীপ নিয়ে গঠিত একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম প্রজাতন্ত্র। ১৯৬২ খ্রিষ্টাব্দের ৩১ শে অগাস্ট দেশটি ব্রিটিশের নিকট থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। এর রাজধানী পোর্ট অব স্পেন।

ভিএস নাইপল পিতামাতার দ্বিতীয় সন্তান। তাঁর পিতার নাম সিপ্রাসাদ নাইপল এবং মাতার নাম দ্রোয়াপতি কাপিলদেও। ভারতীয় অভিবাসী সম্প্রদায় হিসেবে পরিচিত নাইপলের পিতা সিপ্রাসাদ নাইপল ইংরেজি ভাষার সাংবাদিকতার মাধ্যমে কর্মজীবন শুরু করেন এবং ১৯২৯ খ্রিষ্টাব্দে ত্রিনিদাদ গার্ডিয়ানে প্রবন্ধ লেখা শুরু করেন। ১৯৩২ খ্রিষ্টাব্দে নাইপলের জন্মের বছর তিনি চাগুয়ানাসে করেসপনডেন্ট হিসেবে যোগ দেন।

নাইপলের সঙ্গে আমার পরিচয় ২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে। অনেক খ্যাতিমানদের সঙ্গে আমিও তার সান্নিধ্যে আসার বিরল সুযোগ পাই। ভারতীয় ও কনিষ্ঠ হিসেবে তিনি আমাকে কেন জানি কাছে টেনে বসালেন। বলেছিলাম, “ত্রিনিদাদ দ্বীপের প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে ওঠে আসা আপনি কীভাবে এত বড়ো সাহিত্যিক হয়ে গেলেন?” “আমি কী আসলে সাহিত্যিক?” আমার প্রশ্নের উত্তরে তিনি আমাকেই প্রশ্ন করে বলেছিলেন, “জানি না কীভাবে লেখক হয়ে গেলাম এবং সফল হয়ে গেলাম। প্রত্যেক পেশার সাফল্য আশি ভাগ নিজের উপর নির্ভর করে কিন্তু লেখক পেশার আশি ভাগ সাফল্যই পাঠকের উপর নির্ভরশীল। নইলে যতই ভালো লেখা হোক না, কোনো লেখিয়েই লেখক হিসেবে খ্যাত বা প্রতিষ্ঠিত কোনোটিই হতে পারেন না। আর খ্যাত না হলে ওই লেখকের লেখা কোনো বিখ্যাত প্রকাশকই প্রকাশ করতে চান না।” লেখক হতে হলে কী প্রয়োজন, আমি লেখক হতে চাই, তাই প্রশ্নটি করলাম। তিনি বলেছিলেন, “লেখক হতে গেলে যেটি সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সেটি স্বস্পৃহা। অবশ্য এটি সৃষ্টি করা যায় না, ঐকান্তিক আগ্রহ থেকে আপনাআপনি জন্ম নিয়ে নেয়। দ্বিতীয়ত, প্রাত্যহিক জীবনে দৃশ্য-অদৃশ্য, অনুভত বা কল্পিত প্রতিটি বিষয় ভিন্নমাত্রায় দেখার, বিশ্লেষণ করার প্রবণতা থাকতে হবে। চোখে যা দেখছেন তাকে অন্তরে নিয়ে আবার দেখতে হবে উলটে-পালটে। তৃতীয়ত, লেখার বিষয় নির্ধারণ। লেখার বিষয় নির্ধারণে আপনাকে ব্যতিক্রমী হতে হবে। এমন বিষয় নির্ধারণ করতে হবে, যা আপনাকেই প্রথমে অভিভূত করে দেওয়ার মতো হয়।

