ক্যাম্প ইনচার্জের মারপিটে কনস্টেবল হাসপাতালে

যশোর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ আগস্ট ২০১৮, ১৯:৪৬

ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রতিবাদ করায় ক্যাম্প ইনচার্জের মারপিটে আহত হয়ে একজন পুলিশ কনস্টেবল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তার নাম সাইদুর রহমান (ক. ন. ১০৫৯)।

গত ৭ আগস্ট বিকালে ঝিনাইদহ জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার সুবর্ণসরা পুলিশ ক্যাম্পে ওই মারপিটের ঘটনা ঘটে বলে আজ সোমবার জানান সাইদুর।

যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হওয়া কনস্টেবল সাইদুর ঘটনাটি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। তিনি যশোর সদর উপজেলার লেবুতলা ইউনিয়নের নোঙ্গরপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা চান্দ আলীর ছেলে।

যশোর জেনারেল হাসপাতালের মডেল (সার্জারি) ওয়ার্ডের ১৪ নম্বর বেডে চিকিৎসা নেয়া সাইদুর রহমান আজ দুপুরে বলেন, ‘সুবর্ণসরা ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই দাউদ হোসেন বিভিন্ন সময় লোকজন ধরে এনে টাকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দিতেন। তা ছাড়া তিনি ক্যাম্পের সরকারি ৮টি কাঁঠালগাছ, ২টি বাতাবি লেবু গাছ ও ১টি আম গাছ কেটে ফেলেন। আমি এসব কাজের বিরোধিতা করি।’

সাইদুর বলেন, ‘সর্বশেষ গত ৪ অথবা ৫ তারিখ রাতে ভুট্টো নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে ছেড়ে দেন ক্যাম্প ইনচার্জ। আমি এর প্রতিবাদ করলে তিনি আমার ওপর আরও ক্ষিপ্ত হন। গত ৭ তারিখ বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আমি ক্যাম্পে বসে জিডি লিখছিলাম। এ সময় এসব বিষয় নিয়ে তার সঙ্গে আমার তর্ক হয়। আমি তার এসব অনিয়মের কথা এসপি স্যারকে বলে দেব বললে সে আমার বুকে লাথি মারে। আমি চেয়ার থেকে পড়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলি।’

এরপর বাড়িতে ফোন করে তাকে ওই দিন বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয় জানিয়ে কনস্টেবল সাইদুর বলেন, ‘আমার বুকে হাতে প্রচণ্ড ব্যথার কারণে ৯ আগস্ট হাসপাতালে ভর্তি হই।’

সাইদুরের হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসার সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত করেন যশোর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবুল কালাম আজাদ লিটু। তার চিকিৎসক ডা. রহিম মোড়ল ও ডা. ফারহানার উদ্ধৃতি দিয়ে আজ দুপুরে তত্ত্বাবধায়ক বলেন, ‘তার বাম ঘাড়ে আঘাত, হাতে রক্ত জমাটের চিহ্ন এবং বুকেও রক্ত জমাট ভাব আছে। কনুইতেও ছিলে যাওয়ার দাগ রয়েছে। প্রথা অনুযায়ী আমরা তার চিকিৎসা দিয়েছি।’ আজ সকালে তাকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

মারপিটের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে সুবর্ণসরা ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই দাউদ তা অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমি তাকে মারি নাই। এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। ৮ (আগস্ট) তারিখ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার সাথে আমার কোনো কথা হয়নি।’

সাইদুরকে আগের দিন ৭ আগস্ট সন্ধ্যায় বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া, ৮ তারিখে তাকে সিসি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ সাইদুরের। এমন প্রশ্নের জবাবে এসআই দাউদ বলেন, ‘অসুস্থতাজনিত কারণে তার বাড়ির লোকের উপস্থিতিতে তাকে এক এসআই ও দুই কনেস্টবল সঙ্গে দিয়ে ৮ তারিখ সন্ধ্যায় বাড়িতে পাঠানো হয়। কী কারণে সে এমন অভিযোগ করছে তার কিছুই আমি জানি না।’

(ঢাকাটাইমস/১৩আগস্ট/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :