প্রস্তাবিত ‘মেডিয়েশন অ্যাক্ট’ আইন কমিশনে হস্তান্তর
বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেডিয়েশন সোসাইটি (বিমস) কর্তৃক প্রস্তাবিত আইন মেডিয়েশন অ্যাক্ট-২০১৮ বিবেচনার জন্য আইন কমিশনে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সোমবার রাজধানীর আইন কমিশনের কার্যালয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান সাবেক প্রধান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হকের নিকট বিমসের প্রতিনিধি প্রস্তাবিত আইনটি দল হস্তান্তর করেন। এসময় আইন কমিশনের সদস্য বিচারপতি এটিএম ফজলে কবির উপস্থিত ছিলেন।
বিমসের চেয়ারম্যান সমরেন্দ্র নাথ গোস্বামীর নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলে বিমসের সেক্রেটারি হরিদাস পাল, ট্রেজারার মো. হুমায়ন কবির শিকদার, নির্বাহী সদস্য মো. আলমগীর হোসেন, আফসানা বেগম ও সৃজনী ত্রিপুরা উপস্থিত ছিলেন।
হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি এ বি এম খায়রুল হক বলেন, মেডিয়েশনের এই আইনটি আমরা যাচাই-বাছাই করে তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট প্রেরণ করবো।
তিনি আরো বলেন, প্রস্তাবিত মেডিয়েশন অ্যাক্ট-২০১৮ যেন আইনে রুপ লাভ সে বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নেব।
পরে বিমসের চেয়ারম্যান সমরেন্দ্র নাথ গোস্বামী বলেন, মেডিয়েশন অ্যাক্ট-২০১৮ নামে প্রস্তাবিত আইনটিতে ৭ টি প্যারায় ৪৮ টি ধারা সন্নিবেশিত করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনে, উপযুক্ত ট্রেইনারের মাধ্যমে সৎ ও আইনে দক্ষ মেডিয়েটরের মাধ্যমে মেডিয়েশন কার্য পরিচালনার কথা বলা হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনে একটি কেন্দ্রীয় মেডিয়েশন বোর্ড গঠনের কথা বলা হয়েছে। যেখানে প্রধান বিচারপতি পদাধিকার বলে চেয়ারম্যান হিসেবে থাকবেন।
প্রস্তাবিত আইনে আরো বলা হয়েছে, প্রধান বিচারপতি কর্তৃক মনোনীত এবং জাতীয় সংসদ কর্তৃক অনুমোদিত মেডিয়েটররা দ্বারা বিচার বিভাগীয় ও প্রাক-বিচার বিভাগীয় বিরোধ নিস্পত্তিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করিবেন। এছাড়া মেডিয়েটর বৃন্দ বর্তমান মামলার জট নিয়ন্ত্রিত ও নতুন মামলা পরিহারে শান্তিপূর্ণ ভূমিকা পালনের কথা প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে।
প্রস্তাবিত আইনে আরো বলা হয়েছে, প্রধান বিচারপতি কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত মেডিয়েশন বোর্ড নিজ ক্ষমতাবলে জাতীয় পর্যায়ে মেডিয়েশন কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানকে ক্ষমতা অর্পণ করতে পারবেন’।
এর আগে গত ১১ আগস্ট বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল মেডিয়েশন সোসাইটির (বিমসের) কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় ‘মেডিয়েশন অ্যাক্ট-২০১৮’ প্রস্তাবিত আইন বিবেচনার জন্য আইন কমিশনে পাঠানোর সিন্ধান্ত গৃহীত হয়।
ঢাকাটাইমস/১৩আগস্ট/এমএবি/ডিএম