১৮৮০-এর দশকে নাইপলের পিতামহ শ্রমিক হিসেবে কাজ করার জন্য একদল ভারতী নাগরিকের সঙ্গে ভারত থেকে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো যান। তবে ভিএস নাইপলের ভাষায়, “আমার পিতামহ ভারতের বেনারস থেকে কাজের সন্ধানে নেপাল যান। আমরা ছিলাম পবিত্র নগর বেনারসের নাইপল সম্প্রদায়ভুক্ত। আমার মা ছিলেন অভিজাত সম্প্রদায়ের মেয়ে। তারা দীর্ঘ দিন নেপাল বসবাস করেন। সেখানে কাজের অভাব দেখা দিলে তিনি শ্রমিকের কাজ করার জন্য ত্রিনিদাদ দ্বীপে গমন করেন।” নাইপল ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে নোবেল পুরস্কার-অভিভাষণে বলেছেন, “পিতার দিক থেকে আমি নেপালি বংশোদ্ভূত।” আলোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, আমার পিতার জন্ম নেপালে। আমার পূর্বপুরুষ ভারত থেকে নয়, নেপাল থেকে ত্রিনিদাদ ও টোবাগো গমন করেন। ১৮৭২ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ-ইন্ডিয়া প্রকাশিত একটা গেজেটে কিছু তথ্য আছে।”

১৯৩৯ খ্রিষ্টাব্দে সাত বছর বয়সে নাইপলের পরিবার ত্রিনিদাদের রাজধানী পোর্ট অব স্পেন চলে যান। সেখানে তিনি ব্রিটিশ শিক্ষানীতির আলোকে শিক্ষাপ্রদানের জন্য প্রতিষ্ঠিত সরকারি কুইন্স রয়্যাল কলেজে ভর্তি হন। ছাত্র হিসেবে নাইপল ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। ঈর্ষণীয় কৃতিত্বের সঙ্গে তিনি কলেজের অধ্যয়ন সমাপ্ত করেন। কৃতিত্বের স্বীকৃতিস্বরূপ নাইপল ত্রিনিদাদের সরকারি বৃত্তি লাভ করেন। এই বৃত্তি যারা পান, তারা উচ্চ শিক্ষার জন্য ব্রিটিশ কমনওয়েলথভুক্ত যে কোনো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হতে পারেন। নাইপল অক্সফোর্ডে অধ্যয়নের ইচ্ছা প্রকাশ করেন এবং ইংরেজি সাহিত্য বিষয়ে অধ্যয়নে জন্য ১৯৫০ খ্রিষ্টাব্দে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন।

অক্সফোর্ডে অধ্যয়নকালীন বৃত্তিই ছিল তার খরচের অন্যতম উৎস। বৃত্তির টাকা সহপাঠীদের খরচের তুলনায় ছিল অত্যন্ত নগণ্য তবে তার জন্য তা-ই ছিল যথেষ্ট। পিতা পরিবারের খরচ নির্বাহের পর যা পাঠাতেন তা জমা করে রাখতেন। ১৯৫২ খ্রিষ্টাব্দে তিনি স্পেন ভ্রমণে যান। অল্প দিনের মধ্যে কপর্দকশূন্য হয়ে পড়েন। এ সময়ের অবস্থান সম্পর্কে বলতে গিয়ে নাইপল বলেছেন, অর্থ মানুষের একাকিত্বকে আরও করুণ, অসহায় এবং কষ্টকর তোলে। অর্থহীনতা তাঁকে মানসিকভাবে এতই বিপর্যস্ত করে দিয়েছিলেন যে, তিনি আত্মহত্যার কথাও চিন্তা করেছিলেন। ১৯৫৩ খ্রিষ্টাব্দে নাইপল অক্সফোর্ড থেকে গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি অর্জন করেন। একই বছর তার পিতা মৃত্যুবরণ করেন। পিতার মৃত্যুর পর তিনি আরো অসহায় এবং একইসঙ্গে আশ্রয়হীন হয়ে পড়েন।

১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দে নাইপল লন্ডন গমন করেন। ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দের জানুয়ারি মাসে পেট্রিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দের ডিসেম্বর মাসে তিনি এক সপ্তাহের জন্য রেডিও বিবিসি’র ক্যারিবয়ান ভয়েস প্রোগ্রামে কাজ করেন। এরপর তিনি বিবিসি- তে ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। তাঁর প্রথম প্রকাশিথ বই মিগুয়েল স্ট্রিট। এটি একটি গল্পসংগ্রহ। বইটি সম্পর্কে নিউ ইয়র্ক টাইমস এর মন্তব্য (The sketches are written lightly, so that tragedy is understated and comedy is overstated, yet the ring of truth always prevails.) তাকে লেখালেখির অনুপ্রেরণাকে ঐকান্তিক আগ্রহে পরিণত করে। ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত দ্যা মিস্টিক ম্যাসুয়ের (The Mystic Masseur ) নাইপলের লেখা প্রথম উপন্যাস। লেখালেখির শুরু থেকে তিনি পাঠকপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হন। ফলে সাংবাদিকতার পাশাপাশি পুরোপুরি লেখালেখিতে মনোনিবেশ করেন। ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর পটভূমি নিয়ে রচিত হাস্যরসাত্মক উপন্যাস, বিশ্বব্যাপি বিস্তৃত শীতল উপন্যাস এবং জীবনচরিত ও ভ্রমণকাহিনী নিয়ে রচিত আত্মজীবনীমূল উপন্যাসসমূহের জন্য নাইপল বিশ্বে ব্যাপকভাবে পরিচিত।

২০০১ খ্রিষ্টাব্দে নোবেল পুরস্কার ছাড়াও নাইপল ১৯৯৩ খ্রিষ্টাব্দে ডেভিড কোহেন পুরষ্কার, ১৯৭১ খ্রিষ্টাব্দে বুকার পুরষ্কার, ১৯৬৮ খ্রিষ্টাব্দে ডব্লিউ এইচ স্মিথ সাহিত্য পুরষ্কার, ১৯৬৪ খ্রিষ্টাব্দে হাউথ্রনডেন পুরষ্কার, ১৯৬০ খ্রিষ্টাব্দে সমারসেট মম পুরষ্কারসহ আরও অনেক পুরষ্কার লাভ করেন। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে টাইমস পত্রিকা নাইপলকে ১৯৪৫ খ্রিষ্টাব্দহতে এ পর্যন্ত ব্রিটিশের ৫০ জন মহান ব্রিটিশ লেখকের তালিকায় ৭ম স্থানে অধিষ্ঠিত করেছে। A House for Mr. Biswas, A Bend in the River, The Enigma of Arrival তার কয়েকটি বিখ্যাত উপন্যাস।

নাইপলের পুত্র সিপার্সাদ নাইপল, বড় ভাই শিব নাইপল, চাচা নেইল বিশুনদাথ এবং ভ্রাতষ্পুত্র ভাহনি ক্যাপিলডিও ছিলেন লেখক। তার বর্তমান স্ত্রী নাদিরা নাইপল পাকিস্তানি সাংবাদিক। ৪১ বছর বয়সে নাইপল অ্যাংলো-আর্জেন্টাই মহিলা ও অক্সফোর্ডের ছাত্রী প্যাট্রিকা হেইল এর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দে প্যাট্রিকা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর অল্প কিছুদিন পূর্বে নাইপল পাকিস্তান নিবাসী বিধবা সাংবাদিক ও নাদিরা খানুম আলভির কন্যা নাদিরাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। হেইলের মৃত্যুর দুই বছর পর তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। নাদিরা পাকিস্তানি সংবাদপত্র দি ন্যাশন এর সাংবাদিক ছিলেন। তার সাথে দশ বছর পূর্বে নাইপল এর পরিচয় হয়। নাইপলকে বিয়ে করার পূর্বে নাদিরা দুই বার বিবাহ করেন এবং দুই বারই বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। নাদিরার পূর্ববর্তী বিবাহিত জীবনের সন্তান মালিহা নাইপল এবং নাদির নামের দুই শিশুসহ নাইপলের সাথে নাদিরার বিয়ে হয়। নাদিরা হচ্ছেন পাকিস্তান আর্মির বিশেষ সার্ভিস গ্রুপে এর প্রাক্তন প্রধান মেজর জেনারেল (অব) আমির ফয়সল আলভির বোন। মেজর জেনারেল আলভি পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত যুদ্ধে গুপ্ত হত্যার শিকার হয়েছিলেন।

১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে নাইপলের স্মৃতিচারণমূলক বিতর্কিত গ্রন্থ পাউল থেরোক্স প্রকাশিত হয়। গ্রন্থটিতে নাইপল অনেক বিতর্কিত বিষয়ে স্মৃতিচারণ করেন। স্যা বিদ্যাস স্যাডো তার আর একটি স্মৃতিচারণমূলক গ্রন্থ। ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে নাইপলের জীবনীকার প্যাট্রিক নাইপল অনুমোদিত আত্মজীবনী প্রকাশ করেন। এখানে নাইপলের জীবনের এমন অনেক কথা রয়েছে যা একজন মানুষের জীবনে কত গোপনীয় বিষয় থাকতে পারে তা কিছুটা অনুধাবন করা যায়। ২০০১ খ্রিষ্টাব্দে ভিএস নাইপল সাহিত্যে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন। নোবেল কমিটি নাইপলের সাহিত্যকর্মের মূল্যায়ন করতে গিয়ে বলেছে, ‘তার লেখা ভুলে যাওয়া ইতিহাসকে নতুন আঙ্গিকে আমাদের সামনের তুলে ধরার প্রয়াস। তার লেখায় ঐতিহ্যের মোড়কে ঢাকা আধুনিক মানসিকতাই পরিলক্ষিত হয়।

পঞ্চাশ বছরের অধিক সাহিত্য জীবনে তিনি ত্রিশের অধিক কল্পকাহিনী ও ননফিকশন রচনা করেন। দ্য মিস্টিক ম্যাসুর (১৯৫৭), দ্য সাফ্রেজ অব এলভিরা (১৯৫৮), মিগ্যেল স্ট্রিট (১৯৫৯), আ হাউজ ফর মিস্টার বিশ্বাস (১৯৬১), মিস্টার স্টোন অ্যান্ড দ্য নাইটস কম্প্যানিয়ন (১৯৬৩), দ্য মিমিক মেন (১৯৬৭), আ ফ্ল্যাগ অন দি আইল্যান্ড (১৯৬৭), ইন আ ফ্রি স্টেট (১৯৭১), গেরিলাস (১৯৭৫), আ বেন্ড ইন দ্য রিভার (১৯৭৯), দি এনিগমা অব অ্যারাইভাল (১৯৮৭), আ ওয়ে ইন দ্য ওয়ার্ল্ড (১৯৯৪), হাফ আ লাইফ (২০০১), দ্য নাইটওয়াচম্যান্স অকারেন্স বুক : অ্যান্ড আদার কমিক ইনভেনশন (গল্প) - (২০০২), ম্যাজিক সিডস (২০০৪) প্রভৃতি তার লেখা কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ।

ভি এস নাইপল ২০১৮ খ্রিষ্টাব্দের ১১ই অগাস্ট পঁচাশি বছর বয়ে লন্ডনে নিজ বাসভবনে মারা যান। ভারতীয় বংশোদ্ভুদ এই মহান লেখকের জীবনাবসানে শোক প্রকাশ করা ছাড়া আমাদের আর কিছু নেই। তিনি তার লেখার মধ্যে উপনিবেশ, মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি এবং প্রাত্যহিক জীবনের সাংঘর্ষিকতা নিয়ে লেখালেখির মাধ্যমে আমাদের মানবিক আচরণ কী হওয়া উচিত তা তুলে ধরেছেন। সার্বজনীন মূল্যবোধ ও উদার ধর্মীয় চেতনা উদ্বুদ্ধ তাঁর লেখা আযুগ আমাদের শিক্ষা দিয়ে যাবে।

লেখক পরিচিতি : কথাসাহিত্যিক, গবেষক, ইতিহাসবেত্তা, জীবনীকার ও ব্যাকরণবিদ।

সংবাদটি শেয়ার করুন

ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :